জেলের বড়শিতে ৩৭ কেজির কালো পোয়া, লাখ টাকায় বিক্রি
Published: 12th, November 2025 GMT
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে তরিকুল মাঝি নামের এক জেলের বড়শিতে ৩৭ কেজি ওজনের একটি কালো পোয়া বা ব্ল্যাক ডায়মন্ড মাছ ধরা পড়েছে। স্থানীয়ভাবে এটি দাতিনা মাছ নামেও পরিচিত।
বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে মাছটি মৎস্য বন্দরের মনোয়ারা ফিস নামের একটি আড়তে নিয়ে আসা হয়। এ সময় মাছটি এক নজর দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করেন। পরে মাছটি মনোয়ারা ফিসের সত্ত্বাধিকারী ১ লাখ ১১ হাজার টাকায় কিনে নেন।
জানা যায়, দুই দিন আগে আল্লাহর দান নামের একটি ট্রলার নিয়ে গভীর সাগরে মাছ ধরতে যান তরিকুল। সোমবার বড়শিতে মাছটি ধরা পড়ে। চলতি বছর আলীপুর মহিপুর মৎস্য বন্দরে এ প্রজাতির আরো ৫টি মাছ বিক্রি হয়েছে।
তরিকুল মাঝি বলেন, ‘‘আমরা জাল নিয়েই সাগরে গিয়েছিলাম। তবে, সঙ্গে কিছু বড় বড়শিও নিয়ে গেছি। সোমবার সাগরে বড়শি ফেলার কিছু সময় পরই মাছটি ধরা পড়ে। মাছটির সাইজ বড় হওয়ায় ট্রলারে তুলতে আমাদের বেগ পেতে হয়েছে। মাছটি ভালো দামে বিক্রি করতে পারায় শুকরিয়া আদায় করছি।’’
মনোয়ারা ফিসের ম্যানেজার সগির আকন বলেন, ‘‘দেশে এ মাছের তেমন চাহিদা না থাকলেও বিদেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মাছটি চট্টগ্রামে পাঠানো হবে। সেখানেই আমরা বিক্রি করব।’’
কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ‘‘বন্দরের জেলেরা ৩৭ কেজি ওজনের একটি দাতিনা বা কালো পোয়া পেয়েছেন। এ ধরনের মাছ সচরাচর পাওয়া যায় না। মাছটি চীনা ঐতিহ্যবাহী ওষুধ ও প্রসাধনী তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। যে কারণে দাম অনেক বেশি।’’
ঢাকা/ইমরান/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বালিকাদের ব্যাডমিন্টন (অনুর্ধ্ব-১৬) প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
জেলা ক্রীড়া অফিস, নারায়ণগঞ্জের আয়োজনে বালিকাদের ব্যাডমিন্টন (অনুর্ধ্ব-১৬) প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় প্রতিযোগিদের মাঝে জার্সি বিতরণ করা হয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন এতে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তাছলিমা শিরিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা, নারায়ণগঞ্জ।
ফারজানা আক্তার সাথী, জেলা ক্রীড়া অফিসার, (অঃদাঃ) নারায়ণগঞ্জের অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. আতিকুল রহমান, জেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত), নারায়ণগঞ্জ, ফারুখ আহমদ, প্রধান শিক্ষক, নারায়ণগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ ও জনাব নাজমুন্নাহার খানম, গবেষনা কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা অফিস, নারায়ণগঞ্জ উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত প্রতিযোগিতায় নারায়ণগঞ্জ জেলার ৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে ৪৫ জন বালিকা অংশগ্রহণ করে। বালিকাদের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ কারী শিক্ষার্থীরা কৌশল ও মেধার প্রতিযোগিতায় নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে। উক্ত অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক ও স্কুলের ছাত্রছাত্রীবৃন্দরা।
এ ধরনের আয়োজন আগামী প্রজন্মকে ক্রীড়ামুখী ও স্বাস্থ্য সচেতন করে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে সকলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং সভাপতি অনুষ্ঠানের সমাপ্ত করেন।