অসুস্থ গোবিন্দর পাশে কেন ছিলেন না তার স্ত্রী?
Published: 12th, November 2025 GMT
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাতে নিজ বাড়িতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন গোবিন্দ। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে গোবিন্দ এখন ভালো আছেন। এরই মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায়ও ফিরেছেন এই অভিনেতা।
স্ত্রী সুনীতার সঙ্গে গোবিন্দর সংসার ভাঙার গুঞ্জন অনেক দিন ধরে উড়ছে। যদিও সব ভুলে সংসার করছেন তারা। গতকাল সকাল থেকেই শারীরিকভাবে দুর্বল বোধ করছিলেন গোবিন্দ। রাতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু তখন সেখানে ছিলেন না গোবিন্দর স্ত্রী সুনীতা। হাসপাতালেও শুরুর দিকে দেখা যায়নি সুনীতাকে। ফলে সুনীতার অনুপস্থিতি নিয়ে ফিসফাস চলছে।
আরো পড়ুন:
জ্ঞান হারিয়ে হাসপাতালে গোবিন্দ
সঞ্জয়কে কেন চড় মেরেছিলেন ধর্মেন্দ্র?
অসুস্থ গোবিন্দর পাশে সুনীতা কেন ছিলেন না, তা নিয়ে কথা বলেছেন গোবিন্দর আইনজীবী ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু ললিত বিন্দাল। হিন্দুস্তান টাইমসকে তিনি বলেন, “সুনীতা মুম্বাইয়ে ছিলেন না, একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। গভীর রাতে মুম্বাইয়ে ফিরেন, তারপরই হাসপাতালে ছুটে যান। অন্যদিকে, টিনা (গোবিন্দর কন্যা) কিছু কাজের জন্য চণ্ডীগড়ে ছিলেন। টিনাও ফিরে আসছে, সন্ধ্যার মধ্যে গোবিন্দর সঙ্গে তার দেখা হবে।”
গতকাল রাতে গোবিন্দর সঙ্গে কী ঘটেছিল, তা ব্যাখ্যা করে ললিত বিন্দাল বলেন, “গতকাল রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার দিকে গোবিন্দ ওষুধ খেয়ে বিশ্রাম নিতে যায়। রাত ১২টার দিকে গোবিন্দ আমাকে জানায়, তার অস্বস্তি, দুর্বল লাগছে এবং শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। রাত ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে আমি গোবিন্দর বাড়ি পৌঁছাই। গোবিন্দর চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ভর্তি করাতে বলেন।”
নব্বই দশকের অন্যতম জনপ্রিয় নায়ক গোবিন্দ। ১৯৮৬ সালে ‘ইলজাম’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন গোবিন্দ। নাচ, কৌতুক, সংলাপ বলার স্বতন্ত্র ভঙ্গি দর্শকের মন দাগ কেটেছিল। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ১৪০টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
গোবিন্দ অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো—‘আঁখে’, ‘হাসিনা মান জায়েগি’, ‘কুলি নম্বর ওয়ান’, ‘ভাগম ভাগ’, ‘স্বর্গ’, ‘রাজা বাবু’, ‘খুদগর্জ’, ‘পার্টনার’, ‘হিরো নম্বর ওয়ান’ ও ‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’ প্রভৃতি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র গ ব ন দর স
এছাড়াও পড়ুন:
সাড়ে ৪ মাস আগের অবস্থানে পুঁজিবাজারের সূচক-লেনদেন
চলতি সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (১২ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। ফলে, পুঁজিবাজারে সূচকের পতনের ধারা অব্যাহত আছে। ধারাবাহিক দরপতনের ফলে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ হাজার ৮০০ পয়েন্টের ঘরে নেমেছে।
এ দিনে আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন অনেক কমেছে। সাড়ে চার মাস আগের অবস্থানে নেমে এসেছে লেনদেন।
আরো পড়ুন:
এনভয় টেক্সটাইলসের মুনাফা বেড়েছে ৪৯.৬৭ শতাংশ
সাত কার্যদিবস পর পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বাড়লেও সিএসইতে কমেছে।
বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। বুধবার সকালে ডিএসইএক্স সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। তবে, লেনদেন শুরুর ৩০ মিনিট পর থেকে সূচকের পতন দেখা যায়। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত সূচকের পতনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত ছিল। কয়েক মাসের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন অনেক কমেছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪৭.৪৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮২৫ পয়েন্টে। এর আগে চলতি বছরের গত ২৫ জুন সূচকটি ছিল ৪ হাজার ৭৬৮ পয়েন্টে। বুধবার সূচকটি সাড়ে ৪ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে এসেছে।
এদিন ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১১.২২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১৮.১৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৮৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৫৩টি কোম্পানির, কমেছে ৩০১টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪টির।
বুধবার ডিএসইতে মোট ২৯০ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৩৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। এর আগে চলতি বছরের ১৫ জুন সর্বশেষ ৩০০ কোটির নিচে লেনদেন হয়েছিল।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৬৭.৮৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৪৪৬ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২০.৮৬ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৬১৭ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৫.৯২ পয়েন্ট কমে ৮৬০ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ১৭.৭৯ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৩২৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ১৬৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৩২টি কোম্পানির, কমেছে ১২০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টির।
সিএসইতে ৯ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
ঢাকা/এনটি/রফিক