Prothomalo:
2025-11-12@05:20:06 GMT

৩৮ বছর পরও উড়ছে নীল পাখিরা

Published: 12th, November 2025 GMT

১৯৯০ সালের ডিসেম্বর। চট্টগ্রাম বিজয় মেলার মঞ্চের সামনে হাজারো দর্শক। মঞ্চে গিটার, ড্রামস, কি–বোর্ড আর নানা বাদ্যযন্ত্র হাতে একদল তরুণী। তাঁরা গেয়ে ওঠেন ‘এই দিন চিরদিন সূর্যের মতো জ্বলবে’। তাঁদের বাদ্যযন্ত্রের ঝংকারে দর্শকদের মনে জাগে উচ্ছ্বাসের ঢেউ, হাততালিতে মুখর হয়ে ওঠে পুরো প্রাঙ্গণ। মঞ্চে শুধু মেয়েদের নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ একটা কনসার্ট! চট্টগ্রামের দর্শকদের জন্য এটি ছিল সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা। শুধু চট্টগ্রামই বা বলি কেন, গোটা বাংলাদেশই প্রথমবার পেল মেয়েদের নিজস্ব এক ব্যান্ড—‘ব্লু বার্ড’।
তবে আরও আগে, ১৯৮৭ সালে শুরু হয়েছিল ব্লু বার্ডের যাত্রা। সে সময় ‘স্পাইডার’ ছিল চট্টগ্রামের জনপ্রিয় ব্যান্ড। এই ব্যান্ডের পুরোধা ছিলেন জ্যাকব ডায়েস। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত দলটি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গাওয়ার পাশাপাশি একটি প্রশিক্ষণকেন্দ্রও গড়ে তোলে। সেই কেন্দ্রকে ঘিরে জ্যাকব ডায়েসের হাত ধরে উঠে এসেছেন অনেক গুণী শিল্পী। আইয়ুব বাচ্চুও গিটার শিখেছেন জ্যাকবের কাছে। সেই সময়ে একদিন তাঁর মনে হলো, কত ছাত্রী গিটার শেখে, গান শেখে; কিন্তু শেখার পর তাদের আর দেখা মেলে না। তাদের দিয়ে একটা গানের দল করলে কেমন হয়? মনের এই ভাবনাটুকু তিনি শেয়ার করলেন তাঁরই এক ছাত্রী ও কন্যা রুদমিলা ডায়েসের সঙ্গে। বাবার এমন প্রস্তাবে রুদমিলার মনেও স্বপ্নেরা ডানা মেলে। বাবার মতো সেও একদিন মঞ্চে গান গাইবে। শত শত মানুষ করতালি দেবে। রুদমিলার বয়স তখন ১৩। আরেক ছাত্রী আনজুমান আরাকেও নিজের স্বপ্নের কথা বললেন জ্যাকব। সেও খুব উৎসাহী। তাদের সাড়ায় জ্যাকব প্রেরণা পেলেন। বললেন আরও কয়েকজনকে। সবার মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ।

একদিন সবাইকে ডেকে জ্যাকব ঘোষণা দিলেন—দলের নাম হবে ব্লু বার্ড। আমাদের দেশের প্রথম নারী ব্যান্ডটির এভাবেই যাত্রা শুরু হলো। আর সেই ঐতিহাসিক গল্পের চরিত্রগুলো হলো লিড গিটারিস্ট রুদমিলা ডায়েস, বেজ গিটারিস্ট টিনা ডিকস্টা, প্রয়াত ভোকাল ক্যাথরিন ডায়েস, ভোকাল এ্যানিটা বিভেরো, ভোকাল মুক্তা, কি–বোর্ডবাদক আনজুমান আরা, জুমলি চৌধুরী, ড্রামবাদক ঈষিকা সেন, বেজ গিটারিস্ট বিভা গোমস ও ফারজানা।১৯৯২ সালে একটি কানসার্টে গান করছে ব্লু বার্ড.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র দম ল

এছাড়াও পড়ুন:

বিজিবি মোতায়েন হলো ঢাকা ও আশপাশের জেলায়

রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে বিজিবির দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।’

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ আগামীকাল বৃহস্পতিবার ‘লকডাউন’ কর্মসূচি দিয়েছে। তা ঠেকাতে রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে গতকাল মঙ্গলবার জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। এই কর্মসূচির দিন, ১৩ নভেম্বর নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। গত দুই দিনে ঢাকায় কয়েকটি বাসে আগুন ও বিভিন্ন জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘিরে জনমনে সৃষ্ট আতঙ্কের মধ্যে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত আলী।

অন্তত তিন দিন ধরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ও যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। এ পরিস্থিতিতে আজ বিজিবি মোতায়েনের খবর এল।

২০২৪ সালে আন্দোলন দমাতে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচারের রায় হতে পারে দ্রুত। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ এ অবস্থায় ১০ থেকে ১৩ নভেম্বর জেলায় জেলায় বিক্ষোভ এবং ১৩ নভেম্বর লকডাউনের ডাক দিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ