কচুরিপানায় ঢাকা পড়ছে লাল শাপলা বিলের সৌন্দর্য
Published: 12th, November 2025 GMT
নরম রোদে ঝলমল করে লাল লাল শাপলায় ভরা বিল। মেঘালয়ের পাহাড়ঘেঁষা সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার চারটি বিলে শীত মৌসুম এলেই ফুটে ওঠে হাজারো শাপলার হাসি। আর সেই হাসি দেখতে ছুটে যান প্রকৃতিপ্রেমীরা। কিন্তু চলতি মৌসুমে বদলে গেছে বিলগুলোর দৃশ্যপট। একসময় বিলগুলোতে শুধু লাল শাপলার আধিপত্য ছিল, তবে সেখানে দখল নিতে শুরু করেছে কচুরিপানা।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার ভাষ্য, ধীরে ধীরে শাপলার সৌন্দর্যকে আড়াল করে বিলের পানিতে ছড়িয়ে পড়ছে কচুরিপানা। এটি চলতে থাকলে বিলগুলোকে পুরোপুরি গ্রাস করবে আগ্রাসী কচুরিপানা।
জৈন্তাপুর উপজেলার ডিবিরহাওরে প্রায় ৯০০ একর জায়গাজুড়ে শাপলা বিলের অবস্থান। স্থানীয় বাসিন্দারা বিলের চারটি অংশকে ভিন্ন ভিন্ন নামে ডাকেন। এগুলো হলো ইয়াম বিল, হরফকাটা বিল, ডিবি বিল ও কেন্দ্রী বিল। ২০১৫ সালে প্রথম আলোতে ছবিসহ ‘লাল শাপলার হাসি’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের পর বিলটি বেশ পরিচিতি পায়। শীত মৌসুম এলেই দেশি-বিদেশি পর্যটক সেখানে ঘুরতে যান এবং বিলের সৌন্দর্যে মুগ্ধতা নিয়ে ফেরেন।
সম্প্রতি দেখা গেছে, ইয়াম বিলে শাপলার পরিবর্তে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে কচুরিপানা। কচুরিপানায় আড়াল হচ্ছে লাল শাপলাগুলো। অন্য বিলগুলোর অবস্থাও তেমন ভালো নয়। সেখানেও ছড়াচ্ছে আগ্রাসী কচুরিপানা।
বিলের এখানে-সেখানে জায়গা দখল করেছে কচুরিপানা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যে পাখি দিনের কাজ শুরু করে ৯ টায়
বিশ্বের বেশিরভাগ পাখি খুব ভোরে জেগে যায়, এবং খাদ্যের সন্ধ্যানে বেরিয়ে পড়ে। সেই বিচারে সেবু ফ্লাওয়ারপেকার আলাদা। নিজেদেরকে অন্যান্য শিকারি পাখির হাত থেকে বাঁচাতে সকালে তারা বাসাতেই থাকে।
সেবু ফ্লাওয়ারপেকার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে খাদ্য সন্ধ্যানে বের হয়। বা এই সময়ের মধ্যে সক্রিয় থাকতে পছন্দ করে।
আরো পড়ুন:
উদ্বেগ কমাতে ‘৫ ৪ ৩ ২ ১’ কৌশল প্রয়োগ করেই দেখুন
শীতে ত্বকের যত্নে ৫ টি নিয়ম মেনে চলতে পারেন
খাদ্য সংগ্রহের সময়, এই পাখি তার পছন্দের ফুলের গাছের দিকে দ্রুত উড়ে যায়। খাবার খায় এবং তারপরে তাৎক্ষণিকভাবে উড়ে যায়। যদিও সেবু ফ্লাওয়ারপেকার খুব কমই ডাকে, এর শব্দ পিগমি ফ্লাওয়ারপেকারের ডাকের মতো।
বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে মনে করা হয়েছিলো যে, পৃথিবীর বন থেকে ফ্লাওয়ারপেকার হারিয়ে গেছে, বা বিলুপ্ত হয়েছে। কিন্তু ১৯৯২ সালে মধ্য সেবু সুরক্ষিত ভূমির ছোট এক চুনাপাথর বনে দেখা দেয়। এবং সেই ধারণা পাল্টে যায়।
সেবু হলো ফিলিপাইনের একটি দ্বীপপুঞ্জ। বর্তমানে ধারণা করা হয়, ৮৫ থেকে ১০৫টি ফ্লাওয়ারপেকার জীবিত আছে। এই অল্পসংখ্যক পাখিকে টিকিয়ে রাখতে জোর চেষ্টা চলছে।
ঢাকা/লিপি