চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আজ বুধবার সকালে জেদ্দাফেরত পাঁচ যাত্রীর কাছ থেকে ৭০০ গ্রাম সোনা জব্দ করেছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। ব্যাগেজ রুলের অতিরিক্ত আনায় এসব সোনা জব্দ করা হয়।

নতুন ব্যাগেজ বিধিমালা (অপর্যটক যাত্রী ব্যাগেজ বিধিমালা, ২০২৫) অনুসারে, বিদেশফেরত একজন যাত্রী কোনো শুল্ক ছাড়াই বছরে একবার সর্বোচ্চ ১০০ গ্রাম সোনার অলংকার আনতে পারবেন।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, এই পাঁচ যাত্রী ১ হাজার ২০০ গ্রাম সোনা এনেছেন। নিয়মানুযায়ী প্রত্যেক যাত্রী ১০০ গ্রামের বেশি যেসব সোনা এনেছেন, তা জব্দ করা হয়েছে।

বিমানবন্দরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, জেদ্দাফেরত জেসমিন আক্তারের কাছ থেকে ২০০ গ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয়। ব্যাগেজ বিধিমালা মোতাবেক যাত্রীকে ১০০ গ্রাম সোনা প্রদান করা হয় এবং বাকি ১০০ গ্রাম সোনা জব্দ করা হয়। একইভাবে মো.

নাসির, মোহাম্মদ মাসুম করিম চৌধুরী, কাজী মনোয়ারা বেগম ও ইয়াসমিন আক্তারের কাছ থেকে এক হাজার গ্রাম সোনা পাওয়া যায়। তাঁদের প্রত্যেককে ১০০ গ্রাম সোনা ফেরত দিয়ে বাকি ৬০০ গ্রাম সোনা জব্দ করা হয়।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, জব্দ করা সোনার মূল্য ৩৫ লাখ টাকা। ব্যাগেজ রুলের অতিরিক্ত সোনা আনায় যাত্রীদের মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ১০০ গ র ম স ন

এছাড়াও পড়ুন:

বেরোবিতে যৌন হয়রানিকারীদের স্থায়ী বহিষ্কার দাবি

‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) যৌন হয়রানি মুক্ত শিক্ষাঙ্গন ও জড়িতদের স্থায়ী বহিস্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (‎১২ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষ্ণচূড়া সড়কে দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

আরো পড়ুন:

জাবিতে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় ২ শিক্ষার্থী আহত, চালকসহ আটক ৩

অনার্সের ফল প্রকাশের আগেই বিসিএস ক্যাডার হলেন ঢাবির খাদিজা

‎‎দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী হরিশ রায় বলেন, “আমাদের বিভাগের শিক্ষক ড. শাকিবুল ইসলামের স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য যেসব শিক্ষকের নামে যৌন হয়রানীর অভিযোগ আছে, তাদেরও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। যদি তদন্তের নামে মুলা ঝুলানো হলে বেরোবির শিক্ষার্থীরা মাঠে নামবে।”

‎অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী আলবীর বলেন, “আমাদের একটাই দাবি, আমরা যৌন নিপিড়কদের স্থায়ী বহিষ্কার চাই। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়কদের স্থায়ী বহিষ্কার হয়েছে। শাস্তি না হওয়ার কারণে আমাদের এখানেও দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আসছে। আমরা চাই, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগের শিকলটা ভেঙ্গে স্থায়ী বহিষ্কারের দিকে যাক।”

‎এর আগে, গত ৪ নভেম্বর যৌন হয়রানির অভিযোগে ড. শাকিবুল ইসলামকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অবহ্যাতি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার অনুরোধক্রমে নির্দেশ দিয়েছে।

ঢাকা/‎সাজ্জাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ