চলতি সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (১২ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। ফলে, পুঁজিবাজারে সূচকের পতনের ধারা অব্যাহত আছে। ধারাবাহিক দরপতনের ফলে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ হাজার ৮০০ পয়েন্টের ঘরে নেমেছে। 

এ দিনে আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন অনেক কমেছে। সাড়ে চার মাস আগের অবস্থানে নেমে এসেছে লেনদেন।

আরো পড়ুন:

এনভয় টেক্সটাইলসের মুনাফা বেড়েছে ৪৯.

৬৭ শতাংশ

সাত কার্যদিবস পর পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বাড়লেও সিএসইতে কমেছে।

বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। বুধবার সকালে ডিএসইএক্স সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। তবে, লেনদেন শুরুর ৩০ মিনিট পর থেকে সূচকের পতন দেখা যায়। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত সূচকের পতনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত ছিল। কয়েক মাসের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন অনেক কমেছে।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪৭.৪৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮২৫ পয়েন্টে। এর আগে চলতি বছরের গত ২৫ জুন সূচকটি ছিল ৪ হাজার ৭৬৮ পয়েন্টে। বুধবার সূচকটি সাড়ে ৪ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে এসেছে।

এদিন ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১১.২২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১৮.১৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে মোট ৩৮৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৫৩টি কোম্পানির, কমেছে ৩০১টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪টির।

বুধবার ডিএসইতে মোট ২৯০ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৩৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। এর আগে চলতি বছরের ১৫ জুন সর্বশেষ ৩০০ কোটির নিচে লেনদেন হয়েছিল।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৬৭.৮৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৪৪৬ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২০.৮৬ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৬১৭ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৫.৯২ পয়েন্ট কমে ৮৬০ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ১৭.৭৯ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৩২৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সিএসইতে মোট ১৬৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৩২টি কোম্পানির, কমেছে ১২০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টির।

সিএসইতে ৯ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

ঢাকা/এনটি/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল খ ট ক র শ য় র ও ইউন ট ল নদ ন শ অবস থ ন স এসইত ড এসই পতন র স এসই

এছাড়াও পড়ুন:

২ বছর মেয়াদের নতুন ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন শুরু

দেশের পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ইস্যু করা নতুন ২ বছর মেয়াদের ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন শুরু হয়েছে।

সোমবার (১০ নভেম্বর) থেকে উভয় পুঁজিবাজারে ট্রেজারি বন্ডটির লেনদেন শুরু হয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

তথ্য মতে, নতুন বন্ডটির নাম হলো- ‘‘02Y BGTB 05/11/2027’’। ডিএসইতে বন্ডটির লেনদেন কোড- ''TB2Y1127'' এবং ডিএসইতে স্ক্রিপ্ট কোড- "88546"। একই ভাবে সিএসইতে বন্ডটির লেনদেন কোড- 'TB2Y1127'' এবং সিএসইতে ট্রেডিং আইডি- "50312"।

তথ্য মতে, ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ডিএসই ও সিএসই’র ডেবট বোর্ডের অনুমতি সাপেক্ষে বন্ডটির মেয়াদ আগামী ২০২৭ সালের ৫ নভেম্বর শেষ হবে। বন্ডটির প্রতি ইউনিটের মূল্য ১০০.২৩২৩ টাকা এবং অভিহিত মূল্য ১০০ টাকা। বন্ডের মার্কেট লট ১০০০টি করে। এই বন্ড ১০.১০ শতাংশ হারে বছরে ২ বার কুপন প্রদান করবে।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাত কার্যদিবস পর পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান
  • পুঁজিবাজারে দরপতন অব্যাহত
  • ২ বছর মেয়াদের নতুন ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন শুরু