নেতানিয়াহুর জন্য ক্ষমা চেয়ে ট্রাম্পের চিঠি
Published: 12th, November 2025 GMT
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে ক্ষমা করার কথা বিবেচনা করতে দেশটির প্রেসিডেন্টের কাছে চিঠি লিখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হার্জোগের দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতির মামলা চলছে। তবে নেতানিয়াহু অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। ট্রাম্প বারবার তার ঘনিষ্ঠ মিত্রের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।
ট্রাম্প তার চিঠিতে লিখেছেন, “যদিও আমি ইসরায়েলি বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা এবং এর প্রয়োজনীয়তার প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা জানাই, আমি বিশ্বাস করি যে বিবির (নেতানিয়াহু) বিরুদ্ধে এই মামলা, যিনি দীর্ঘদিন ধরে আমার পাশে থেকে লড়াই করেছেন, যার মধ্যে ইসরায়েলের অত্যন্ত কঠোর প্রতিপক্ষ ইরানের বিরুদ্ধেও রয়েছে, এটি একটি রাজনৈতিক, অযৌক্তিক মামলা।”
এর আগে অক্টোবরে ট্রাম্প তার ইসরায়েল সফরের সময় ইসরায়েলি পার্লামেন্টে ভাষণ দিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি নেতানিয়াহুকে ক্ষমা করার জন্য হার্জোগকে অনুরোধ করেছিলেন।
২০১৯ সালে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হয়েছি। এগুলোর মধ্যে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রায় ২ লাখ ১১ হাজার উপহার গ্রহণের অভিযোগও ছিল। ২০২০ সাল থেকে নেতানিয়াহুর বিচার চলছে। সেই বিচার এখনো শেষ হয়নি।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত, চাকরি গেল প্রাথমিক শিক্ষিকার
বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার মচকৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোসা. মুসলেমা খাতুনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
বুধবার (১২ নভেম্বর) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ঢাবিতে ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী
জবি ছাত্রদলের ২ গ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ১২
জানা গেছে, ২০২২ সালের ১ আগস্ট থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত মুসলেমা খাতুন। দীর্ঘদিন অনুপস্থিতির জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো ছুটির আবেদনও করেননি তিনি। সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল সংক্রান্ত নিয়ম অনুযায়ী, বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকা গুরুতর অপরাধ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। সেই নোটিশেরও জবাব দেননি তিনি। তাই সরকারি বিধি অনুযায়ী, তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘‘চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে মচকৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মুসলেমা খাতুনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। তিনি বিনা অনুমতিতে দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। এতে বিদ্যালয়ের পাঠদান ব্যাহত ও শিশুদের লেখাপড়ার বিঘ্নিত হয়েছে। ওই শিক্ষিকাকে অপসারণের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে।’’
ঢাকা/শিয়াম/রাজীব