গাঁজা সেবনের অভিযোগে রাবির ৬ শিক্ষার্থী আটক
Published: 12th, November 2025 GMT
গাঁজা সেবনের অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছয় শিক্ষার্থীকে আটক করেছেন প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ছাদ থেকে তাদের আটক করা হয়।
আরো পড়ুন:
এসএসসি-এইচএসসি কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিল ডিআরইউ
রুয়েট নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
আটক শিক্ষার্থীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তামিম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের নাহিন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের নাঈম, আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সাবিত এবং ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সাব্বির ও ইমরান।
এর মধ্যে, আটক তামিম সোহরাওয়ার্দী হল ছাত্র সংসদে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল থেকে সহকারী বিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক পদে নির্বাচন করেছিলেন।
এ বিষয়ে সোহরাওয়ার্দী হল সংসদের ভিপি কাউছার হাবীব বলেন, “আমরা দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে প্রতিনিয়ত খেয়াল রাখছি, কারা গাঁজা সেবনের মতো জঘন্য কাজগুলো করে। আমরা বিভিন্নভাবে তাদের পেয়েছি। কিন্তু হলে মাদক নিয়ে কোনো রকম বিজ্ঞপ্তি না থাকাই আমরা কিছু করতে পারিনি।”
তিনি বলেন, “সোমবার (১০ নভেম্বর) মাদকের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে হল প্রশাসন থেকে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এজন্য আমরা আজ (মঙ্গলবার) হল সংসদের সদস্যরা মিলে দেখতে গিয়েছিলাম, কেউ আছে কি না। হঠাৎ আমাদের দেখে তিন-চার জন দৌড়াতে থাকে। তখন আমরা তাদের ধরে প্রাধ্যক্ষ স্যারকে কল দেই। এরপর সহকারী প্রক্টর স্যার আসেন এবং আমরা তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেই।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক বেলাল হোসাইন বলেন, “সোহরাওয়ার্দী হলের ভিপিসহ কয়েকজন গাঁজা সেবনরত অবস্থায় কিছু শিক্ষার্থীকে আটক করে এবং প্রক্টর অফিসে বিষয়টা অবগত করেন। এরপর সেখানে আমরা কয়েকজন গিয়ে আটকদের ওই হলের প্রাধ্যক্ষের কক্ষে জিজ্ঞাসাবাদ করি। তাদের কাছ থেকে গাঁজা ও অন্যান্য নেশাদ্রব্য উদ্ধারের পর তাদের আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসা হয়।”
তাদের ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, “এটা গুরুতর অপরাধ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক শ ক ষ বর ষ র
এছাড়াও পড়ুন:
বিপিএলের নিলামের আদ্যোপান্ত
‘প্লেয়ার্স ড্রাফটের দিন শেষ। নিলামের বিপিএল।’ - গত কয়েকদিন আগে বিপিএলের সভা শেষে বেরিয়ে এক পরিচালক আভাস দিয়েছিলেন, বিপিএলে ফিরছে নিলাম। নিজেদের পরিকল্পনায় স্থির থাকল বিসিবি। পাঁচ ফ্রাঞ্চাইজিদের নিয়ে হবে বিপিএলের পরবর্তী আসরের নিলাম। রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে ২১ নভেম্বর। ১৭ নভেম্বর হওয়ার কথা থাকলে চারদিন পিছিয়েছে নিলাম।
প্লেয়ার্স ড্রাফট ছিল অনেকটাই ভাগ্যের পরীক্ষা। সফলতা-ব্যর্থতা নির্ভর করতো ভাগ্যের ওপর। নতুন করে বিপিএল শুরুর অপেক্ষায় থাকা বিপিএলে তাই পুরোনো দল বাছাইয়ের প্রক্রিয়া বাদ। ড্রাফট বাদ দিয়ে নিলামের মাধ্যমে দল গোছানোর সুযোগ পাচ্ছে ফ্রাঞ্চাইজিরা। সেখানে অবশ্য নির্দিষ্ট সীমানা ঠিক করে দিয়েছে বিসিবি।
আরো পড়ুন:
ঢাকা ক্যাপিটালসের জার্সিতে খেলবেন তাসকিন!
বিপিএলের ৫ দলের নাম প্রকাশ
দলগুলোতে স্থানীয় ক্রিকেটার থাকতে পারবে সর্বোচ্চ ১৬ জন। বিদেশি ক্রিকেটার অগণিত। স্থানীয়দের জন্য বাজেট থাকবে ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এই বাজেট সরাসরি সাইনিং করা খেলোয়াড়দের বাইরে। নিলামের আগে সরাসরি সর্বোচ্চ দুজন বাংলাদেশি (এ ও বি ক্যাটাগরি) খেলোয়াড় দলে নেওয়ার সুযোগ থাকবে। ভিত্তিমূল্য থাকবে ৫০ লাখ টাকা। প্রতিটি ডাকে মূল্য বাড়ানো যাবে ৫ লাখ টাকা। ফলে ফ্রাঞ্চাইজিদের হিসেব কষেই দল বাছাই করতে হবে।
বিদেশি ক্রিকেটারদের জন্য নিলামে সর্বোচ্চ বাজেট ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার। যার মধ্যে সরাসরি সাইনিং করানো খেলোয়াড়দের দামও থাকবে। নিলামের আগে সরাসরি সাইনিং করানোর সুযোগ রয়েছে। নিলাম থেকে কিনতে হবে অন্তত দুজন বিদেশি ক্রিকেটার। স্থানীয় ক্রিকেটারদের মতো বিদেশিদের নিলামেও সর্বোচ্চ ৫ হাজার ডলার করে বাড়ানো যাবে।
স্থানীয় ক্রিকেটারদের জন্য পারিশ্রমিকের ছয়টি ক্যাটাগরি করেছে বোর্ড। এ ক্যাটাগরির পারিশ্রমিক ৫০ লাখ। এরপর যথাক্রমে ৩৫, ২২, ১৮, ১৪ এবং ১১ লাখ। নিলামে এখানেও কিছু নিয়ম আছে। এ ক্যাটাগরি থেকে খেলোয়াড় নিতে হবে অন্তত একজন। বি ক্যাটাগরি থেকে দুইজন, সি ও ডি ক্যাটাগরি থেকে তিন জন করে, ই ও এফ ক্যাটাগরি থেকে অন্তত দুজন করে খেলোয়াড় নিতে হবে।
বিদেশি খেলোয়াড়দের জন্য পাঁচটি ক্যাটাগরি করা হয়েছে। এ ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক ৩৫ হাজার ডলার। এরপর রয়েছে বি, সি, ডি এবং ই। পারিশ্রমিক যথাক্রমে ২৫, ২০, ১৫ ও ১০ হাজার ডলার।
খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফদের পারিশ্রমিক খেলা শুরুর আগে ২৫ শতাংশ পরিশোধের নির্দেশনা রয়েছে। লিগের খেলা শেষ হলে ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক পাবেন। বাকি ২৫ শতাংশ পাবেন টুর্নামেন্ট শেষের ৩০ দিনে।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল