ভূমিকম্প–সহনীয় ভবন বানাতে যা যা মাথায় রাখবেন
Published: 12th, November 2025 GMT
থাকার জন্য হোক বা ব্যবসা–বাণিজ্যের কাজে, ভবন বানালে কিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। মজবুত ও নিরাপদ ভবন বানাতে সঠিক পরিকল্পনার বিকল্প নেই। ভবন নির্মাণের সময় মান নিয়ন্ত্রণের বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ। সরকারিভাবে জাতীয় ভবন নির্মাণ নীতিমালা তো মানতেই হবে, সেই সঙ্গে ভবনটি যথাযথ নিরাপদ ও মজবুত হচ্ছে কি না, সে ভাবনাও মাথায় রাখতে হবে।
ভূমিকম্পের ক্ষতি কেমন হয়দুর্বলভাবে তৈরি ভবনের কারণেই ভূমিকম্পে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় থেকে শুরু করে বন্যা পর্যন্ত বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিভিন্ন ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। অতীতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নানা দুর্যোগ দেখা গেছে।
গত শতাব্দীতে এ অঞ্চলে বেশ কয়েকটি বড় ঘটনা ঘটেছে। ঐতিহাসিক তথ্য থেকে বলা যায়, বাংলাদেশ বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। সাধারণভাবে ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পুনরাবৃত্তির সময়কাল ১২৫-১৭৫ বছর ও ৮ মাত্রার ভূমিকম্প ২৫০-৩০০ বছর অনুমান করা হয়।
সেই হিসাবে বাংলাদেশে নিকট ভবিষ্যতের যেকোনো সময় ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। ২০১০ সালের হাইতি ও চিলির ভূমিকম্পের তুলনা করলে ভূমিকম্পের ঘটনায় কাঠামোগত ব্যর্থতার কারণে মানবিক ক্ষতি বেশি হতে দেখা যায়।
সে বছর হাইতিতে ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের ফলে প্রায় ২৩ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল। যার প্রধান কারণ ছিল দুর্বলভাবে নির্মিত ভবন। একই বছর চিলিতে আঘাত হানে ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প, যাতে ২৮০ জন প্রাণ হারায়। চিলির ভবনগুলো নির্মাণে শক্তিশালী কৌশল ব্যবহার করা হয়।
২০২৩ সালে তুরস্কে ভূমিকম্পে ভবনধসের মাধ্যমে প্রায় ৫৩ হাজার ৫০০ মানুষ নিহত হয়। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ঘটনা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, দুর্বলভাবে ভবন নির্মাণের কারণে সেসব এলাকায় দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যু বেশি হয়।
আরও পড়ুনআগুন লাগলে কী করবেন২২ জুন ২০১০বাংলাদেশের ভয়সাভারের রানা প্লাজা ধসে পড়ে ২০১৩ সালে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ত র র ভ ম কম প র ভ ম কম প র
এছাড়াও পড়ুন:
শিল্পীদের হাসির পাত্রে পরিণত করেছে: শাকিল খান
নব্বই দশকের ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক শাকিল খান। ১৯৯৪ সালে চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন। ১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’ দিয়ে জনপ্রিয়তার ছোঁয়া পান। টানা এক দশকেরও বেশি সময় দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত ছিলেন। তবে এখন সিনেমা জগতের বাইরে রয়েছেন। অনেক আগেই পেছনে ফেলে এসেছেন রুপালি দুনিয়াকে।
সিনেমা ছাড়ার কারণ জানাতে গিয়ে শাকিল খান খোলামেলা স্বীকার করলেন, তার প্রধান উদ্বেগ ছিল চলচ্চিত্রে ক্রমে বাড়তে থাকা অশ্লীলতার প্রভাব। এ নায়ক বলেন, “আমি তখন লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতাম, সিনেমাও ভালো ব্যবসা করছিল। কিন্তু আশপাশে অশ্লীলতার ছায়া দেখতে পেলাম; নিজেকে ওই স্পর্শে যেতে দিতে পারিনি। মানুষের সামনে আমার কী উত্তর থাকবে? সন্তানদের কী বলব? এ কারণে ক্যারিয়ারের শীর্ষ সময়ে চলচ্চিত্র ছেড়ে দিয়েছি।”
আরো পড়ুন:
দুজন মিলেই বিয়ের কথা গোপন রেখেছিলাম: অপু বিশ্বাস
এবার ঢাকায় ‘ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড’
চলচ্চিত্রের বর্তমান কাঠামো, বিশেষ করে শিল্পী সমিতির কর্মকাণ্ড নিয়েও কঠোর সমালোচনা করেন শাকিল খান। তার ভাষায়, “শিল্পী সমিতির নির্বাচন একটা ফালতু জিনিসে পরিণত হয়েছে। এটা এখন শিল্পীদের হাসির পাত্র। সমিতি আজ অর্থহীন রাজনৈতিক বর্জে পরিণত হয়েছে, যেখানে প্রকৃত শিল্পীদের উপেক্ষা করা হয়।”
বর্তমানে চলচ্চিত্রে ‘সুপারস্টার’ তকমা দেওয়া নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন শাকিল খান। তিনি বলেন, “কারা আসলে সুপারস্টার? এখন তো যে কেউ নিজের নামের সঙ্গে তকমা লাগিয়ে নিচ্ছেন। আমার এক ঈদে ১৬টা সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল, তবু নিজেকে কখনো সুপারস্টার বলিনি। পুরোনো প্রজন্ম—শাবানা, রাজ্জাকরা এসব নিয়ে ভাবতেনই না।”
চিত্রনায়ক শাকিব খানকে নিয়েও কথা বলেন শাকিল খান। তিনি বলেন, “শাকিব এখন জনপ্রিয়, কদর আছে— তাই নিচ্ছে। তবে কোটি টাকার ওপরে নেয়, এটা ঠিক নয়। আমার জানা মতে, অর্ধকোটি থেকেও কম পায়। আসল বিষয় পারিশ্রমিক নয়, চলচ্চিত্র বাঁচাতে সমষ্টিগত উদ্যোগ দরকার। এক শাকিবকে কেন্দ্র করে সিনেমা টিকবে না; আরো নতুন অভিনেতা তৈরি করতে হবে।”
কন্যা সামিকা, ছেলে সাদমান ও স্ত্রীকে নিয়েই শাকিল খানের সংসার। এখন পরিবার ও ব্যবসায় পুরোপুরি মন দিয়েছেন প্রাক্তন এই নায়ক। জানালেন, তার একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি আছে।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত