বাগেরহাটের সংসদীয় আসন নিয়ে রায় স্থগিত চেয়ে আবেদনের ওপর শুনানি ১৬ নভেম্বর
Published: 12th, November 2025 GMT
বাগেরহাটের সংসদীয় আসন চারটি থেকে কমিয়ে তিনটি করাকে আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা এবং আগের মতো সেখানে চারটি সংসদীয় আসন পুনর্বহাল করতে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের ওপর ১৬ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে এই শুনানি হবে। এই সময়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলা হয়েছে। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব আজ বুধবার এ আদেশ দেন।
এর আগে এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ১০ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে বাগেরহাটে সংসদীয় আসন চারটি থেকে কমিয়ে তিন আসন করা–সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্তকে আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণার পাশাপাশি আগের মতো বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন পুনর্বহাল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এই রায় স্থগিত চেয়ে নির্বাচন কমিশন এবং গাজীপুর-৬ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী মো.
পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি। আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে ১৬ নভেম্বর শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন চেম্বার আদালত। এই সময়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে পক্ষ দুটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনকারী পক্ষ জানায়, বাগেরহাটে চারটি আসন ছিল, একটি কমিয়ে গাজীপুরে একটি আসন বাড়ানো হয়েছিল। বাগেরহাট-৪ আসন কেটে দিয়ে গাজীপুর-৬ আসন করা হয়েছিল।
এর আগে নির্বাচন কমিশন গত ৪ সেপ্টেম্বর এ-সংক্রান্ত চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। এতে চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে বাগেরহাটকে তিন আসনে ভাগ করা হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল যথাযথ (অ্যাবসলিউট) ঘোষণা করে ১০ নভেম্বর রায় দেওয়া হয়।
বাগেরহাট প্রেসক্লাব, বাগেরহাট জেলা বিএনপি, জেলা জামায়াতে ইসলামী, বাগেরহাট জেলা আইনজীবী সমিতি, সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশন, বাগেরহাট জেলা ট্রাক ট্যাংকলরি কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে বাগেরহাট-১ আসন থেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মো. শেখ মাসুদ রানা রিটটি করেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন মাশুল আদায় এক মাসের জন্য স্থগিত
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নতুন মাশুল আদায় নিয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বরের সিদ্ধান্তের কার্যক্রম এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার রুলসহ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বন্দরের নতুন মাশুলের গেজেট প্রকাশ করা হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বন্দরের বিভিন্ন ধরনের সেবায় আগের তুলনায় গড়ে ৪১ শতাংশ মাশুল বাড়ানো হয়। সবচেয়ে বেশি বাড়ে কনটেইনার পরিবহনের মাশুল। এই মাশুল কবে থেকে বাস্তবায়ন হবে, তা জানিয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সার্কুলার (বিজ্ঞপ্তি) দেয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে ১৫ অক্টোবর থেকে নতুন মাশুল বাস্তবায়ন হবে বলে উল্লেখ করা হয়। প্রজ্ঞাপন ও সার্কুলারের বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ মেরিটাইম ল সোসাইটি নামের একটি সংগঠনের পক্ষে গত মাসে রিটটি করা হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মহিউদ্দিন আবদুল কাদের। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।
পরে আইনজীবী মহিউদ্দিন আবদুল কাদের প্রথম আলোকে বলেন, ওই মাশুল আদায় কবে থেকে কার্যকর হবে তা উল্লেখ করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সার্কুলার দেয়। এই সার্কুলারের কার্যক্রম এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। গড়ে ৪১ শতাংশ মাশুল বাড়ানো হয়েছিল। সার্কুলার স্থগিতের ফলে আপাতত এটি আদায় করা যাবে না।
অবশ্য ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সার্কুলার স্থগিত করে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।
১৪ সেপ্টেম্বরের গেজেট এবং ৩০ সেপ্টেম্বরের সার্কুলার কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানান রিট আবেদনকারীর আইনজীবী।