বার্সাকে খুব মিস করেন মেসি, ইউরোপিয়ান ক্যারিয়ারটা কাটাতে চেয়েছিলেন বার্সাতেই
Published: 12th, November 2025 GMT
গত রোববার গভীর রাতে পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষ যখন ঘুমিয়ে, লিওনেল মেসির পা পড়েছিল আলোঝলমলে ক্যাম্প ন্যুর ঘাসে। এটি এমন মুহূর্ত, যার জন্য মেসি অপেক্ষায় ছিলেন চার বছর। সেই মুহূর্ত মেসিকে মনে করিয়ে দিয়েছে অসংখ্য পুরোনো স্মৃতি, অর্জন ও বেদনার গল্প।
মেসির ক্যাম্প ন্যু ভ্রমণের সময় সংবাদমাধ্যমের কোনো ক্যামেরা ছিল না, ছিল না আনুষ্ঠানিক আয়োজনও। কিন্তু সেই ফেরায় ছিল গভীর আবেগ, যা শুধু মেসিকেই নয়, স্পর্শ করেছে বার্সেলোনার কোটি কোটি সমর্থককেও। ক্যাম্প ন্যু থেকে ফিরে আবেগঘন এক বার্তাও দেন মেসি। যেখানে প্রকাশ পেয়েছে ক্যাম্প ন্যুতে তাঁর ফেরার আকাঙ্ক্ষাও।
মেসি সেই একই আকাঙ্ক্ষার কথা আরও খোলাসা করে বলেছেন স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম স্পোর্তকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে। বার্সেলোনা এখনো তাঁর হৃদয়ে—সে কথা বলেছেন এই আলাপচারিতায়। এর পাশাপাশি মেসি জানিয়েছেন, তিনি ও তাঁর পরিবার স্পেনের এ শহর নিয়ে নিয়মিতই কথা বলেন।
আরও পড়ুনক্যাম্প ন্যুতে ফিরে আবেগাপ্লুত মেসি, কী লিখেছেন ইনস্টাগ্রামে১০ নভেম্বর ২০২৫বার্সেলোনাকে কতটা মিস করেন তা জানাতে গিয়ে মেসি বলেছেন, ‘আমরা বার্সেলোনাকে খুব মিস করি। আমার সন্তানেরা, আমার স্ত্রী আর আমি সব সময়ই আবার সেখানে বসবাস করার কথা বলি। আমাদের সেখানে বাড়ি আছে, সবকিছু আছে। তাই ঠিক এটাই আমরা চাই।’
একই সাক্ষাৎকারে ক্যাম্প ন্যুতে ফিরে যাওয়ার দিন কী অনুভব করবেন, তা মেসি কল্পনা করেছিলেন এভাবে, ‘(সংস্কার করা) নতুন স্টেডিয়ামে ফিরে যাওয়া অদ্ভুত লাগবে…এ জায়গার সব স্মৃতি মনে পড়ে খুব আবেগপ্রবণ অনুভূতি হবে।’ মজার ব্যাপার হচ্ছে, মেসি জানতেন না যে সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হওয়ার আগেই তাঁর সংস্কার করা ক্যাম্প ন্যু দেখার অভিজ্ঞতা হবে।
বার্সেলোনা ক্লাব ছাড়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর কেঁদে ফেলেছিলেন লিওনেল মেসি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
১২ হাজার শিক্ষককে আইসিটির প্রশিক্ষণ দেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর ও সময়োপযোগী করতে ২০২৬ সালের মধ্যে অন্তত ১২ হাজার কলেজশিক্ষককে আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণের লক্ষ্য নিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন কলেজের ৯০ জন আইসিটি শিক্ষককে কোর ট্রেইনার হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
এ–সংক্রান্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই কোর ট্রেইনাররা পরবর্তী ধাপে সারা দেশের ৯০০ জন শিক্ষককে মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে প্রশিক্ষণ দেবেন। মাস্টার ট্রেইনারদের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে সারা দেশের প্রায় ১২ হাজার শিক্ষককে আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে, যাঁরা শিক্ষার্থীদের নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী আইসিটি কোর্স পড়াবেন।
আরও পড়ুনমানবিক বিভাগ থেকে পড়েও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, শাহীন আক্তারের গল্প যেন অনুপ্রেরণার ১১ নভেম্বর ২০২৫রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি ভবনের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম আমানুল্লাহ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য কাইয়ুম আরা বেগম এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মামুনুর রশীদ ভূঞা, এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক মো. আবদুর রফিক এবং ইউনিসেফের চিফ অব এডুকেশন দীপা শংকর।
আরও পড়ুনস্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকাম স্কলারশিপ, ইউরোপে বিনা খরচে উচ্চশিক্ষা৭ ঘণ্টা আগেজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক মো. আবুদ্দারদা স্বাগত বক্তব্য দেন এবং এটুআই প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট লিড আবদুল্লাহ আল ফাহিম প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের শেষে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী ৯০ জন কোর ট্রেইনার শিক্ষকের হাতে সনদ তুলে দেওয়া হয়।