‘যেভাবে বার্সেলোনা ছাড়ব ভেবেছিলাম’, তা হয়নি মেসির হৃদয়ভরা আক্ষেপ
Published: 12th, November 2025 GMT
লিওনেল মেসি আবারও জানিয়েছেন জীবনের পরের অধ্যায় তিনি কাটাতে চান বার্সেলোনাতেই। ইন্টার মায়ামি তারকা বলেছেন, ২০২১ সালে যে হঠাৎ করে বার্সেলোনা ছাড়তে হয়েছিল, সেটি তাঁর স্বপ্নের বিদায় ছিল না।
সম্প্রতি ক্যাম্প ন্যু-তে হঠাৎ উপস্থিত হয়ে আলোচনায় আসেন মেসি। তখন স্টেডিয়ামটি সংস্কারের কাজ চলছিল। সেখানে তোলা কিছু ছবি তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে লিখেছিলেন, “আশা করি একদিন ফিরে এসে সেই বিদায়টা নিতে পারব, যা খেলোয়াড় হিসেবে কখনো নেওয়া হয়নি।”
আরো পড়ুন:
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের গর্বিত স্পন্সর টেক জায়ান্ট
আলবার বিদায়ী রাতে মেসির রেকর্ড
এর পরদিনই দিয়ারিও স্পোর্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, “আমরা বার্সেলোনাকে ভীষণভাবে মিস করি। বাচ্চারা, আমার স্ত্রী- সবাই মিলে প্রায়ই বার্সেলোনার কথা বলি। আমাদের সেখানে বাড়ি আছে, সবকিছুই আছে। তাই ভবিষ্যতে আমরা সেখানেই ফিরে গিয়ে থাকতে চাই।”
গত রবিবার মেসির সেই হঠাৎ আগমন ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত। আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের হয়ে আলিকান্তেতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি বার্সেলোনায় এসে রদ্রিগো ডি পলকে সঙ্গে নিয়ে সরাসরি ঢুকে পড়েন ক্যাম্প ন্যু-তে।
নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে স্টেডিয়ামে প্রবেশের অনুমতি দেন এবং সেখানেই তোলা কয়েকটি ছবি তিনি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন- মাত্র ২৪ ঘণ্টায় যেগুলোর লাইক সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় ২ কোটি ২০ লাখ! এটাই ছিল ২০২১ সালের পর মেসির প্রথমবার ক্যাম্প ন্যু-তে ফেরা। সেই বছরই তিনি বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দিয়েছিলেন।
সাক্ষাৎকারে মেসি আরও বলেন, “আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি স্টেডিয়ামটা আবার পুরোপুরি শেষ হওয়ার জন্য। কারণ প্যারিসে চলে যাওয়ার পর থেকে আমি আর ক্যাম্প ন্যু-তে ফিরে যেতে পারিনি। এরপর তো বার্সা খেলতে শুরু করে মন্টজুইক অলিম্পিক স্টেডিয়ামে। যখন আবার সেখানে ফিরব, তখন হয়তো খুব অদ্ভুত লাগবে। কারণ শেষবার দেখেছিলাম বহুদিন আগে। কিন্তু ফিরে গিয়ে সব স্মৃতি মনে পড়লে সেটা নিঃসন্দেহে খুব আবেগঘন মুহূর্ত হবে।”
২০২৩ সাল থেকে বার্সেলোনা খেলছে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে। কারণ ক্যাম্প ন্যু–তে চলছে প্রায় ১.
তবে পুরো স্টেডিয়ামের কাজ শেষ হতে সময় লাগবে আরও কয়েক বছর। সম্ভাব্য সময় ২০২৭ সাল। তখন ধারণক্ষমতা বেড়ে দাঁড়াবে ১ লাখ ৫ হাজার। ক্লাব সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, নতুন ক্যাম্প ন্যু উদ্বোধন করতে চান এক বিশেষ ম্যাচ দিয়ে, লিওনেল মেসির সম্মানে। যদিও মেসি সরাসরি কিছু বলেননি, তবে তার কথায় বোঝা যায়, বার্সেলোনার সঙ্গে সম্পর্ক এখনো শেষ হয়নি।
মেসির কণ্ঠে খানিক কষ্ট মিশে ছিল, “যেভাবে সব কিছু ঘটল, তাতে মনটা ভরে না। শেষ কয়েকটা মৌসুম তো আমি দর্শকবিহীন মাঠে খেলেছি, মহামারির সময়। জীবনের পুরোটা সময় যেই ক্লাবে কাটালাম, সেখান থেকে এমন বিদায় কল্পনাও করিনি।”
তিনি আরও বলেন, “আমার পরিকল্পনা ছিল ইউরোপে পুরো ক্যারিয়ারটা বার্সেলোনায় কাটিয়ে তারপর মায়ামিতে যাওয়া। যেমনটা এখন করেছি। কিন্তু পরিস্থিতি এমনভাবে বদলে গেল যে বিদায়টা হয়ে গেল অদ্ভুত, অসম্পূর্ণ।”
আজও তিনি সেই অসম্পূর্ণ বিদায়ের ক্ষত বয়ে বেড়ান। আর আশা রাখেন, একদিন হয়তো ফিরবেন নিজের ঘরে, যেন নিতে পারেন সেই ‘বিদায়’, যেটা কখনো নেওয়া হয়নি।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইটি অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড, পেলেন ৪৪ শিক্ষার্থী ও ৩০ শিক্ষক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (আইটি) অনুষদের শিক্ষার্থীদের তিন বছরের (২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সাল) এবং শিক্ষকদের পাঁচ বছরের (২০২১, ২০২২, ২০২৩, ২০২৪ ও ২০২৫ সাল) ডিনস অ্যাওয়ার্ড ৬ নভেম্বর প্রদান করা হয়েছে। অনুষদের পাঁচটি বিভাগের মোট ৪৪ জন শিক্ষার্থী ডিনস অ্যাওয়ার্ড পান। এ ছাড়া দেশে বা বিদেশে প্রকাশিত গবেষণা গ্রন্থ এবং স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশিত মৌলিক প্রবন্ধের জন্য ৩০ জন শিক্ষককে ডিনস অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক উপমা কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সোনালি ব্যাগের উদ্ভাবক ও বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের সাবেক বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা বিজ্ঞানী মোবারক আহমেদ খান ডিনস অ্যাওয়ার্ডে স্পিকার হিসেবে বক্তব্য দেন। বিভাগীয় চেয়ারম্যানরা ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নাম ঘোষণা করেন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক উপমা কবির।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে কোথায় পড়বেন: সিদ্ধান্ত নিতে মনে রাখুন ‘থ্রি–সি’৫ ঘণ্টা আগেডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত ৪৪ জন শিক্ষার্থী হলেন-জগন্নাথ বিশ্বাস, মো. নিজাম উদ্দিন তানিম, শ্রাবণী সরকার, নাজমুল হাসান নাঈম, আফসানা আনজুম আঁখি, নুসাইবা এহসান, আসমা ইয়াসমিন খান রিমু, মেহরিন ফাত্তাহা, কায়সারী ফেরদৌস, মোহাম্মদ আজমাঈন ফাতিন (ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং), নিশাত তামান্না আদিবা, এহসানুল হক, মো. শাহিদুল ইসলাম, মো. আহসানুল হক মামুন, মো. আবদুল হাসনাত, সাহাল জুবায়ের, তাইমিমা মাহবুব, ফাইরুজ তাহিয়া, ফাতেমা-তুজ-জহুরা (ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল), মো. আমিনুল কাদের বুলবুল, শাবাব মুর্শেদ, রাহিব হাসান, জহির সাদিক মনন, তাহমিদ মোসাদ্দেক, মহিদুল হক মৃদুল, আবদুল্লাহ ইবনে হানিফ আরিয়ান, মাবসুর ফাতিন বিন হোসাইন, ইত্তেহাদ সালেহ চৌধুরী, সৌমিক শাফকাত অভ্র (কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল), এইচ রাইনাদ খান রোহান, কে এম সৌরভ, মো. নবীর হোসেন, মো. ফাহিম ফরায়েজি, তাসফিয়া রহমান রিভা, মাহমুদুল হাসান তামিম, জেরিন তাহসিন আনজুম, তাসনুভা তামিসা অর্পি, ফারহান লাবিব অর্ণব (নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং), মিকদাম-আল-মাদ রৌন, আবদুল মোনাফ চৌধুরী, হুমায়রা রশিদ, সানিয়া কায়েনাত চৌধুরী, মো. এহতেশামুল হক, আতিক তাজওয়ার (রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং)।
আরও পড়ুনপ্রাথমিক শিক্ষকদের তিন দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু৩ ঘণ্টা আগেডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত ৩০ জন শিক্ষক হলেনঅধ্যাপক মো. আবদুর রাজ্জাক (২০২১, ২০২৩, ২০২৫), মো. তানভীর আলম (২০২৪) (কম্পিউটার বিজ্ঞান অ্যান্ড প্রকৌশল), আবুল খায়ের মল্লিক (২০২১, ২০২৩), অধ্যাপক মো. নুরনবী (২০২৪), তাসলিম উর রশিদ (২০২২, ২০২৩), অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম মোল্লা (২০২৪), সাদিত বিহঙ্গ মালিথা (২০২১) (ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল), সেঁজুতি রহমান (২০২১, ২০২৩, ২০২৪) (রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং), মো. আরিফুল ইসলাম (২০২৩), মো. সিফাত-ই- আরমান ভূঁইয়া (২০২৩, ২০২৫), মো. মেহেদী হাসান (২০২৪), মো. হোসাইন শাহাদাত (২০২১), অনিমেষ পাল (২০২১, ২০২৫), অধ্যাপক আফরোজা শেলি (২০২২, ২০২৫) (নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং), মাইনুল হোসেন (২০২২, ২০২৪, ২০২৫), শেখ মো. মাহমুদুল ইসলাম (২০২২, ২০২৩), মো. আহসান হাবীব (২০২৫), ইমতিয়াজ আহমেদ (২০২৪) (ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং)।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘মেধাকে মূল্যায়ন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। মেধার অন্যতম ভিত্তি হলো পরিশ্রম। মনে রাখতে হবে, সাফল্যের পেছনে অনেকের অবদান থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের যে পরম্পরা, তা তোমরা ধরে রেখেছো। এটাই আমাদের গর্ব।’
আরও পড়ুনপ্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা-গণিত: প্রশ্ন নম্বর-৩০৮ নভেম্বর ২০২৫