সঞ্জয়কে কেন চড় মেরেছিলেন ধর্মেন্দ্র?
Published: 12th, November 2025 GMT
বলিউডের বরেণ্য অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। যদিও এখন বার্ধক্যজনিত কারণে তার শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নেই। সিনেমাপ্রেমীদের প্রিয় নায়ক ধর্মেন্দ্র একবার অভিনেতা সঞ্জয় খানকে কষিয়ে চড় মেলেছিলেন। পরবর্তীতে এ ঘটনার জন্য ‘শিশুর’ মতো কেঁদেছিলেন এই কিংবদন্তি অভিনেতা।
কেন চড় মেরেছিলেন ধর্মেন্দ্র?
ধর্মেন্দ্র একবার তার সহ-অভিনেতা সঞ্জয় খান আয়োজিত পার্টিতে যোগ দেন। ১৯৬৫ সালে ‘হকিকত’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেন তারা। নতুন অভিনেতা হিসেবে সঞ্জয় তখন চলচ্চিত্রের কাস্ট ও টিমের জন্য একটি ছোট পার্টির আয়োজন করেছিলেন। কিন্তু সঞ্জয় খান সেই রাতে মদ্যপ ছিলেন। একপর্যায়ে ইন্ডাস্ট্রির অন্যান্য অভিনেতাদের সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করতে শুরু করেন। শুরুতে ধর্মেন্দ্র ভালোভাবে বুঝিয়ে তাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন এবং এমন মন্তব্য না করার পরামর্শ দেন। কিন্তু ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
আরো পড়ুন:
লাকী আলী-জাভেদ আখতারের পুরোনো দ্বন্দ্ব আলোচনায়, পাল্টাপাল্টি বক্তব্য
হাসপাতালে প্রেম চোপড়া
প্রবীণ অভিনেতা ওম প্রকাশ সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করেন সঞ্জয়। ‘চুপকে চুপকে’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয়ের পর ওম প্রকাশ ও ধর্মেন্দ্রর গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। বন্ধুর প্রতি এই অসম্মান সহ্য করতে পারেননি। এরপর রাগের মাথায় সঞ্জয় খানকে কষিয়ে চড় মারেন ধর্মেন্দ্র।
ধর্মেন্দ্রর অনুতাপ ও ফিরোজ খানের প্রতিক্রিয়া
সঞ্জয়কে চড় মারার পর ধর্মেন্দ্র নিজের কাজের জন্য অনুতপ্ত হন। সঞ্জয়ের ভাই অভিনেতা ফিরোজ খানের বাড়িতে গিয়ে ক্ষমা চান ধর্মেন্দ্র। কিন্তু ফিরোজ তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, “ওর উচিত শিক্ষা হয়েছে। তুমি ঠিক কাজ করেছো। আমি তোমার জায়গায় থাকলে আমিও তাই করতাম।”
ধর্মেন্দ্র ও সঞ্জয়ের পুনর্মিলন
সঞ্জয়কে চড় মারার পরও ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে বন্ধুত্বে কোনো চির ধরেনি। বহু বছর পর ‘টিপু সুলতান’ সিরিয়ালের শুটিং চলাকালীন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সঞ্জয় খান মারাত্মকভাবে আহত হন এবং ৫২ জনের মৃত্যু হয়। খবরটি শুনে সঞ্জয়কে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান ধর্মেন্দ্র। আহত বন্ধুকে দেখে শিশুর মতো কান্নায় ভেঙে পড়েন এই অভিনেতা।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া ডটকম
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র চড় ম র
এছাড়াও পড়ুন:
আমলকী ও ডালিমের রস একসঙ্গে খেলে পাবেন এই চার উপকার
আমলকী ও ডালিমে আছে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট–জাতীয় অন্যান্য উপাদান। সুস্থতার জন্য অপরিহার্য এসব উপাদান যখন একই পানীয় থেকেই পেয়ে যাবেন, তখন পাবেন এসব উপকার—
বাড়বে রোগ প্রতিরোধক্ষমতারোগজীবাণুর আক্রমণ থেকে প্রাথমিক সুরক্ষা পাওয়ার জন্য আপনাকে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি গ্রহণ করতে হবে রোজ। এমনকি ঠান্ডা-কাশি উপশমে প্রদাহ কমাতে কাজে আসে ভিটামিন সি। ক্ষত সারাতেও সাহায্য করে এই ভিটামিন। আমলকী আর ডালিমের রস থেকে আপনি এসব উপকার পাবেন।
হৃৎপিণ্ড থাকবে সুস্থঅ্যান্টি–অক্সিডেন্ট–জাতীয় উপাদান থাকার কারণেই এই পানীয় আমাদের রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আমাদের দেহে প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে।
দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহের কারণে রক্তনালীর ভেতর নেতিবাচক পরিবর্তন ঘটতে পারে। প্রদাহ এবং কোলেস্টেরলের উচ্চ মাত্রার কারণে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। অ্যান্টি–অক্সিডেন্টে ভরপুর আলমকী ও ডালিমের পানীয় পরোক্ষভাবে আপনার হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুনকোন পানীয় কখন আপনার কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে২৮ এপ্রিল ২০২৫ত্বক হবে কোমলবয়সজনিত কারণে ত্বকে যেসব পরিবর্তন হয়, সেসব সামলাতে প্রয়োজন ভিটামিন সি। কারণ, আমাদের ত্বক কোলাজেন নামের যে প্রোটিন দিয়ে গঠিত, সেই প্রোটিন তৈরির জন্য ভিটামিন সি আবশ্যক।
ত্বকের স্বাভাবিক স্থিতিস্থাপকতা এবং কোমলতা ধরে রাখতে তাই খেতে হয় ভিটামিন সি। তাতে বলিরেখার হারও কমে। বুঝতেই পারছেন, আমলকী আর ডালিমের রস ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে কতটা উপকারী।
মস্তিষ্কের ওপর প্রভাবঅ্যান্টি–অক্সিডেন্ট–জাতীয় উপাদান মস্তিষ্কের জন্যও উপকারী। মস্তিষ্কের প্রদাহ কমাতে সহায়ক। মস্তিষ্ককে সতেজ রাখতে এবং স্মৃতিভ্রমের ঝুঁকি কমাতে আমলকী আর ডালিমের রস খেতে পারেন মাঝেমধ্যেই।
আরও পড়ুনএই ৪ পানীয় আর্টারি প্লাক দূর করতে সহায়ক, শুনুন চিকিৎসকের পরামর্শ২৩ অক্টোবর ২০২৫