বিয়ের নির্ধারিত মেয়াদ থাকা উচিত: কাজল
Published: 12th, November 2025 GMT
বিয়ের নির্ধারিত মেয়াদ থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বলিউডের তারকা অভিনেত্রী কাজল। টুইঙ্কেল খান্নাকে নিয়ে ‘টু মাচ উইথ কাজল অ্যান্ড টুইঙ্কেল’ শিরোনামে টক শো সঞ্চালনা করছেন কাজল। এ শোয়ে এমন মন্তব্য করেন ‘বাজিগর’খ্যাত এই অভিনেত্রী।
‘টু মাচ উইথ কাজল অ্যান্ড টুইঙ্কেল’ শোয়ের পরবর্তী পর্ব আজ মধ্যরাতে মুক্তি পাবে। কাজল-টুইঙ্কেল সঞ্চালিত এ পর্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভিকি কৌশল ও কৃতি স্যানন। এ অনুষ্ঠানের ‘এগ্রি/ডিজএগ্রি’ সেগমেন্টে টুইঙ্কেল খান্না প্রশ্ন রাখেন, বিয়ের কী মেয়াদ থাকা উচিত? ভিকি, কৃতি ও টুইঙ্কেল বিপক্ষে (ডিজএগ্রি) অবস্থান নেন। তারপর টুইঙ্কেল হেসে বলেন, “না, এটা বিয়ে, ওয়াশিং মেশিন নয়।”
আরো পড়ুন:
অসুস্থ গোবিন্দর পাশে কেন ছিলেন না তার স্ত্রী?
জ্ঞান হারিয়ে হাসপাতালে গোবিন্দ
এরপর কাজল আগরওয়াল বলেন, “আমি মনে করি, অবশ্যই বিয়ের মেয়াদ থাকা উচিত। কে গ্যারান্টি দিতে পারে যে, আপনি সঠিক সময়ে সঠিক মানুষকেই বিয়ে করছেন? বিয়ে নবায়নের সুযোগ থাকা উচিত। তাহলে আমরা বেশিদিন কষ্ট পাব না।”
এরপর টুইঙ্কেলকে নিজের দলে টানার চেষ্টা করেন কাজল। কিন্তু কৃতি-ভিকির পক্ষেই অবস্থান নেন টুইঙ্কেল এবং কাজলের ভাবনার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন তিনি।
এরপর প্রশ্ন রাখা হয়, বেস্ট ফ্রেন্ডের সঙ্গে প্রেম করা উচিত কি না? এ প্রশ্ন শুনেই কাজলকে জড়িয়ে ধরেন টুইঙ্কেল। তারপর টুইঙ্কেল বলেন, “আমাদের একজন কমন প্রাক্তন আছে। কিন্তু আমরা তার নাম বলতে পারব না।” এ কথা শুনে টুইঙ্কেলকে উদ্দেশ্য করে হাসতে হাসতে কাজল বলেন, “চুপ করো।”
১৯৯২ সালে বলিউডে অভিষেক ঘটে অভিনেত্রী কাজলের। তখন তার বয়স মাত্র সতেরো। ১৯৯৯ সালে কাজল যখন অভিনয় ক্যারিয়ারের শীর্ষে, তখন অজয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কাজলের বিয়ের সিদ্ধান্তে অনেকে তখন অবাক হয়েছিলেন। এমনকি অজয়-কাজলের বিয়ে হোক, কেউ কেউ এটা চায়নি। ২০০৩ সালের ২০ এপ্রিল এই দম্পতির ঘর আলো করে আসে কন্যা নিসা। ২০১০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জন্ম হয় পুত্র যুগের।
গুন্ডারাজ (১৯৯৫), ইশক (১৯৯৫), পেয়ার তো হোনা হি থা (১৯৯৮), দিল কিয়া কারে (১৯৯৯), রাজু চাচা (২০০০), ইউ মি অর হাম (২০০৮), তুনপুর কা সুপারহিরো (২০১০) ইত্যাদি সিনেমায় জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয় করেছেন অজয়-কাজল।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ক জল অজয় দ বগন ক জল র
এছাড়াও পড়ুন:
পার্বতীপুর-সৈয়দপুর ৩৩ হাজার ভোল্টেজ সঞ্চালন লাইনের ১৭ কিলোমিটারের তার চুরি
দিনাজপুরের পার্বতীপুর থেকে নীলফামারীর সৈয়দপুর পর্যন্ত ৩৩ হাজার ভোল্টেজের সরকারি সঞ্চালন লাইনের প্রায় ১৭ কিলোমিটারের অ্যালুমিনিয়াম তার চুরি হয়েছে। প্রতিটি লাইনে তিনটি করে তার থাকায় মোট প্রায় ৫১ কিলোমিটার তার চুরি গেছে।
এই সঞ্চালন লাইনটি নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো)-এর আওতাধীন। সৈয়দপুরের শেষ সীমা থেকে পার্বতীপুর নেসকো কার্যালয় পর্যন্ত খুঁটির ওপর দিয়ে বিদ্যুৎ পরিবহন হতো। সম্প্রতি চোরের দল ওই খুঁটির তার কেটে নিয়ে যায়। অভিযোগ আছে, বিদ্যুৎ বিভাগের গাফিলতি ও অসাধু কর্মকর্তাদের মদদে পরিকল্পিতভাবে এই চুরি হয়েছে।
সৈয়দপুর পাওয়ার গ্রিড থেকে ৩৩ হাজার ভোল্টেজের সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে পার্বতীপুর নেসকো কার্যালয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো। ২০২০ সালে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র (৫২৫ মেগাওয়াট) চালু হওয়ার পর পার্বতীপুর নেসকো অফিস ওই কেন্দ্র থেকে নতুন করে ১৫ কিলোমিটার ৩৩ হাজার ভোল্টেজের গ্রিড সংযোগ নেয়। এরপর থেকে সৈয়দপুর গ্রিডের লাইনটি অকার্যকর হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন অরক্ষিত অবস্থায় থাকার সুযোগে চোরেরা রাতে পার্বতীপুর নেসকো কার্যালয়ের সামনে থেকেই সঞ্চালন লাইনের তার কেটে নিয়ে যায়।
আজ সোমবার সরেজমিন দেখা যায়, সৈয়দপুর গ্রিড থেকে শুরু হয়ে উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের চৌমহনী বাজার, পার্বতীপুরের বেলাইচন্ডি ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া, বেলাইচন্ডি বাজার, জাকেরগঞ্জ ও বান্নিনরঘাট গ্রামের পাশ দিয়ে ৩৩ হাজার ভোল্টেজ সঞ্চালন লাইনটি গেছে। এ লাইন পার্বতীপুর-সৈয়দপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পশ্চিম ধার ঘেঁষে পার্বতীপুর কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানার পাশ দিয়ে শহরে ঢুকেছে। এরপর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালের পূর্ব দিক হয়ে সুন্দরীপাড়া রেলগেট পর্যন্ত খুঁটি স্থাপন করা হয়, যা পার্বতীপুর বিদ্যুৎ অফিসে যুক্ত ছিল। বর্তমানে ওই খুঁটিগুলো তারবিহীন অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।
বেলাইচণ্ডি বুড়িরঘাট এলাকার নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক বাসিন্দা বলেন, কে বা কারা তার নিয়ে গেছে, তাঁরা জানেন না।
পার্বতীপুর বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্র নেসকো কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী হাসিবুর রহমান বলেন, ‘পার্বতীপুর থেকে সৈয়দপুর ৩৩ হাজার ভোল্টেজ সঞ্চালন লাইনের তার চুরির ঘটনা ঘটেছে। আমি বর্তমানে ছুটিতে আছি, ছুটি শেষে বিষয়টি নিয়ে কথা বলব।’
চুরির বিষয়ে জানতে চাইলে পার্বতীপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রের আবাসিক প্রকৌশলী সত্যজিৎ দেব শর্মা বলেন, তথ্য নিতে হলে অফিসে তথ্য অধিকার ফরম আছে, তা পূরণ করে তথ্য নিতে হবে।