৬৬৮ জন প্রার্থীকে সাময়িকভাবে মনোনয়ন দিয়ে ৪৯তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) এ ফলাফল প্রকাশ করে।

আরো পড়ুন:

জবিতে সংঘর্ষ: ৪ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার

গাঁজা সেবনের অভিযোগে রাবির ৬ শিক্ষার্থী আটক

ফলাফলে দেখা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। খাদিজা তার অনার্স পরীক্ষা শেষ করেছেন, কিন্তু ফল প্রকাশিত হয়নি। এই কারণে তিনি নিয়ম অনুযায়ী ‘অ্যাপিয়ার্ড’ হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন।

খাদিজা আক্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তার বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগরে। 

তিনি বলেন, “আমাদের অনার্স পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়নি। তবে আমরা শেষ সেমিস্টারের রিসার্চ, সেমিনার প্রেজেন্টেশন ও ফিল্ডওয়ার্ক শেষ করেছি। থিওরিটিক্যাল কম্প্রিহেনসিভ পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় আগেই নিয়েছে, যাতে আমরা ‘অ্যাপিয়ার্ড’ দেখিয়ে বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারি। সেই পরীক্ষার পরই আমি আবেদন করি, আর সফল হই।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব স এস স পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

শিল্পীদের হাসির পাত্রে পরিণত করেছে: শাকিল খান

নব্বই দশকের ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক শাকিল খান। ১৯৯৪ সালে চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন। ১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’ দিয়ে জনপ্রিয়তার ছোঁয়া পান। টানা এক দশকেরও বেশি সময় দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত ছিলেন। তবে এখন সিনেমা জগতের বাইরে রয়েছেন। অনেক আগেই পেছনে ফেলে এসেছেন রুপালি দুনিয়াকে। 

সিনেমা ছাড়ার কারণ জানাতে গিয়ে শাকিল খান খোলামেলা স্বীকার করলেন, তার প্রধান উদ্বেগ ছিল চলচ্চিত্রে ক্রমে বাড়তে থাকা অশ্লীলতার প্রভাব। এ নায়ক বলেন, “আমি তখন লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতাম, সিনেমাও ভালো ব্যবসা করছিল। কিন্তু আশপাশে অশ্লীলতার ছায়া দেখতে পেলাম; নিজেকে ওই স্পর্শে যেতে দিতে পারিনি। মানুষের সামনে আমার কী উত্তর থাকবে? সন্তানদের কী বলব? এ কারণে ক্যারিয়ারের শীর্ষ সময়ে চলচ্চিত্র ছেড়ে দিয়েছি।” 

আরো পড়ুন:

দুজন মিলেই বিয়ের কথা গোপন রেখেছিলাম: অপু বিশ্বাস

এবার ঢাকায় ‘ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড’

চলচ্চিত্রের বর্তমান কাঠামো, বিশেষ করে শিল্পী সমিতির কর্মকাণ্ড নিয়েও কঠোর সমালোচনা করেন শাকিল খান। তার ভাষায়, “শিল্পী সমিতির নির্বাচন একটা ফালতু জিনিসে পরিণত হয়েছে। এটা এখন শিল্পীদের হাসির পাত্র। সমিতি আজ অর্থহীন রাজনৈতিক বর্জে পরিণত হয়েছে, যেখানে প্রকৃত শিল্পীদের উপেক্ষা করা হয়।” 

বর্তমানে চলচ্চিত্রে ‘সুপারস্টার’ তকমা দেওয়া নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন শাকিল খান। তিনি বলেন, “কারা আসলে সুপারস্টার? এখন তো যে কেউ নিজের নামের সঙ্গে তকমা লাগিয়ে নিচ্ছেন। আমার এক ঈদে ১৬টা সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল, তবু নিজেকে কখনো সুপারস্টার বলিনি। পুরোনো প্রজন্ম—শাবানা, রাজ্জাকরা এসব নিয়ে ভাবতেনই না।” 

চিত্রনায়ক শাকিব খানকে নিয়েও কথা বলেন শাকিল খান। তিনি বলেন, “শাকিব এখন জনপ্রিয়, কদর আছে— তাই নিচ্ছে। তবে কোটি টাকার ওপরে নেয়, এটা ঠিক নয়। আমার জানা মতে, অর্ধকোটি থেকেও কম পায়। আসল বিষয় পারিশ্রমিক নয়, চলচ্চিত্র বাঁচাতে সমষ্টিগত উদ্যোগ দরকার। এক শাকিবকে কেন্দ্র করে সিনেমা টিকবে না; আরো নতুন অভিনেতা তৈরি করতে হবে।” 

কন্যা সামিকা, ছেলে সাদমান ও স্ত্রীকে নিয়েই শাকিল খানের সংসার। এখন পরিবার ও ব্যবসায় পুরোপুরি মন দিয়েছেন প্রাক্তন এই নায়ক। জানালেন, তার একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি আছে।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ