১২ হাজার শিক্ষককে আইসিটির প্রশিক্ষণ দেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
Published: 12th, November 2025 GMT
ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর ও সময়োপযোগী করতে ২০২৬ সালের মধ্যে অন্তত ১২ হাজার কলেজশিক্ষককে আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণের লক্ষ্য নিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন কলেজের ৯০ জন আইসিটি শিক্ষককে কোর ট্রেইনার হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
এ–সংক্রান্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই কোর ট্রেইনাররা পরবর্তী ধাপে সারা দেশের ৯০০ জন শিক্ষককে মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে প্রশিক্ষণ দেবেন। মাস্টার ট্রেইনারদের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে সারা দেশের প্রায় ১২ হাজার শিক্ষককে আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে, যাঁরা শিক্ষার্থীদের নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী আইসিটি কোর্স পড়াবেন।
আরও পড়ুনমানবিক বিভাগ থেকে পড়েও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, শাহীন আক্তারের গল্প যেন অনুপ্রেরণার ১১ নভেম্বর ২০২৫রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি ভবনের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম আমানুল্লাহ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য কাইয়ুম আরা বেগম এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো.
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক মো. আবুদ্দারদা স্বাগত বক্তব্য দেন এবং এটুআই প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট লিড আবদুল্লাহ আল ফাহিম প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের শেষে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী ৯০ জন কোর ট্রেইনার শিক্ষকের হাতে সনদ তুলে দেওয়া হয়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ট র ইন র শ ক ষকক অন ষ ঠ আইস ট
এছাড়াও পড়ুন:
অন্তর্বর্তী সরকার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করে যাবে: অর্থ উপদেষ্টা
নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করার কাজটা জাতীয় বেতন কমিশন স্বাধীনভাবে করছে বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, কাজটা অনেক জটিল, তবে অন্তর্বর্তী সরকার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বেতন কমিশনের প্রতিবেদন (বেতন কাঠামো) চূড়ান্ত করে যাবে। আশা করা যায়, আগামী সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেবে।
আজ বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন।
রাজনৈতিক সরকার এলে ঝুলে যাওয়ার আশঙ্কা আছে বলে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ফলে অন্তর্বর্তী সরকার নতুন বেতন কাঠামো দিয়ে যেতে পারবে কি না, এটা ছিল সালেহউদ্দিন আহমেদের কাছে প্রশ্ন।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সাত থেকে আট বছর কিছু হয়নি। আমরা তো একটা উদ্যোগ নিয়েছি। ক্ষোভের পরিবর্তে বরং আমাদের ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। অনেক চিন্তা-ভাবনা করে কাজটি করা হচ্ছে। আগামী সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেবে না, তা আমার মনে হয় না।’
বেসামরিক, সামরিকসহ মোট তিনটা প্রতিবেদন (আরেকটা বিচার বিভাগ) পাওয়ার পর পারস্পরিক সামঞ্জস্য দেখা হবেও বলে জানান সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘কাজগুলো করতে একটু সময় লাগে। প্রশাসনিক কিছু প্রক্রিয়া আছে। সচিব কমিটি দেখবে, জনপ্রশাসন দেখবে। অর্থ বিভাগের সম্পৃক্ততাও আছে। তারপর বাস্তবায়ন করা যাবে। সে জন্যেই বলেছি যে আমাদের সময়ে এটা বাস্তবায়ন করার ব্যাপারে কিছুটা অনিশ্চয়তা আছে।’
সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ক্ষোভের সৃষ্টি হওয়া অপ্রত্যাশিত। একটু ধৈর্য ধরতে হবে।