গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পাঁচ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর অভিযুক্তকে কয়েকটি চড়-থাপ্পড় দিয়ে স্থানীয় মাতবররা মীমাংসা করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর পরিবারের।

শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের পাড়-ঝনঝনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আরো পড়ুন:

ছাত্রীকে অপহরণ-ধর্ষণের মামলায় প্রধান শিক্ষকের যাবজ্জীবন

সিদ্ধিরগঞ্জে মাইক্রোবাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

শিশুটির বাবা অভিযোগ করেন, প্রতিদিন সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে যায় তার মেয়ে। শনিবার হাতে একটু কাজ থাকায় মেয়েকে আনতে তার ভাতিজাকে পাঠান। পথিমধ্যে ভাতিজা তার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় বিপ্লব মাতবর নামের এক ব্যক্তি সেখানে গেলে শিশুটিকে ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন ওই ব্যক্তি। বিষয়টি জানাজানি হলে পরদিন সালিশে বসেন স্থানীয় কয়েকজন মাতবর। তারা ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্তকে কয়েকটি চড়-থাপ্পড় মারেন এবং ভবিষ্যতে যেন এমন কাজ না করে তার জন্য শাসিয়ে দেন।

মাদ্রাসাছাত্রীর বাবা বলেন, ‘‘স্থানীয় মুরব্বিদের চাপে ও মেয়ের ভবিষ্যতের চিন্তায় থানায় লিখিত অভিযোগ করিনি। তবে, এ ঘটনায় জড়িতের বিচার চাই। তা না হলে আগামীতে এমন ঘটনা আরো ঘটতে পারে।’’

সালিশে অংশ নেওয়া মাতবর রেজাউল করিম ও হানিফ মুন্সি ধর্ষণচেষ্টার বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে বলেন, ‘‘ঘটনাটি নিজেদের মধ্যে ঘটেছে। তাই সালিশের মাধ্যমে অভিযুক্তকে শাসন করা হয়েছে এবং গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’’

টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর বলেন, ‘‘বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছি। তবে, এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। কিন্তু, ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টার বিষয়ে স্থানীয় মাতবররা মীমাংসা করতে পারেন না।’’

ঢাকা/বাদল/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, চড়-থাপ্পড়ে মীমাংসা

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পাঁচ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর অভিযুক্তকে কয়েকটি চড়-থাপ্পড় দিয়ে স্থানীয় মাতবররা মীমাংসা করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর পরিবারের।

শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের পাড়-ঝনঝনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আরো পড়ুন:

ছাত্রীকে অপহরণ-ধর্ষণের মামলায় প্রধান শিক্ষকের যাবজ্জীবন

সিদ্ধিরগঞ্জে মাইক্রোবাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

শিশুটির বাবা অভিযোগ করেন, প্রতিদিন সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে যায় তার মেয়ে। শনিবার হাতে একটু কাজ থাকায় মেয়েকে আনতে তার ভাতিজাকে পাঠান। পথিমধ্যে ভাতিজা তার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় বিপ্লব মাতবর নামের এক ব্যক্তি সেখানে গেলে শিশুটিকে ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন ওই ব্যক্তি। বিষয়টি জানাজানি হলে পরদিন সালিশে বসেন স্থানীয় কয়েকজন মাতবর। তারা ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্তকে কয়েকটি চড়-থাপ্পড় মারেন এবং ভবিষ্যতে যেন এমন কাজ না করে তার জন্য শাসিয়ে দেন।

মাদ্রাসাছাত্রীর বাবা বলেন, ‘‘স্থানীয় মুরব্বিদের চাপে ও মেয়ের ভবিষ্যতের চিন্তায় থানায় লিখিত অভিযোগ করিনি। তবে, এ ঘটনায় জড়িতের বিচার চাই। তা না হলে আগামীতে এমন ঘটনা আরো ঘটতে পারে।’’

সালিশে অংশ নেওয়া মাতবর রেজাউল করিম ও হানিফ মুন্সি ধর্ষণচেষ্টার বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে বলেন, ‘‘ঘটনাটি নিজেদের মধ্যে ঘটেছে। তাই সালিশের মাধ্যমে অভিযুক্তকে শাসন করা হয়েছে এবং গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’’

টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর বলেন, ‘‘বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছি। তবে, এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। কিন্তু, ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টার বিষয়ে স্থানীয় মাতবররা মীমাংসা করতে পারেন না।’’

ঢাকা/বাদল/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ