ঢাবিতে ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১০৪ শিক্ষক-শিক্ষার্থী
Published: 12th, November 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজ্ঞান অনুষদে ৩ বছরের (২০২১, ২০২২ ও ২০২৩) ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (১২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন:
শাবিতে ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৫ শিক্ষক
জবি শিবিরের মেধাবীদের তালিকায় নেই ৩ বিভাগের শিক্ষার্থী
অনুষদের আটটি বিভাগ ও একটি ইনস্টিটিউটের মোট ৭৬ জন শিক্ষার্থী ডিনস অ্যাওয়ার্ড পান। এছাড়া দেশে-বিদেশে প্রকাশিত গবেষণা গ্রন্থ এবং স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশিত মৌলিক প্রবন্ধের জন্য ১০ জন শিক্ষককে ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
এছাড়া কিউ১ ও কিউ২ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের জন্য অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের ৩৮ জন শিক্ষককে প্রণোদনার চেক দেওয়া হয়।
বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান।
বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম। বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও ইনস্টিটিউটের পরিচালকগণ ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত শিক্ষকদের নাম ঘোষণা করেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম।
ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- নেছার আলী তিতুমীর, ওমর ইবনে নাজিম, সৈয়দ শোভন মাহবুব মাহিন, মো. জাবের ইবনে তাহের, আরাফাত রহমান, ফাল্গুনী বিশ্বাস, শোভা ইসলাম, মো. হাসান কিবরিয়া, মো. মঈনুল ইসলাম, মো. মিনহাজ উদ্দিন তুর্য, তানভীর আহমেদ খান ফাহিম, জয়ন্তী ঘোষ, তিথি ভূঁইয়া, মো. আল-আমিন হোসেন, সুমাইয়া ফরুকী, মেহেদী হাসান, অনিন্দ্যশ্রী দাস মৌলি, ফারজানা জামান, নাদিয়া মেহজাবিন ঐশী, মাহজেরিন অন্বেষা, সাহেরা আক্তার, আতিয়াতুজ জাহান, নন্দিতা স্কলাস্টিকা কস্তা, লাবনী আক্তার, বোরহান উদ্দিন, অজয় রাজবংশী, সুমাইয়া সুলতানা সাইবা, নাজিয়া তাসনিম, তানজিনা আক্তার, সৌরভ রায়, মাহমুদা রহমান দিবা, আশরাফুন জান্নাত সুপ্তি, আতিকা অবনী, বিষ্ণু রায়, ঐশ্বর্য বশাক, ফজলে রাব্বী, আদিয়াত ইবনে নাসের, হাসনাইন আহমেদ আলভি, নুসরাত জাহান, আংশুয়া কর্মকার, মাহিমা জান্নাত জেমি, মারিয়া আহমেদ সাফা, মো, সাবিত আল-সাবা রিয়ন, ইকরা মুন নেছা, রওনক তাবাসসুম, কাজী মো. মিফতাহুল হক নোবেল, অপূর্ব রায় চৌধুরী, নাফিয়া মল্লিক, প্রলয় চন্দ্র পাল, মো. সাজিদুল ইসলাম সৌরভ, অভয় রায়, নিশাত আক্তার, মাহফুজ ইসলাম সুয়াভ, তরিকুল ইসলাম, মাহনাজ ইব্রাহিম, মো. নিয়ামুল ইসলাম সিয়াম, সাফায়েত খান সাফি, নাবিল আহমেদ উৎস, দিপু রায়, রিয়াদুল ইসলাম, মো. মুহিতুল আলম, মো. আবদুল্লাহ আল ফাহিম, এ. এফ. এম. তাহসিন শাহরিয়ার, সামিনা নাজনীন, কামরুন নাহার কলি, সাসকিন নেছা কাকলি, মো. আমিনুল ইসলাম সাজিদ, আবু হানিফা, খন্দকার শাহরিয়ার ইসলাম, ফারিয়া রউফ রিয়া, মালিহা বিনতে আলাউদ্দিন, ফারিয়া শারমিন, তায়েবা চেরাগী প্রাচী, রাইসা রাশিদ মিম, নাহিয়ান নুজহাত, আমান উল্যাহ্ আমান।
ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন- ফলিত গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. রাকিব হোসেন, পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. ইশরাত রায়হান, গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. নেপাল চন্দ্র রায়, অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. রাজীব আরেফিন, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শরীফুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক মো. জসিম উদ্দিন, প্রভাষক আছমা আক্তার আঁখি, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহাবুব আলম ভূঁইয়া, রসায়ন বিভাগের প্রভাষক সামিহা নাহিয়ান।
কিউ১ ও কিউ২ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের জন্য প্রণোদনা পাওয়া শিক্ষকরা হলেন- পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহাবুব আলম ভূঁইয়া, অধ্যাপক ড. আলমগীর কবীর, অধ্যাপক ড. ইসতিয়াক এম সৈয়দ, অধ্যাপক ড. কাজী হানিয়াম মারিয়া, সহযোগী অধ্যাপক ড. কায়সার আহমেদ রকী, সহকারী অধ্যাপক বোরাক উর রহমান রণ, সহকারী অধ্যাপক ইফ্ফাত নূর এশা, সহকারী অধ্যাপক নন্দিতা দেব, সহকারী অধ্যাপক ড. মো. তারেক মাহমুদ, প্রভাষক রাবেয়া সুলতানা, প্রভাষক মো. আব্দুল্লাহ সাইম, গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. নেপাল চন্দ্র রায়, অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. রাজীব আরেফিন, সহযোগী অধ্যাপক সরকার মো. সোহেল রানা, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শরীফুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ড. গৌতম সাহা, প্রভাষক মো. জসিম উদ্দিন, প্রভাষক আছমা আক্তার আখি, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম, অধ্যাপক ড. মো. আহসান হাবীব, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ড. ফারহানা খানম ফেরদৌসী, সহকারী অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক ড. একেএম নূর আলম সিদ্দিকী, প্রভাষক সামিহা নাহিয়ান, পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নিশাত তাসনিম তুষ্টি, ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফেরদৌস, অধ্যাপক ড. লিটন কুমার সাহা, অধ্যাপক ড. জাভীদ ইকবাল বাঙালী, সহকারী অধ্যাপক ড. এসএম চপল হোসাইন, সহকারী অধ্যাপক ড. মুনতাসির আলম, তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রুহুল আমিন, প্রভাষক ড. মো. তানজিব আতিক খান, বায়োমেডিকেল ফিজিক্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল কাদির এবং পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মো. ইশরাত রায়হান, প্রভাষক তরিকুল ইসলাম ও প্রভাষক তাসনীম আরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, “এই আয়োজনগুলো আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কঠোর পরিশ্রম ও অর্জনকে সম্মান জানানোর একটি সুন্দর সুযোগ। আমরা জাতি হিসেবে সম্মান জানাতে কিছুটা কার্পণ্য করি। তাই এমন উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়।”
তিনি বলেন, “আমাদের সাফল্য একক প্রচেষ্টার ফল নয়। পরিবার, সহকর্মী, বন্ধু এমনকি সমাজের নানা স্তরের মানুষের অবদান এতে জড়িত। সেই অবদানকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ রাখা প্রয়োজন। আমি সবসময় বিশ্বাস করি-সফলতার মূল চাবিকাঠি মেধা নয়, পরিশ্রম। মেধা হয়তো ১০ থেকে ১৫ শতাংশ সহায়তা করে, কিন্তু ৮৫ শতাংশ নির্ভর করে কঠোর পরিশ্রমের ওপর। এই পরিশ্রম কখনোই সহজ নয়।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণ ত ব ভ গ র প রক শ ত ল ইসল ম ইসল ম স উদ দ ন আহম দ সহয গ সহক র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে ইস্পাহানি-প্রথম আলো ফুটবল প্রতিযোগিতা ২০ নভেম্বর
চট্টগ্রাম অঞ্চলের খেলা দিয়ে তৃতীয় ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে ২০ নভেম্বর। চট্টগ্রাম অঞ্চলে এবার টুর্নামেন্টে ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করছে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আজ বুধবার চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছে টুর্নামেন্টের ট্রফি। ট্রফি উন্মোচনের পর নগরের সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রফি প্রদর্শনীও হয়েছে।
চট্টগ্রাম অঞ্চলে টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, চিটাগং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)। এর মধ্যে আজ দিনের বিভিন্ন সময়ে পোর্ট সিটি, ইনডিপেনডেন্ট, বিজিএমইএ, সাউদার্ন, প্রিমিয়ার, ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি এবং চুয়েটে টুর্নামেন্টের ট্রফি নিয়ে যাওয়া হয় প্রদর্শনীর জন্য।
ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ট্রাফি হাতে চিটাগং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির উপচার্য মীর মোহাম্মদ নুরুল আবসার ও ফুটবল দলের খেলোয়াড়েরা