সাহারা মরুভূমির নামটি শুনলেই ভাবনাপটে ভেসে ওঠে দিগন্ত বিস্তৃত বালুরাশির কথা। মরুভূমি মানেই যেন- মাইলের পর মাইল জনবিরল, উদ্ভিদ ও পানিশূন্য স্থান। যার প্রান্তর ধরে উটের পিঠে চড়ে বেড়ায় বেদুইন। সাধারণ মানুষ মরুরভূমিতে পথ হারানোর ভয়ে আচ্ছন্ন থাকে অথবা মরুর বুকে হঠাৎ জেগে ওঠা মরূদ্যান কিংবা মরুভূমিতে তারকাশোভিত রাতের কথা ভেবে আপ্লুত হয়।
কিন্তু মরুভূমিতেই যে রয়েছে নদী, তা জানেন কী? বলছি আফ্রিকা অঞ্চলের সাহারা মরুভূমির কথা। এটি আয়তনের দিক দিয়ে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মরুভূমি। আর সাহারা হরো সবচেয়ে বড় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় মরুভূমি। এই মরুভূমির আয়তন ৯০ লাখ বর্গকিলোমিটার (৩৫ লাখ বর্গমাইল)। আফ্রিকার উত্তরে মিসর, মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, লিবিয়া, সুদান, মালিসহ প্রায় ১১টি দেশজুড়ে রয়েছে
আরো পড়ুন:
যে পাখি দিনের কাজ শুরু করে ৯টায়
উদ্বেগ কমাতে ‘৫ ৪ ৩ ২ ১’ কৌশল প্রয়োগ করেই দেখুন
আফ্রিকা মহাদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশজুড়ে সাহারা মরুভূমির বিস্তার।
জানা যায়, সাহারা মরুভূমির লিবিয়া ও আলজেরিয়া অংশে প্রচুর তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়া যায়। এ ছাড়া তামা, লোহা ও ফসফরাস রয়েছে। এই মরুভূমিতে বছরে গড় বৃষ্টি প্রায় ৪ থেকে ১০ ইঞ্চি। এবং সাহারাতেই রয়েছে ২টি নদী ও ২০টি মৌসুমি হ্রদ রয়েছে।
সাহারা মরুভূমি পৃথিবীর জনবিরলতম ভূমিগুলোর একটি। জনসংখ্যা মাত্র পঁয়ত্রিশ লাখ। এই মরুভূমির প্রতি বর্গমাইলে মাত্র একজন মানুষ বসবাস করে এখানে এবং বাসিন্দাদের প্রায় সবাই বেদুইন অর্থাৎ এদের স্থায়ী কোনো নিবাস নেই।
উট ও মেষের পাল নিয়ে মরুরবুকে তারা ছুটে চলে চারণ ভূমির সন্ধানে। এখানে প্রধান ভাষা হলো আরবী। বলতে গেলে সাহারা অঞ্চলে প্রায় সবাই লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা হিসাবে আরবী বলতে এবং বুঝতে পারে। এই অঞ্চলের প্রধান ধর্ম হলো ইসলাম। এছাড়া অন্যান্য ধর্মেরও কিছু অনুসারী রয়েছে।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, সাহারা মরুভূমি একসময় ছিল উর্বর ভূমি এবং সেটি খুব বেশি দিন আগের কথা নয়! আজ থেকে প্রায় ১০ হাজার বছর আগে হঠাৎ জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে প্রচুর বৃষ্টিপাতের দরুণ পুরো সাহারা অঞ্চল স্যাভানায় পরিণত হয়েছিল যা স্থায়ী হয়েছিল প্রায় ৫,০০০ বছর।
পরিবেশবিদরা তাই ধারণা করছেন অদূর ভবিষ্যতে বদলে যাবে সাহারার বর্তমান চিত্র। হয়ত আরও প্রসারিত পারে সাহারা কিংবা আবারও সবুজ জেগে উঠতে পারে এই মরুভূমিতে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কী কী আছে মরুভূমি সাহারায়?
সাহারা মরুভূমির নামটি শুনলেই ভাবনাপটে ভেসে ওঠে দিগন্ত বিস্তৃত বালুরাশির কথা। মরুভূমি মানেই যেন- মাইলের পর মাইল জনবিরল, উদ্ভিদ ও পানিশূন্য স্থান। যার প্রান্তর ধরে উটের পিঠে চড়ে বেড়ায় বেদুইন। সাধারণ মানুষ মরুরভূমিতে পথ হারানোর ভয়ে আচ্ছন্ন থাকে অথবা মরুর বুকে হঠাৎ জেগে ওঠা মরূদ্যান কিংবা মরুভূমিতে তারকাশোভিত রাতের কথা ভেবে আপ্লুত হয়।
কিন্তু মরুভূমিতেই যে রয়েছে নদী, তা জানেন কী? বলছি আফ্রিকা অঞ্চলের সাহারা মরুভূমির কথা। এটি আয়তনের দিক দিয়ে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মরুভূমি। আর সাহারা হরো সবচেয়ে বড় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় মরুভূমি। এই মরুভূমির আয়তন ৯০ লাখ বর্গকিলোমিটার (৩৫ লাখ বর্গমাইল)। আফ্রিকার উত্তরে মিসর, মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, লিবিয়া, সুদান, মালিসহ প্রায় ১১টি দেশজুড়ে রয়েছে
আরো পড়ুন:
যে পাখি দিনের কাজ শুরু করে ৯টায়
উদ্বেগ কমাতে ‘৫ ৪ ৩ ২ ১’ কৌশল প্রয়োগ করেই দেখুন
আফ্রিকা মহাদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশজুড়ে সাহারা মরুভূমির বিস্তার।
জানা যায়, সাহারা মরুভূমির লিবিয়া ও আলজেরিয়া অংশে প্রচুর তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়া যায়। এ ছাড়া তামা, লোহা ও ফসফরাস রয়েছে। এই মরুভূমিতে বছরে গড় বৃষ্টি প্রায় ৪ থেকে ১০ ইঞ্চি। এবং সাহারাতেই রয়েছে ২টি নদী ও ২০টি মৌসুমি হ্রদ রয়েছে।
সাহারা মরুভূমি পৃথিবীর জনবিরলতম ভূমিগুলোর একটি। জনসংখ্যা মাত্র পঁয়ত্রিশ লাখ। এই মরুভূমির প্রতি বর্গমাইলে মাত্র একজন মানুষ বসবাস করে এখানে এবং বাসিন্দাদের প্রায় সবাই বেদুইন অর্থাৎ এদের স্থায়ী কোনো নিবাস নেই।
উট ও মেষের পাল নিয়ে মরুরবুকে তারা ছুটে চলে চারণ ভূমির সন্ধানে। এখানে প্রধান ভাষা হলো আরবী। বলতে গেলে সাহারা অঞ্চলে প্রায় সবাই লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা হিসাবে আরবী বলতে এবং বুঝতে পারে। এই অঞ্চলের প্রধান ধর্ম হলো ইসলাম। এছাড়া অন্যান্য ধর্মেরও কিছু অনুসারী রয়েছে।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, সাহারা মরুভূমি একসময় ছিল উর্বর ভূমি এবং সেটি খুব বেশি দিন আগের কথা নয়! আজ থেকে প্রায় ১০ হাজার বছর আগে হঠাৎ জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে প্রচুর বৃষ্টিপাতের দরুণ পুরো সাহারা অঞ্চল স্যাভানায় পরিণত হয়েছিল যা স্থায়ী হয়েছিল প্রায় ৫,০০০ বছর।
পরিবেশবিদরা তাই ধারণা করছেন অদূর ভবিষ্যতে বদলে যাবে সাহারার বর্তমান চিত্র। হয়ত আরও প্রসারিত পারে সাহারা কিংবা আবারও সবুজ জেগে উঠতে পারে এই মরুভূমিতে।
ঢাকা/লিপি