নেকটারে আইসিটিতে অনলাইনে স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স, যোগ্যতা এইচএসসি পাস
Published: 12th, November 2025 GMT
জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমিতে (নেকটার) সিসকো নেটওয়ার্ক সিকোরিটি (১১ ও ১২তম) কোর্সে একাডেমির নির্ধারিত ফরমে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
প্রশিক্ষণ কোর্সের নামপ্রশিক্ষণ কোর্স: সিসকো নেটওয়ার্ক সিকোরিটি (১১ ও ১২তম)।
প্রশিক্ষণ যোগ্যতান্যূনতম এইচএসসি পাস/সমমান পাস।
আরও পড়ুনচীনে উচ্চশিক্ষা: আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য আসছে বড় পরিবর্তন ১০ নভেম্বর ২০২৫প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ১.
২. সপ্তাহে ৩ দিন, মোট ৩০ দিন।
কোর্স ফি১ হাজার ৫০০ টাকা
প্রশিক্ষণ কোর্সের ধরনপ্রশিক্ষণ কোর্সটি অনলাইন করানো হবে।
আরও পড়ুনমেডিকেল-ডেন্টালে ভর্তিতে আবেদন শুরু, সরকারি মেডিকেলে আসন পুনর্বিন্যাস২২ ঘণ্টা আগেকোর্সের সময়সূচি১. কোর্স শুরু হবে: ৬ ডিসেম্বর ২০২৫
২. কোর্স শেষ হবে: ৫ মার্চ ২০২৬
৩. প্রশিক্ষণের সময়: বেলা ২টা-বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
আবেদনের শর্তাবলি১. আবেদনকারীকে ছবি এবং সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্যাদিসহ (স্ক্যান কপি) www.nactar.gov.bd অথবা www.nactar.org
ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত নির্ধারিত লিংকের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
২. আবেদনকারীর User Account–এর Dashboard থেকে প্রবেশপত্র বা পরীক্ষার রোল নম্বর সংগ্রহ করতে পারবেন।
৩. আবেদনকারীকে Basic Computer ও Networking বিষয়ে অনলাইনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
৪. ফলাফল ও ভর্তি ফি জমার বিষয়ে ২৭ নভেম্বর ২০২৫ নেকটার ওয়েবসাইটে বিস্তারিত জানানো হবে।
৫. অনলাইনে পরীক্ষার লিংক নির্ধারিত সময়ের পূর্বে User Account–এর Dashboard প্রদর্শিত হবে।
আরও পড়ুনজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পদ্ধতি বদলে গেল, প্রজ্ঞাপন জারি১০ নভেম্বর ২০২৫ভর্তি বিস্তারিত১. অনলাইনে আবেদনের শেষ তারিখ: ২৫ নভেম্বর ২০২৫
২. ভর্তি পরীক্ষা তারিখ: ২৬ নভেম্বর ২০২৫, সকাল ১১টায়
৩. ভর্তি পরীক্ষা: পরীক্ষা অনলাইনে হবে।
# বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
মানবিক থেকে পড়েও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, শাহীন আক্তারের গল্প যেন অনুপ্রেরণার
সাতক্ষীরার প্রত্যন্ত গ্রামে শৈশব কাটানো শাহীন প্রথম কম্পিউটারে হাতেখড়ি ২০০৫ সালে, স্কুলে সরকারের দেওয়া কম্পিউটারে গেম খেলার মাধ্যমে। সেই সময় থেকেই মনে জন্ম নেয় এক স্বপ্ন—একদিন কম্পিউটার নিয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করবেন। তবে প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুলে পড়ার কারণে তিনি জানতেন না, কম্পিউটার বিষয়ে পড়তে হলে এসএসসি ও এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে থাকতে হয়। ফলে তিনি মানবিক বিভাগ থেকেই এসএসসি ও এইচএসসি সম্পন্ন করেন এবং কম্পিউটার বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ না থাকার কারণে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তবু প্রযুক্তির প্রতি তাঁর আগ্রহ ও আকর্ষণ কখনই কমেনি।
একদিন হঠাৎ ফেসবুকে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-বাংলাদেশ ইসলামিক সলিডারিটি এডুকেশন ওয়াক্ফ (আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউ) আইটি স্কলারশিপ প্রোগ্রাম সম্পর্কে জানতে পারেন। এরপর আবেদন করেন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে রাউন্ড ৪২-এ ‘এন্টারপ্রাইজ সিস্টেমস অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ডিজাইন-সি#.নেট (Enterprise Systems Analysis & Design-C#) কোর্সে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হন। ১৪ মাসের কোর্স শেষে প্রোগ্রামের প্লেসমেন্ট সেলের সহায়তায় একজন সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে নেক্সটেল কমিউনিকেশনে পেশাগত জীবন শুরু করেন। এখানে চাকরিরত থেকে ইউনির্ভাসিটি অব সাউথ এশিয়া থেকে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। নিজের দক্ষতাকে আরও উচ্চতায় নেওয়ার জন্য তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাপ্লাইড পরিসংখ্যান অ্যান্ড ডেটা সায়েন্স বিষয়ে আরও একটি মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি স্বাধীন মিউজিক লিমিটেড নামের একিট প্রতিষ্ঠানে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দেন।
তরুণদের শাহীন আক্তার বলেন, প্রতিদিন একটু একটু করে শেখার চেষ্টা করুন। সুযোগ কখন, কোথা থেকে আসবে, কেউ জানেন না; কিন্তু প্রস্তুত থাকলে সেটিই আপনার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই শাহীন আক্তার একজন প্রতিভাবান সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং একটি প্রতিযোগিতামূলক বেতনে স্বাধীন মিউজিক লিমিটেডে কাজ শুরু করেন। তবে উদ্যোক্তা হওয়ার আকাঙ্ক্ষা সব সময়ই তাঁর মধ্যে ছিল।
নিজ অফিসে কাজ করছেন শাহীন আক্তার