শিক্ষার্থীর মাথা ফাটানো সেই শিক্ষককে নিয়ে পরীমণির ক্ষোভ
Published: 12th, November 2025 GMT
ছোট্ট একটি মেয়ের মাথা থেকে রক্ত ঝরছে—আর শ্রেণিকক্ষে নির্লিপ্ত দাঁড়িয়ে আছেন শিক্ষক! সুনামগঞ্জের একটি স্কুলে সংঘটিত নৃশংস এই ঘটনা দেশজুড়ে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ক্লাস চলাকালীন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হঠাৎ শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করেন। কিছু শিক্ষার্থী বাইরে ছুটোছুটি করছিল। শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করেই শাসন শুরু করেন, আর ঠিক সেই সময় এক ছাত্রীকে ডাস্টার দিয়ে আঘাত করেন। মুহূর্তেই মাথা ফেটে রক্ত গড়িয়ে পড়ে মেঝেতে। আরো মর্মান্তিক দৃশ্য—শিক্ষক তখনো তাকে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখেন, এমনকি আরেক শিক্ষার্থীকে দিয়ে রক্ত মুছিয়ে নেন।
আরো পড়ুন:
বেরোবিতে যৌন হয়রানিকারীদের স্থায়ী বহিষ্কার দাবি
জাবিতে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় ২ শিক্ষার্থী আহত, চালকসহ আটক ৩
ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভের ঝড় ওঠে। অসংখ্য মানুষ এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। নেটিজেনদের একাংশ বলছেন, “এমন মানসিকতা যাদের মধ্যে আছে, তারা কোনোভাবেই শিক্ষার পবিত্র দায়িত্বে থাকতে পারেন না।” অনেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
চিত্রনায়িকা পরীমণি ওই ঘটনার একটি স্থিরচিত্র ফেসবুকে পোস্ট করে লেখেন, “কত বড় বিকৃত মনের লোক! এটা শিক্ষক হয় কীভাবে!” পরীমণির এ পোস্টে ১৫ ঘণ্টায় রিঅ্যাক্ট পড়েছে ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি। মন্তব্য জমা পড়েছে প্রায় ১৭ হাজার।
পরীমণির বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করে মন্তব্য করেছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা। আরমান নামে একজন লেখেন, “বর্তমানে এমন নির্দয় শিক্ষক খুব বেশি দেখা যায় না। মেয়েরা এমনিতেই কোমলমতি, তাদের এমনভাবে আঘাত করা মেনে নেয়া যায় না। তাকে আইনের আওতায় এনে, তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত।”
সুস্মিতা ঘোষ লেখেন, “বেতের বাড়ি ঝপাঝপ মারেন, সোজা হয়ে যাবে। কিন্তু মাথায় মেরে রক্ত বের করে দিয়েছেন, এইটা অন্যায়।” ক্ষুব্ধ হয়ে নেছার লেখেন, “ইদানীং খুব ভালো হয়ে গেছি। কিন্তু ওর জন্য মন চাইতাছে আগের রূপে ফিরে যাই।” হিরণ লেখেন, “এদের বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাই।” এমন অসংখ্য মন্তব্য পরীমণির কমেন্ট বক্সে ভেসে বেড়াচ্ছে।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর মন চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
সিএসএমই তহবিল পরিচলনায় ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের যোগ্যতায় ছাড়
কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য গঠিত ২৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল পরিচলনা করতে ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর যোগ্যতা অর্জনে ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এখন থেকে কোনো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট ঋণের ২০ শতাংশ খেলাপি ঋণ হলেও এই তহবিলের অর্থ নিতে পারবে। এতোদিন ১০ শতাংশের বেশি খেলাপি হলে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হত।
আরো পড়ুন:
অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট পরিচালনা সহজ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
রমজান উপলক্ষে ১০ পণ্যের আমদানিতে নগদ মার্জিন ন্যূনতম রাখার নির্দেশ
বুধবার (১২ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক দুইটি নির্দেশনা জারি করেছে।
নির্দেশনায়, পুনঃঅর্থায়ন এবং প্রাক-অর্থায়ন স্কিমের আওতায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান হওয়ার জন্য প্রযোজ্য শ্রেণিবিন্যাসিত ঋণ ও বিনিয়োগের হার পুনঃনির্ধারণ করে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত সার্কুলারের আগের নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
অপর এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সরকারের অগ্রাধিকার খাত হিসেবে উদ্যোক্তাদের চাহিদা বিবেচনায় স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে ৩ বছর মেয়াদি ২৫ হাজার কোটি টাকার স্কিমটি পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে।
এর আগে, ২০২২ সালে জুলাই মাসে সিএসএমইতে ২৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগে গঠিত এ তহবিলটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘সিএমএসএমই খাতে মেয়াদি ঋণের বিপরীতে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম’। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই তহবিল থেকে ২ শতাংশ সুদে অর্থ নিয়ে উদ্যোক্তাদের মধ্যে বিতরণ করবে। গ্রাহক পর্যায়ে যার সর্বোচ্চ সুদের হার ৭ শতাংশ।
প্রাথমিকভাবে স্কিমটির মেয়াদ হবে ৩ বছর। আর গ্রাহক পর্যায়ে গ্রেস পিরিয়ডসহ ঋণের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ ৫ বছর। তহবিলের আকার ২৫ হাজার কোটি হলেও প্রয়োজনে তা বাড়ানো হবে। নারী উদ্যোক্তা, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন উদ্যোক্তা এবং যে কোন দুর্যোগে (যেমন- নদী ভাঙন, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা, মঙ্গা, অগ্নিকাণ্ড, ভূমিকম্প, ভবন ধস, কোভিড-১৯ এর মত অতিমারী ইত্যাদি) ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে এ স্কিমের আওতায় পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা দিতে হবে বলে সাকুর্লারে উল্লেখ করা হয়।
বিতরণ করা মোট ঋণের ন্যূনতম ৭০ শতাংশ উৎপাদন ও সেবা খাতে এবং সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ ব্যবসা খাতে প্রদান করতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ কুটির, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মাঝে এবং সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ মাঝারি উদ্যোক্তাদের মাঝে বিতরণ করতে সীমা বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
কোন ধরনের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই তহবিল নেওয়ার যোগ্য হবে- এমন শর্তে বলা হয়েছিল, কোনো ব্যাংকের শ্রেণিকৃত ঋণ,বিনিয়োগের হার ১০ শতাংশের কম হতে হবে, ন্যূনতম ৩ বছরের ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। নতুন নির্দেশনায় শ্রেণিকৃত ঋণ,বিনিয়োগের হার ১০ শতাংশের জায়গায় ২০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঢাকা/নাজমুল/মেহেদী