এখন থেকে অনলাইনে মিলবে বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশের টিকিট
Published: 12th, November 2025 GMT
ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে প্রবেশের জন্য এখন আর টিকিট কাউন্টারে যেতে হবে না। দর্শনার্থীরা ঘরে বসেই অনলাইনে ই-টিকিট সংগ্রহ করে সহজে প্রবেশ করতে পারবেন।
ন্যাশনাল বোটানিক্যাল গার্ডেনকে আধুনিকায়ন এবং দর্শনার্থীদের প্রবেশ প্রক্রিয়াকে সহজ, স্বচ্ছ ও পরিবেশবান্ধব করতে চালু হয়েছে অত্যাধুনিক ই-টিকিটিং প্ল্যাটফর্ম।
বুধবার (১২ নভেম্বর) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্ল্যাটফর্মটির উদ্বোধন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ। এখন থেকে দর্শনার্থীরা myGov ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, www.
বন অধিদপ্তর ও এটুআই এর যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়িত এই প্ল্যাটফর্ম দেশের উদ্যান ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল রূপান্তরের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এখন থেকে দর্শনার্থীরা ঘরে বসেই অনলাইনে টিকিট কিনে নির্ধারিত তারিখে উদ্যান পরিদর্শন করতে পারবেন। এতে টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা দূর হবে, সময় সাশ্রয় হবে এবং টিকিট বিক্রয় প্রক্রিয়ায় আসবে পূর্ণ স্বচ্ছতা। কাগজের ব্যবহার হ্রাস পাওয়ায় এটি পরিবেশ সংরক্ষণেও অবদান রাখবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, “প্রাকৃতিক বন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে এবং জনগণের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বাড়াতে এই উদ্যোগ বিশেষ ভূমিকা রাখবে। ই-টিকিটিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশে স্মার্ট সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনার এক নতুন অধ্যায় সূচিত হলো।”
তিনি দেশের অন্যান্য পরিবেশগত গুরুত্বপূর্ণ স্থানেও এ ধরনের ই-টিকিটিং ব্যবস্থা চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. আব্দুর রফিক, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (বন) শামিমা বেগম এবং সভাপতিত্ব করেন বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী।
ঢাকা/এএএম/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ল য টফর ম পর ব শ প রব শ
এছাড়াও পড়ুন:
রাবি ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, চিরকুটে লেখা—‘খুব করে বাঁচতে চেয়েছি’
সোনিয়া সুলতানা (২৪) নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহের কাছে চারটি চিরকুট পাওয়া গেছে। এর একটিতে লেখা—‘আমি খুব করে বাঁচতে চেয়েছি।’
বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন মির্জাপুর এলাকার ইসলাম টাওয়ারের সপ্তম তলার ফ্ল্যাট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল সোনিয়ার মরদেহ।
সোনিয়া রাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৯-২০২০ সেশনের (৬৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন। ওই ফ্ল্যাটে পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন সোনিয়া। তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী।
সোনিয়ার ঘরে রঙিন কাগজে লেখা চারটি চিরকুট পাওয়া গেছে। একটি চিরকুটে লেখা, “আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। আমার যেন পোস্টমর্টেম না করা হয়। আম্মু, আব্বু, ধ্রুবতারা আমি খুব ভালোবাসি। আমাকে ক্ষমা করে দিও। আল্লাহকে বলো আমাকে মাফ করে দিতে।”
আরেকটি চিরকুটে লেখা, “আমি প্রচণ্ড কষ্ট পেয়েছি মা। কবরের আযাব কীভাবে সহ্য করব। আব্বুকে বলবা আমার কবরের পাশে থাকতে। আল্লাহ যেন আমাকে মাফ করে দেন।”
অন্যটিতে লেখা, “আব্বু আম্মু তোমরা আমাকে মাফ করে দিও। তোমাদের জন্য আমি কিচ্ছু করতে পারলাম না। আমার অনেক স্বপ্ন ছিল মা। আমি কিচ্ছু পারলাম না। আব্বু আম্মু শুধু দোয়া করো যেন আমাকে মাফ করে দেন।”
আরেক চিরকুটে লেখা, “আমি খুব করে বাঁচতে চেয়েছি বিশ্বাস করো তোমরা। কিন্তু নিজের সাথে যুদ্ধ করে আর পেরে উঠলাম না।”
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেছেন, “বিষয়টি মর্মান্তিক। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে, মৃত্যুর কোনো সঠিক কারণ আমরা জানতে পারিনি। পুলিশও আমাদের কোনো কিছু জানাতে পারেনি। হয়ত পরে আমরা জানতে পারব।”
রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক বলেছেন, “ওড়না গলায় পেঁচানো অবস্থায় মরদেহ ঝুলছিল। এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হয়েছে। সোনিয়া চিরকুটে মরদেহের ময়নাতদন্ত না করার অনুরোধ জানিয়ে গেছে। পরিবারও সেটি চায়নি। তাই, ময়নাতদন্ত করা হয়নি। মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে, এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।”
ঢাকা/কেয়া/রফিক