ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে গত রোববার ও সোমবার আয়োজন করা হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্স অনুষ্ঠান। দেশের ৬৪টি জেলা ও ৮টি বিভাগের ক্রিকেট কোচ, কাউন্সিলর, নারী উদ্যোক্তা প্রতিনিধি ও ক্রীড়া কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান মুগ্ধ করেছে অনেককেই। কিন্তু এই অনুষ্ঠানের শেষটা হয়েছে অব্যবস্থাপনায়। আমন্ত্রণ পেয়েও অনেক সাংবাদিককে যেতে দেওয়া হয়নি অনুষ্ঠানে।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় ও শেষ দিনে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। সেদিন ছিল বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ২৫ বছর পূর্তি। অনেক সাংবাদিক এই অনুষ্ঠানে ঢুকতে না পারার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম। আজ বিসিবির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করা ভিডিওবার্তায় ক্ষমা প্রার্থনা করেন আমিনুল।

ভিডিওবার্তায় সাংবাদিকদের প্রতি বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘গত ১০ নভেম্বর (সোমবার) একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গিয়েছিল। বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্সের দ্বিতীয় দিনে সমাপনী অনুষ্ঠান এবং বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আমরা একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। আমি নিজে আপনাদের সেখানে দাওয়াত দিয়েছিলাম। যদিও এই অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি ও শেষ হতে হতে একটু সময় লেগে গিয়েছিল। কিন্তু যখন বাইরে এসে দেখলাম আপনাদের যথাযথ সম্মান জানানো হয়নি এবং আপনাদের আমন্ত্রণ জানানোর পরও আমন্ত্রণ রক্ষা করার যে কাজ ছিল ক্রিকেট বোর্ডের বা আমার—আমরা সেটায় ব্যর্থ হয়েছি। আপনাদের কাছে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’

বিসিবি সভাপতি এরপর একটি প্রতিশ্রুতি দেন, ‘আপনাদের কথা দিচ্ছি, আমাদের কোন বিভাগের কারণে কেন এই ব্যর্থতাটা এসেছে, সেটা আমরা তদন্ত করব এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’

আরও পড়ুন‘ঢাকা এখন শুধু হেডকোয়ার্টার’—কেন বললেন আমিনুল১০ নভেম্বর ২০২৫

বিসিবি সভাপতি আরও একবার ক্ষমা প্রার্থনা করে কারণটাও বললেন, ‘আপনাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি এই জন্য যে, ক্রিকেটের উন্নয়নে ও এগিয়ে যাওয়ায় অন্যতম বড় একটি অংশীদার হচ্ছেন আপনারা। ভুল আমরা করেছি। ভবিষ্যতে চেষ্টা করব এ ধরনের ভুল আর না করতে। আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন। আমরা সকলে মিলে ক্রিকেটকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। আপনারা ভালো থাকবেন এবং সব সময় আমাদের যেভাবে সহযোগিতা করেছেন আশা করি সেভাবে শুধু সহযোগিতাই করবেন না, আমাদের এই যাত্রার একটি অংশ হয়ে থাকবেন। আপনাদের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করছি।’

আরও পড়ুনদুই দিনের ক্রিকেট কনফারেন্স, শোনা হবে সবার কথা০৮ নভেম্বর ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন র আপন দ র আম দ র আম ন ল

এছাড়াও পড়ুন:

সাফারি পার্কে উগান্ডার জাতীয় পাখি ‘গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন’ ছানার জন্

গাজীপুরের শ্রীপুরের গাজীপুর সাফারি পার্কে প্রথমবারের মতো উগান্ডার জাতীয় পাখি গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন-এর ছানার জন্ম হয়েছে। দেশের প্রাণিবৈচিত্র্যের গবেষণা ও সংরক্ষণে এটি একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।

পার্কসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পার্কের ধনেশ অ্যাভিয়ারিতে থাকা এক জোড়া গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন এর আগে বেশ কয়েকবার ডিম দিলেও কোনো ছানা বাঁচেনি। তবে এবার সুচিন্তিত পরিচর্যা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে ডিম থেকে সফলভাবে একটি সুস্থ ছানা বের হয়।

গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে প্রথম ডিম পাড়ে স্ত্রী পাখি। পরপর আরো দুটি ডিম পাড়ে। পাখি দুটির স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও ডিম রক্ষায় বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়। নির্দিষ্ট স্থানে ঝোপঝাড় ঘেরা নিরাপদ কোণে স্ত্রী ও পুরুষ পাখি পালা করে ডিমে তা দেয়। তিনটি ডিমের মধ্যে একটি থেকে ছানার জন্ম হয়।

ধনেশ অ্যাভিয়ারির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী সোহাগ হাসান বলেন, “দিনের বেশির ভাগ সময় স্ত্রী ও পুরুষ পাখি ছানাটিকে ঘন জঙ্গলের ভিতরে আড়াল করে রাখে। তবে দুপুরে স্বল্প সময়ের জন্য তিনটি একসঙ্গে আশপাশে বিচরণ করে। তখন পাখি দুটির মাঝামাঝি হেঁটে চলতে দেখা যায় ছানাটিকে।”

পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার সরোয়ার হোসেন খান বলেন, “গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন আফ্রিকার উগান্ডার জাতীয় পাখি। এটি ২০১৩ সালে সাফারি পার্কে আনা হয়। কয়েক দফা ডিম পাড়লেও এতদিন ছানা পাওয়া যায়নি। এবারই দেশে প্রথমবারের মতো এই প্রজাতির ছানা ফুটলো। উন্মুক্ত পরিবেশে এদের আয়ু প্রায় ২০ বছর। আবদ্ধ পরিবেশে ২৫ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে এরা। তিন বছর বয়সে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে সঙ্গী নির্বাচন করে এবং একবার জুটি বাঁধলে সারা জীবন পাশাপাশি থাকে।”

সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সহকারী বন সংরক্ষক) মো. তারেক রহমান বলেন, “এই ছানার জন্ম পার্কের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আমরা আশা করছি ছানাটি সুস্থভাবে বেড়ে উঠবে। ভবিষ্যতে এই জুটি আরো বংশবিস্তার করবে বলে আশাবাদী।”

ঢাকা/রফিক/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ