ধামরাই বাজারে চাল-ডাল স্থিতিশীল, বেড়ছে সবজি-আলু-পেঁয়াজের দাম
Published: 12th, November 2025 GMT
সরবরাহের ঘাটতিতে ঢাকার ধামরাইয়ের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারের দামে ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। অতিরিক্ত দাম নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন ক্রেতারা। আর বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে দাম বাড়ায় কমেছে বিক্রি।
সরেজমিনে বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে ধামরাইয়ের বড় বাজার, কালামপুর, ধানতারা, হাতকোড়া, বারবাড়িয়া, কাওয়ালীপাড়া, বাথুলিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে এসব তথ্য জানা যায়।
এসব বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা দরে, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০ টাকা করে। গেল সপ্তাহে ১০০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচা মরিচ গেল সপ্তাহে ছিল ১২০ টাকা, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা প্রতি কেজি। আদা ১৬০ টাকা প্রতি কেজি, ১২০ টাকা কেজি রসুন ও শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা প্রতি কেজি দরে। এগুলোর দাম গেল সপ্তাহের তুলনায় অপরিবর্তিত রয়েছে।
সবজির বাজারেও দামের কিছুটা হেরফের দেখা যায়। বেগুন গেল সপ্তাহের তুলনায় ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা প্রতি কেজি, কদর ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে, করলা ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। অপরিবর্তিত রয়েছে কিছু সবজির দাম। এরমধ্যে ফুল কপি ১০০ টাকা কেজি, মুলা ৪০ টাকা কেজি, পটল ৮০ টাকা কেজি, টমেটো ১২০ টাকা কেজি, শসা ৬০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর কিছুটা কমেছে বাঁধা কপির দাম। গেল সপ্তাহে ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া বাঁধা কপি এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা করে।
চাল, আটা ও তেলের বাজারে দেখা গেছে স্থিতিশীলতা। ২৯ জাতের চাল ৬০ টাকা প্রতি কেজি, চিনিগুড়া চাল ও রাজভোগ চাল ১২০-১৩০ টাকা কেজি, আটা ৪৫-৫০ টাকা প্রতি কেজি, চিকন মসুর ডাল ১৬০ টাকা কেজি, মোটা মসুর ডাল ৯০-১০০ টাকা ও সয়াবিন তেল ১৮৮ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অসন্তোষ জানিয়েছেন ক্রেতারা। অবিলম্বে দাম কমাতে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
দিপংকর দাস নামে একজন ক্রেতা বলেন, “দাম তো বাড়ছেই শুধু, কমার নাম নাই। এভাবে চললে খাবো কীভাবে? চলবো কীভাবে?”
অন্য দিকে বিক্রেতারা বলছেন, গেল সপ্তাহের তুলনায় সরবরাহের কিছুটা ঘাটতি থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে।
মাসুদ রানা নামে একজন বিক্রেতা বলেন, “পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে। আমরা বেশি দামে কিনছি। তাই সামঞ্জস্য করে বিক্রি করতে হচ্ছে।”
ঢাকা/সাব্বির/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রমজান উপলক্ষে ১০ পণ্যের আমদানিতে নগদ মার্জিন ন্যূনতম রাখার নির্দে
পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে ১০টি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ঋণপত্র (এলসি) খোলার সময় নগদ মার্জিন ন্যূনতম রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক নিখোঁজ
বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে সরকার বিবেচনা করতে পারে: বাংলাদেশ ব্যাংক
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যাংকার–গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, মটর, মসলা ও খেজুর-এই ১০টি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নগদ মার্জিন সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখতে হবে। এ নির্দেশনা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে এবং ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বহাল থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, রমজান মাসে এসব পণ্যের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। তাই আমদানি সহজীকরণের মাধ্যমে বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ বজায় রাখা ও মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এর আগে রমজান মৌসুমে কিছু ভোগ্যপণ্যের আমদানিতে ১০০ শতাংশ নগদ মার্জিন সংরক্ষণের নির্দেশনা ছিল। পরে আমদানি পরিস্থিতি ও বাজারের চাহিদা বিবেচনায় ব্যাংকার–গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সেই হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার সুযোগ দেওয়া হয়, যা সর্বশেষ গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ ছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ বাজারে এসব পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে ব্যাংকগুলোকে সংশ্লিষ্ট আমদানি ঋণপত্র স্থাপনে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
ঢাকা/নাজমুল/সাইফ