বেসরকারি মালিকানাধীন বেতারকেন্দ্র (এফএম রেডিও) স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা লঙ্ঘিত হচ্ছে কি না-সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ‘জাতীয় রেগুলেটরি কমিটি’ গঠন করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

‌‘বেসরকারি মালিকানায় এফএম বেতারকেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা-২০২২’ অনুযায়ী এ কমিটি গঠন করে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

দিল্লির বোমা হামলায় বাংলাদেশকে জড়ানো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সাংবাদিক শামছুলের বিরুদ্ধে করা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত জিডি প্রত্যাহার দাবি

ছয় সদস্যের এ কমিটিরি সভাপতি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব। এ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (সম্প্রচার) কমিটির সদস্য সচিব।

কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন-আইন মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক, চলচ্চিত্র নির্মাতা মোহাম্মদ রুমেল, শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক ড্যানিয়েল আফজালুর রহমান, রেডিও ফূর্তির উপ-মহাব্যবস্থাপক রাহাত মাহমুদ খান ও বিআরটিসির একজন প্রতিনিধি।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘বেসরকারি মালিকানায় এফ এম বেতারকেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা-২০২২’ এর অনুচ্ছেদ ১৮(৫), (৬) ও (৭) অনুসারে ‘জাতীয় রেগুলেটরি কমিটি’ গঠন করা হলো।

কমিটি বেসরকারি মালিকানাধীন বেতার চ্যানেল স্থাপনে কারিগরি উপ-কমিটি থেকে সুপারিশকৃত প্রতিষ্ঠানের তালিকা চূড়ান্ত করে সরকারের অনুমোদনের জন্য পেশ করবে।

সম্প্রচার সংক্রান্ত আইন-কানুন ও বিধি-বিধান পর্যালোচনা করা এবং বেসরকারি মালিকানাধীন বেতারকেন্দ্র পরিচালনায় সময়োপযোগী সংশোধনী সম্পর্কে পরামর্শ দেবে এ কমিটি।

এছাড়া কারিগরি উপ-কমিটি এবং মনিটরিং কমিটির রিপোর্ট পর্যালোচনা করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা, বেসরকারি মালিকানাধীন বেতারকেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা লঙ্ঘিত হচ্ছে কি না সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে রেগুলেটরি কমিটি।

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ত রক ন দ র ব যবস থ ব সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে অতীতের মতো কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে কেন দায়ী করছে না মোদি সরকার

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন ভুটান সফরে থাকা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লিতেও একই কথা বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। দুজনের কথাতেই স্পষ্ট, দিল্লি পুলিশের অভিমতও তা–ই।

পুলিশ বলছে, সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লির লাল কেল্লার কাছে ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনা নাশকতা ছাড়া অন্য কিছু নয়। কিন্তু কে বা কারা এর জন্য দায়ী, তা সরকার এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারেনি। এখন পর্যন্ত কেউ দায়ও স্বীকার করেনি।

গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।

প্রধানমন্ত্রী মোদি আজ মঙ্গলবার ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে এক অনুষ্ঠানে বলেন, তদন্তকারী সংস্থাগুলো এই ষড়যন্ত্রের গোড়া পর্যন্ত যাবে। অপরাধীদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

একই সুর শোনা গেছে দিল্লিতে রাজনাথ সিংয়ের কথাতেও। প্রত্যেকেই ষড়যন্ত্র ও নাশকতা নিয়ে সন্দিহান হলেও এই প্রথম দেখা যাচ্ছে, সরকারের কোনো মহল থেকেই চক্রান্তকারী হিসেবে এখনো পাকিস্তান অথবা পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসবাদী কোনো সংগঠনকে খাড়া করানো হয়নি।

এই সাবধানতার কারণ কি পাকিস্তানের প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নমনীয় অবস্থান ও জোরালো সমর্থন? জেনারেল আসিম মুনিরের প্রতি পক্ষপাতিত্ব? ট্রাম্পের হুমকিতে পেহেলগামকাণ্ডের পর সামরিক হানা চালানো হুট করে বন্ধ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছিলেন, ‘অপারেশন সিঁদুর’ বন্ধ করা হয়নি, স্থগিত রাখা হয়েছে শুধু। যেকোনো অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটলে তা আবার শুরু করা হবে। সেই অধিকার ভারতের থাকছে।

পাকিস্তান অথবা ওই দেশে ঘাঁটি গেড়ে থাকা কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনকে সরাসরি অপরাধী না ঠাওরানোর কারণও কি তাহলে প্রধানমন্ত্রীর ওই ঘোষণা? কেননা, মোদি সরকারের ভাষায় সীমান্তপারের সন্ত্রাসীদের অপরাধী ঠাওরালে সে ক্ষেত্রে নতুন করে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালু করতে হয়। ট্রাম্পের নেকনজরে থাকা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সে ব্যবস্থা নিতে মোদি এখন প্রস্তুত নন?

বিস্ফোরণের পর এসব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যেমন উঠে গেছে এই তত্ত্বও, ‘অপারেশন সিঁদুর’–এ লস্কর–ই–তাইয়েবার অবিসংবাদিত নেতা মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ সদস্যের মৃত্যুর বদলা নিতেই এই বিস্ফোরণ। মূল চক্রান্তকারী মাসুদ আজহারের বোন সাদিয়া আজহার, যাঁর স্বামী ইউসুফ আজহার ছিলেন নিহত ১০ জনের একজন।

কারণ যা–ই হোক, সোমবারের ঘটনা যে গোয়েন্দা ও নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর চরম ব্যর্থতা, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। বিরোধী মহল এ বিষয়ে একমত হলেও এখনই তা বড় করে তুলে ধরতে চাইছে না। কারণটা হলো বিহার নির্বাচন। বিরোধীরা এমন কিছু করতে চায় না, যাতে ভোটে ধর্মীয় মেরুকরণ ঘটে। মঙ্গলবার ছিল বিহার ভোটের দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব।

উত্তর ভারতের বিভিন্ন অংশ থেকে গত কয়েক দিনে ২ হাজার ৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার, রোববার ফরিদাবাদের এক বাড়ি থেকে ২৬০ কেজি বিস্ফোরক, একটি একে ৪৭ ও ৮০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার, একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পরদিনই এই গাড়ি বিস্ফোরণ। এগুলোর একটি অপরটির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বলেই গোয়েন্দাদের অভিমত। ফলে প্রশ্ন উঠছে, এসব ঘটনা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অজান্তে কী করে ঘটল? কারা এর জন্য দায়ী?

যে গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে, তার মালিকানা অনেকবার বদল হয়েছে। তাঁদের আটক করা হয়েছে। ভুল স্থানে দাঁড় করানোর জন্য গত ২০ সেপ্টেম্বর ওই গাড়ির দেড় হাজার রুপি জরিমানাও হয়। আটক একজন পুলিশি জেরায় জানান, গাড়িটি তিনি পুলওয়ামার একজনকে বিক্রি করেছেন। যদিও কাগজপত্র এখনো হাতবদল হয়নি। যাঁর কাছে বিক্রি করা হয়, তিনি এক চিকিৎসক। নাম উমর মোহাম্মদ।

লাল কেল্লার কাছে থাকা সব সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে জানা যাচ্ছে, ওই গাড়ি সোমবার লাল কেল্লার কাছে এক জায়গায় প্রায় তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়েছিল। সেখান থেকে রওনা দেওয়ার কিছু পরই এক ট্রাফিক সিগন্যালে তা বিস্ফোরণে উড়ে যায়।

ওই বিস্ফোরণের ঘটনা আত্মঘাতী হামলা কি না, তদন্তে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করা না হলেও তদন্তকারীরা নিশ্চিত, বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক উদ্ধারের সঙ্গে এ ঘটনা সরাসরি যুক্ত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিদেশে থাকা নিজেদের একমাত্র সামরিক ঘাঁটি কেন নীরবে ছাড়ল ভারত
  • সেঞ্চুরি আর ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসে মাহমুদুলের দিন
  • ‘অবৈধ’ বলে হকার উচ্ছেদের যৌক্তিকতা কতটুকু
  • ৩০ সেকেন্ডে ভাঙলেন ৬৫ শসা
  • ট্রাম্পের বিজয়ের এক বছরের মধ্যেই সবখানে প্রতিরোধ
  • কুমিল্লা থেকে আলোচিত মামুন হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
  • সিরিয়ার জন্য সবকিছু করার প্রতিশ্রুতি দিলেন ট্রাম্প
  • দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে অতীতের মতো কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে কেন দায়ী করছে না মোদি সরকার
  • যে লড়াইয়ে জিততে চলেছেন ইরানের নারীরা