খুলনা মহানগরীর পাওয়ার হাউজ মোড় ও সাচিবুনিয়া বাইপাস সড়কে ঝটিকা মিছিল করে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ এবং কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ। 

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে উভয় স্থানে এই ঝটিকা মিছিল হয়। এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচ জনকে আটক করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, লবণচরার সাচিবুনিয়া টেক্সটাইল মিলের পাশে বাইপাস সড়কে রাত ৮ টার দিকে ৪০/৫০ জন ঝটিকা মশাল মিছিল বের করে। খুলনা জেলা যুবলীগের উদ্যোগে এ মিছিল বের হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ পৌঁছালে তারা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ সেখানে এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।

একই সময় মহানগরীর পাওয়ার হাউজ মোড়ে ছাত্রলীগের কয়েকজন ঝটিকা মিছিল বের করে। খবর পেয়ে সদর ও সোনাডাঙ্গা মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

কেএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) সুদর্শন কুমার রায় বলেন, “কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের ৮/১০ জন রাতে ফেরীঘাটের মোড় থেকে মিছিল বের করার চেষ্টা করে। স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় খুলনা ও সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ সেখান থেকে তিন জনকে আটক করে।”

জানা গেছে, ১৩ নভেম্বরকে কেন্দ্রকে মহানগরীতে পুলিশ ব্যাপক নিরাপত্তা নিয়েছে। এর আগে নগরীতে পুলিশের চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে।

উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) তাজুল ইসলাম বলেন, “১৩ নভেম্বর নিরাপত্তায় মাঠে থাকবে ইউনিফর্ম পারা পুলিশ, সিটিএসবি এবং সঙ্গে থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশ। মোবাইল টিম এবং চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে।”

অপরদিকে, খুলনা জেলা ও মহানগর এনসিপি’র দলীয় কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) গভীর রাতে শহরের টাইগার গার্ডেন সংলগ্ন এনসিপি কার্যালয়ে এ হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাত আনুমানিক ১টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত হঠাৎ দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং আসবাবপত্র নষ্ট করে। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই দলীয় নেতাকর্মীরা কার্যালয়ে পৌঁছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করেন। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি।

এ বিষয়ে এনসিপি’র খুলনা জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী মাহমুদুল হাসান বলেন, “এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।”

ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

অন্তর্বর্তী সরকার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করে যাবে: অর্থ উপদেষ্টা

নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করার কাজটা জাতীয় বেতন কমিশন স্বাধীনভাবে করছে বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, কাজটা অনেক জটিল, তবে অন্তর্বর্তী সরকার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বেতন কমিশনের প্রতিবেদন (বেতন কাঠামো) চূড়ান্ত করে যাবে। আশা করা যায়, আগামী সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেবে।

আজ বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন।

রাজনৈতিক সরকার এলে ঝুলে যাওয়ার আশঙ্কা আছে বলে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ফলে অন্তর্বর্তী সরকার নতুন বেতন কাঠামো দিয়ে যেতে পারবে কি না, এটা ছিল সালেহউদ্দিন আহমেদের কাছে প্রশ্ন।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সাত থেকে আট বছর কিছু হয়নি। আমরা তো একটা উদ্যোগ নিয়েছি। ক্ষোভের পরিবর্তে বরং আমাদের ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। অনেক চিন্তা-ভাবনা করে কাজটি করা হচ্ছে। আগামী সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেবে না, তা আমার মনে হয় না।’

বেসামরিক, সামরিকসহ মোট তিনটা প্রতিবেদন (আরেকটা বিচার বিভাগ) পাওয়ার পর পারস্পরিক সামঞ্জস্য দেখা হবেও বলে জানান সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘কাজগুলো করতে একটু সময় লাগে। প্রশাসনিক কিছু প্রক্রিয়া আছে। সচিব কমিটি দেখবে, জনপ্রশাসন দেখবে। অর্থ বিভাগের সম্পৃক্ততাও আছে। তারপর বাস্তবায়ন করা যাবে। সে জন্যেই বলেছি যে আমাদের সময়ে এটা বাস্তবায়ন করার ব্যাপারে কিছুটা অনিশ্চয়তা আছে।’

সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ক্ষোভের সৃষ্টি হওয়া অপ্রত্যাশিত। একটু ধৈর্য ধরতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ