কুষ্টিয়ায় দশ মাসে সাপের কামড়ে ৮ জনের মৃত্যু
Published: 12th, November 2025 GMT
কুষ্টিয়ায় চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে সাপের কামড়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে ৩৯৩ জন মানুষ সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে ৬৩ জনকে বিষধর সাপ দংশন করেছে বলে জানিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন অফিসের সূত্র। এছাড়া অক্টোবরের আগে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালসহ কয়েকটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যান্টিভেনমের মজুত না থাকায় সাপে কাটা রোগীদের চিকিৎসা দিতে সমস্যায় পড়েন চিকিৎসকরা।
সংকটের কথা স্বীকার করে বিকল্প ব্যবস্থাসহ প্রান্তিক এলাকায় সতর্কতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা.
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে অক্টোবর এই ১০ মাসে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ১৫৫, দৌলতপুরে ৭৫, কুমারখালীতে ১, মিরপুরে ৫২, ভেড়ামারায় ৯৩, খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৭ জন সাপে কাটা রোগী ভর্তি হয়।
এদের মধ্যে ৭ জন জেনারেল হাসপাতাল ও একজন দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যান। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজন মারা গেছেন। বাকিদের হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে সিভিল সার্জন অফিস থেকে পাওয়া তথ্যনুযায়ী- গত ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত দৌলতপুরে ৬৩, মিরপুরে ১০, ভেড়ামারায় ৩০ ভায়াল অ্যান্টিভেনম মজুত থাকলেও জেনারেল হাসপাতাল, কুমারখালী ও খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোন অ্যান্টিভেনম মজুত নেই।
যদিও জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজস্ব তহবিল থেকে ৫০ ভায়ালের উপর অ্যান্টিভেনম কেনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হোসেন ইমাম জানান, এ অঞ্চলে বিষধর সাপের মধ্যে মূলত গোখরা, কালাচ এবং রাসেল ভাইপার অন্যতম। যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের বেশিরভাগই হাসপাতালে আনার ক্ষেত্রে দেরি হয়েছে। সময়মতো চিকিৎসা পেলে অনেক মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব ছিল।
তিনি বলেন, “গ্রামাঞ্চলে সচেতনতার অভাব, কুসংস্কারের কারণে ঝাড়ফুঁক করার প্রবণতা সাপের কামড়ে মৃত্যুহার বাড়িয়ে দিচ্ছে।”
অ্যান্টিভেনম সংকটের বিষয়ে আরএমও বলেন, “হাসপাতালের নিজস্ব তহবিল থেকে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৫০ ভায়ালের উপর অ্যান্টিভেনম কেনা হয়েছে।”
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. শেখ মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, “যে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে অ্যান্টিভেনম সরবরাহের চুক্তি ছিল সেই প্রতিষ্ঠান কাঁচামালের অভাবে উৎপাদন ও সরবরাহ করতে পারছেন না। বিষয়টি সংশ্লিষ্টরা দেখছেন।”
তিনি বলেন, “এখন আর চাহিদাপত্র দেওয়ার সুযোগ নেই। বিকল্প হিসেবে হসপাতালগুলোতে বাজেট দিয়ে দেওয়া হবে। তারা তাদের প্রয়োজন অনুসারে অ্যান্টিভেনম কিনে ব্যবহার করবেন। এছাড়া প্রান্তিক এলাকাগুলোতে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
ঢাকা/কাঞ্চন/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব স থ য কমপ ল ক স স ভ ল স র জন উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যালট ছাপাতে কেপিএম থেকে ৯১৪ মেট্রিক টন কাগজ কিনছে ইসি
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ব্যালট পেপার ছাপাতে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত বিসিআইসির কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান চন্দ্রঘোনা কর্ণফুলি পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম) থেকে ৯১৪ মেট্রিক টন কাগজ কিনছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কাগজের দাম প্রায় ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে ১৭৮ মেট্রিক টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। বাকি ৭৩৬ মেট্রিক টন কাগজ ধাপে ধাপে উৎপাদন করে ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে সরবরাহ করা হবে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
মনোনয়ন বাতিল না করলে স্বতন্ত্র নির্বাচনের ঘোষণা দিলেন বিএনপির টিপু
শেরপুরে বিএনপির প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভ
তিনি জানিয়েছেন, চলতি ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে নির্বাচন কমিশন থেকে রঙিন (সবুজ, গোলাপি, এজুরলেইড) ও বাদামী সালফেট কাগজ মিলে মোট ৯১৪.০০৯ মে. টন কাগজের অর্ডার পাওয়া গেছে। নির্বাচন কমিশন ছাড়াও বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিস (বিএসও), বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়, কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ইতোমধ্যে প্রায় ২ হাজার ৮৯৪ মেট্রিক টন কাগজ সরবরাহের আদেশ পাওয়া গেছে। এসবের বাজার মূল্য প্রায় ৩৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। গত শনিবার পর্যন্ত কাগজ বিক্রি হয়েছে ৯২৩ মেট্রিক টন।
ঢাকা/শংকর/রফিক