মুন্সীগঞ্জে কাঁধে করে নিয়ে যাওয়া গাছের গুঁড়ির চাপায় ইসরাফিল নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১২ নভেম্বর) সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের পানাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সকালে পানাম এলাকায় গাছ কাটার কাজ করছিলেন ইসরাফিল। গাছ কাটা শেষে একটি গুঁড়ি গাড়িতে তোলার উদ্দেশে কাঁধে নিয়ে হাঁটছিলেন। তবে, অতিরিক্ত ভার সইতে না পেরে গুঁড়ির নিচে চাপা পড়ে আহত হন তিনি। সঙ্গে থাকা লোকজন তাকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

‘সিয়ম খুব শান্ত ছিল, কে জানত এটাই ছিল ওর জীবনের শেষ সকাল’

উখিয়ায় মার্কেটে আগুন, দগ্ধ একজনের মৃত্যু

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইউসুফ আলী সরকার বলেন, ‘‘হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই ইসরাফিলের মৃত্যু হয়েছে।’’

নিহত ইসরাফিলের বাড়ি পিরোজপুর জেলায়। তিনি মুন্সীগঞ্জ সদরের আব্দুল্লাহপুর এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থেকে গাছ কাটার কাজ করতেন।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি এমন সাইফুল আলম বলেন, ‘‘মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’’

ঢাকা/রতন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর ফ ল

এছাড়াও পড়ুন:

নাশকতার দুই মামলায় খালাস পেলেন সাবেক যুবদল নেতা ইসহাক

রাজধানীর বংশাল ও কোতোয়ালি থানার পৃথক দুটি নাশকতার মামলায় দণ্ডিত যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার আপিলে খালাস পেয়েছেন। ঢাকার ১৬তম মহানগর অতিরিক্ত বিচারক সেলিনা আক্তার আপিলের রায়ে আজ বুধবার তাঁকে খালাস দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. মামুন মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৫ অক্টোবর বংশাল থানার নাশকতার মামলায় ইসহাক সরকারের দণ্ডবিধির ১৪৩ ধারায় ৬ মাস ও ৩৫৩ ধারায় ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর আগে একই বছরের ৭ আগস্ট কোতোয়ালি থানার মামলায় তাঁকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

গত ৭ সেপ্টেম্বর এই দুই মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ইসহাক সরকার। ওই দিন আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে গত ২১ সেপ্টেম্বর আপিলের শর্তে জামিনে কারামুক্ত হন তিনি।

আরও পড়ুন৩১৩ মামলার আসামি ছাত্রদল নেতা ইসহাকের মুক্তি১৬ আগস্ট ২০২১

দুই মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর কোতোয়ালি থানাধীন এলাকায় অগ্নিসংযোগ, গাড়ি ভাঙচুরসহ ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইসহাক সরকারসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করে পুলিশ। এর আগে ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর বংশাল থানাধীন এলাকায় ইসহাক সরকারের নেতৃত্বে গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করে। তখন আসামির গ্রেপ্তারে চেষ্টা করলে ইটপাটকেল, লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ করে। এ সময় তাঁরা ককটেল বিস্ফোরণ করেন। এ ঘটনায় বংশাল থানায় মামলা করে পুলিশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ