Risingbd:
2025-11-12@10:46:49 GMT

সেঞ্চুরিতে জয়ের ফেরা

Published: 12th, November 2025 GMT

সেঞ্চুরিতে জয়ের ফেরা

৩১ মার্চ ২০২২। ডারবানে মাহমুদুল হাসান জয়ের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। 
১২ নভেম্বর ২০২৫। সিলেটে জয়ের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি।

মাঝের লম্বা সময়টা কেবল হাহাকারের গল্প। তিনবার ফিফটি ছুঁয়েও সেঞ্চুরির কাছাকাছি যাওয়া হয়নি। তার ক‌্যারিয়ার শুরু হয়েছিল শূন‌্য দিয়ে। প্রথম সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় সেঞ্চুরির মাঝে ৩১ ইনিংসেও শূন‌্য মিছিল, ৬টি। সিলেটে আয়ারল‌্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরির আগে সবশেষ ১৭ ইনিংসে তার ফিফটি ছিল না। ১৮ টেস্টের ক্যারিয়ারে শূন্য রানে আউট হয়েছেন ৭ বার। দুঅঙ্ক ছোঁয়ার আগে আউট হয়েছেন আরও ৭ বার। তার পরও দফায় দফায় তাকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটার বলেই।

আরো পড়ুন:

জয়-মুমিনুলের ব্যাটে আড়াইশ পেরিয়ে বাংলাদেশ

৫ ক‌্যাচ ছেড়ে আয়ারল‌্যান্ডের ৮ উইকেট নিল বাংলাদেশ

সঙ্গে টপ অর্ডারের বাকিদের ব‌্যর্থতাও অন‌্যতম কারণ ছিল। কিন্তু এক পর্যায়ে তার উপরেও ‘হাল’ ছেড়ে দিয়েছিলেন নির্বাচকরা। কিন্তু আয়ারল‌্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে জয় আবার রানে ফিরলেন। এপ্রিলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট খেলে বাদ পড়ার পর জাতীয় ক্রিকেট লিগে প্রথম রাউন্ডে সেঞ্চুরি ও ফিফটি করেছিলেন। পরের রাউন্ডে একটিতে ৩৫। আরেকটিতে অপরাজিত ২৫। নির্বাচকরা তার ব‌্যাটিংয়ে খানিকটা খুশি হয়ে আবার দলে নিলেন। সেই প্রতিদান দিলেন সিলেটে। আইরিশ বোলারদের ভালোমতো সামলে তুলে নিলেন সেঞ্চুরি নাম্বার টু। ৭২ বলে ফিফটি ছুঁয়েছিলেন। সেঞ্চুরি পৌঁছতে খেলেন আরো ১১৮ বল। ইনিংসটি সাজাতে একবারও ধৈর্যচ‌্যুতি হয়নি তার।

সাদমানের সঙ্গে তার জুটি ছিল ১৬৮ রানের। যা টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পঞ্চম সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি। সাদমান ৮০ রান করে আউট হলেও জয় সেঞ্চুরি পাবেন সেই জেদ করেই রেখেছিলেন। কাজের কাজও হয়েছে। পেসার জর্ডান নেইলের বুক তাক করা বাউন্স লাফিয়ে সুন্দর কাট শটে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে তিন অঙ্কের ম‌্যাজিকাল ফিগারের দেখা পেয়ে যান জয়।

ওপেনিংয়ে সাদমান লম্বা সময় ধরেই থিতু হয়েছেন। সাত মাস পর জাতীয় দলে ফিরে জয় নিজের ছাপ রাখলেন। দেখার বিষয় এই ধারাবাহিকতায় থাকতে পারেন কিনা। 

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বাজারে এসেছে টয়োটার প্রথম বৈদ্যুতিক পিকআপ

সারা বিশ্বেই অটোমোবাইল শিল্পে বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদন নিয়ে প্রতিযোগিতা চলছে। রিভিয়ান আর১টি, ফোর্ড এফ-১৫০ লাইটনিং আর টেসলা সাইবারট্রাকের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জাপানি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টয়োটা প্রথম পূর্ণাঙ্গ বৈদ্যুতিক পিকআপ ট্রাক তৈরি করেছে। বিশ্বজুড়ে গাড়িশিল্পে স্থায়িত্বের জন্য পরিচিত টয়োটা হাইলাক্স এবার বৈদ্যুতিক যুগে প্রবেশ করল। পূর্ববর্তী মডেল চালু হওয়ার ১০ বছর পর, নতুন নবম প্রজন্মের হাইলাক্স থাইল্যান্ডে আত্মপ্রকাশ করে। টয়োটা ডিজেল ও হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল পাওয়ারট্রেনের পাশাপাশি নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি হিসেবে এই ট্রাকের ওপর জোর দিয়েছে।

নতুন টয়োটা হাইলাক্স সিঙ্গেল ও ডবল কেবিন উভয় ক্ষেত্রেই পাওয়া যাবে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বাজারে শুধু ডাবল কেবিন সংস্করণ মিলবে। এতে একটি একক অল-ইলেকট্রিক সেটআপ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি অ্যাক্সেলের জন্য একটি করে মোট দুটি বৈদ্যুতিক মোটর ও একটি ৫৯.২ কিলোওয়াট-ঘণ্টার ব্যাটারি প্যাক নিয়ে চলবে পিকআপটি। এতে সর্বোচ্চ শক্তি পাওয়া যাবে ১৯৩ হর্সপাওয়ার। সামনের মোটরটি ১৫১ পাউন্ড-ফুট টর্ক সরবরাহ করে, যখন পিছনের ড্রাইভ ইউনিটটি আরও ১৯৮ পাউন্ড-ফুট টর্কের জন্য দায়ী। টয়োটা হিলাক্স ব্যাটারি ইলেকট্রিক ভেহিকলের সর্বোচ্চ পেলোড ক্ষমতা হলো ১৫৭৬ পাউন্ড বা ৭১৫ কিলোগ্রাম। আর টোয়িং ক্ষমতা ৩৫২৭ পাউন্ড।

নতুন পিকআপ গাড়িটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এর ড্রাইভিং রেঞ্জ। টয়োটা বলছে, নতুন হাইলাক্স বিইভি ডব্লিউএলটিপি চক্রের উপর ভিত্তি করে সম্পূর্ণ চার্জে প্রায় ১৫০ মাইল বা ২৪০ কিলোমিটার যেতে সক্ষম। আধুনিক ইভি মান অনুসারে এই রেঞ্জ খুব বেশি নয়। যারা মূলত খামার বা কাজের স্থানে স্বল্প দূরত্বে তাদের ট্রাক ব্যবহার করেন, তাদের জন্য এই দূরত্ব যথেষ্ট।

পিকআপে ব্যাটারি নিচে ও ল্যাডার চ্যাসিস ফ্রেম রেলের মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। গাড়ির মাধ্যাকর্ষণ কেন্দ্র নিম্ন রাখার জন্য এমন করা হয়েছে। পিকআপটি একটি ডিসি ফাস্ট চার্জার থেকে সর্বোচ্চ ১৫০ কিলোওয়াট ইনপুট নিতে পারে। স্টাইলিংয়ের দিক থেকে নবম-প্রজন্মের টয়োটা হিলাক্স আগের তুলনায় বেশ আধুনিক বলা যায়। হিলাক্সে প্রথমবারের মতো বৈদ্যুতিক পাওয়ার স্টিয়ারিংও যুক্ত করা হয়েছে। ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম ওভার দ্য এয়ার (ওটিএ) আপডেট সমর্থন করে।

সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক সংস্করণ ছাড়াও টয়োটা বাজারভেদে ৪২-ভোল্টের মাইল্ড-হাইব্রিড প্রযুক্তি সহ ২.৮ লিটার টার্বোডিজেল ইঞ্জিন আর নন-ইলেকট্রিফাইড ২.৮-লিটার ডিজেল ও ২.৭-লিটার গ্যাসোলিন ইঞ্জিনেও নতুন হিলাক্স বাজারে আনবে। এ ছাড়া ২০২৮ সাল থেকে একটি হাইড্রোজেন ফুয়েল-সেল সংস্করণও যুক্ত হবে। নতুন টয়োটা হাইলাক্স ইউরোপে আগামী ডিসেম্বরে বিক্রি শুরু হবে।

সূত্র: ইনসাইড ইভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ