আওয়ামী লীগ আমলে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা সাবেক সংসদ সদস্যদের বিলাসবহুল ৩১টি গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তাঁরা সবাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন।

শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা এসব গাড়ি যানবাহন অধিদপ্তরে হস্তান্তরের জন্য আজ বুধবার এ–সংক্রান্ত বিশেষ আদেশ জারি করেছে এনবিআর। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। যথাযথ শুল্ক না দেওয়ায় এসব গাড়ি যানবাহন অধিদপ্তরে দিচ্ছে এনবিআর।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের কয়েকজন সদস্যের বিশেষ শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা গাড়ির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে কি না, জানতে চেয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস নির্দেশনা চায়। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর এনবিআর চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসকে জানিয়ে দেয়, আমদানি করা গাড়িগুলো খালাসের ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে না এবং আমদানিকারকেরা স্বাভাবিক হারে শুল্ক-কর পরিশোধ করে গাড়িগুলো খালাস করতে পারবেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্দেশনা অনুসারে, শুল্ক-কর পরিশোধ করে আমদানি করা ৩১টি গাড়ি আমদানিকারকদের কেউ খালাস করেননি। তাই ২০২৩ সালের কাস্টমস আইনের ধারা ৯৪(৩) অনুসারে গাড়িগুলো নিলামে তোলা হয়। ওই নিলামে কোনো নিলামকারী গাড়িগুলোর যৌক্তিক মূল্য বিড না করায় গাড়িগুলো নিলামে বিক্রি না করে অতি মূল্যবান গাড়িগুলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরের জন্য এই বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে।

শুল্ক-কর কত

শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা ওই ৩১টি গাড়ির মোট প্রদেয় শুল্ক-করের পরিমাণ ২৬৯ কোটি ৬১ লাখ ৮৯ হাজার ৬০০ টাকা। উচ্চ মূল্যের এসব গাড়ির মধ্যে আরোপযোগ্য শুল্ক-করের সর্বোচ্চ ৯ কোটি ৪৪ লাখ ৮৩ হাজার ৩০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন শুল্ক-করের পরিমাণ ৮ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৪০০ টাকা।

এনবিআর আরও বলছে, সংশ্লিষ্ট গাড়ির আমদানিকারক ভবিষ্যতে প্রযোজ্য সমুদয় শুল্ক ও কর পরিশোধ করে গাড়িগুলো আইনি পদ্ধতিতে খালাস করতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস তা আমদানিকারকের অনুকূলে খালাস করতে পারবে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস আমদানিকারকের অনুকূলে খালাসের ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ওই গাড়িগুলো সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে ফেরত দেবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ ল কম ক ত স ব ধ য় শ ল ক কর খ ল স কর এনব আর

এছাড়াও পড়ুন:

১২ হাজার শিক্ষককে আইসিটির প্রশিক্ষণ দেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর ও সময়োপযোগী করতে ২০২৬ সালের মধ্যে অন্তত ১২ হাজার কলেজশিক্ষককে আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণের লক্ষ্য নিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন কলেজের ৯০ জন আইসিটি শিক্ষককে কোর ট্রেইনার হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

এ–সংক্রান্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই কোর ট্রেইনাররা পরবর্তী ধাপে সারা দেশের ৯০০ জন শিক্ষককে মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে প্রশিক্ষণ দেবেন। মাস্টার ট্রেইনারদের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে সারা দেশের প্রায় ১২ হাজার শিক্ষককে আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে, যাঁরা শিক্ষার্থীদের নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী আইসিটি কোর্স পড়াবেন।

আরও পড়ুনমানবিক বিভাগ থেকে পড়েও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, শাহীন আক্তারের গল্প যেন অনুপ্রেরণার ১১ নভেম্বর ২০২৫

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি ভবনের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম আমানুল্লাহ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য কাইয়ুম আরা বেগম এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মামুনুর রশীদ ভূঞা, এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক মো. আবদুর রফিক এবং ইউনিসেফের চিফ অব এডুকেশন দীপা শংকর।

আরও পড়ুনস্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকাম স্কলারশিপ, ইউরোপে বিনা খরচে উচ্চশিক্ষা৭ ঘণ্টা আগে

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক মো. আবুদ্দারদা স্বাগত বক্তব্য দেন এবং এটুআই প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট লিড আবদুল্লাহ আল ফাহিম প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানের শেষে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী ৯০ জন কোর ট্রেইনার শিক্ষকের হাতে সনদ তুলে দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ