চট্টগ্রামে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুলের বাসায় অভিযান, সাতজন আটক
Published: 12th, November 2025 GMT
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর চট্টগ্রাম নগরের বাসভবনে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় বাসভবনে থাকা সাতজনকে আটক করা হয়েছে। মহিবুল হাসান চৌধুরী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বড় ছেলে।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে নগরের ২ নম্বর গেটের চশমা হিল এলাকায় এ অভিযান চালায় পাঁচলাইশ থানা-পুলিশ। যদিও আটক ব্যক্তিদের নাম–পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। অভিযানের পর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বাসার সিসিটিভি ক্যামেরার ডিভিডিআর বক্স জব্দ করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, আগামীকাল বৃহস্পতিবার কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য কয়েকজন এখানে জড়ো হচ্ছেন বলে একটি ফেসবুকে পোস্টে বলা হয়। সেটির সূত্র ধরে অভিযান পরিচালনা করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, ২ নম্বর গেট এলাকায় মহিবুল হাসানের ছোট ভাই বোরহান ও বিএনপি নেতা নিয়াজ ‘ক্যাফে মিলানো’ নামে একটি রেস্তোরাঁ পরিচালনা করতেন। সেটি গত বছরের ৫ আগস্টের পর বন্ধ, তবে অনলাইনে তাঁরা খাবার বিক্রি করেন। আটক সাতজন ওই রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন বলে দাবি করেছেন। সে ধরনের তথ্যও পাওয়া গেছে।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোলাইমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা একটি ফেসবুক পোস্ট পেয়েছি, যেখানে বলা হচ্ছে ১৩ নভেম্বরের কর্মসূচি ঘিরে এখানে জড়ো হচ্ছে কিছু লোক। তথ্য ছিল এখানে যাঁরা জড়ো হচ্ছেন, তাঁদের জন্য বাইরে থেকে খাবার আসছে। তবে আমরা সে ধরনের কিছু পাইনি। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হচ্ছে। ’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
দাবি না মানলে যমুনার সামনে অনির্দিষ্টকাল অবস্থানের ঘোষণা জামায়াতসহ ৮ দলের
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন, নভেম্বর মাসে গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়িত না হলে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলনসহ আট দল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান করবে।
আজ বুধবার রাজধানীর মগবাজার আল-ফালাহ মিলনায়তনে আন্দোলনরত দলগুলোর নেতাদের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচি ঘোষণা করেন জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে মুজিবুর রহমান বলেন, ১৩ নভেম্বর ফ্যাসিবাদী শক্তির নাশকতা ও অপতৎপরতা প্রতিরোধে আট দলের নেতারাসহ সর্বস্তরের জনশক্তি রাজপথে অবস্থান করবে। তিনি ফ্যাসিবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক শক্তিকে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন।
জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমির বলেন, ১৪ নভেম্বর জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে দেশব্যাপী জেলা ও মহানগর পর্যায়ে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ১৬ নভেম্বর বেলা ১১টায় আন্দোলনরত আট দলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠক শেষে আল-ফালাহ মিলনায়তনে দুপুর সাড়ে ১২টায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে জনগণের দাবি মেনে নেওয়া না হলে ওই সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থানের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
জামায়াতে ইসলামীসহ আট দল নানা কর্মসূচি দিয়ে নির্বাচন পেছাতে চাইছে—এমন প্রশ্নের জবাবে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, তাঁরা ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন চান। গতকাল সমাবেশে তাঁদের আমির বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি ও নভেম্বরে গণভোট হলে জানুয়ারিতে নির্বাচন করতেও তাঁদের কোনো আপত্তি নেই।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব ইউনুস আহমাদ, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আবদুল বাছিত, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের; ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন; জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধানসহ আট দলের শীর্ষ নেতারা।
আরও পড়ুন গণভোটসহ ৫ দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চাইবে জামায়াতসহ ৮ দল১৯ ঘণ্টা আগে