কাবুল-ইসলামাবাদের সম্পর্ক কি আবার জোড়া লাগবে
Published: 12th, November 2025 GMT
দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। একই ধর্ম, মিলেমিশে থাকা সংস্কৃতি আর ভাগাভাগি করা সীমান্ত সত্ত্বেও যেন চিরকাল এক অদৃশ্য দেয়ালে বিভক্ত। কখনো ঘনিষ্ঠ মিত্র, আবার কখনো তীব্র শত্রু—তাদের সম্পর্কের ইতিহাস যেন এক দুর্বোধ্য নাটক। যেখানে বিশ্বাসের চেয়ে অনাস্থায় মুখ্য চরিত্র। সীমান্তের প্রতিটি ইঞ্চি যেন সাক্ষী, কীভাবে সন্দেহ, সংঘাত ও ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা দুই জাতিকে বারবার মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই টানাপোড়েন যেন নতুন উচ্চতায় পৌঁছে, পুরোনো ক্ষতগুলোকে আবারও রক্তাক্ত করে তুলেছে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, গত অক্টোবরের ৯ তারিখ থেকে শুরু হওয়া দুই দেশের সীমান্ত সংঘাতে কমপক্ষে ৫০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত এবং চার শতাধিক আহত হয়েছে। এ নিয়ে ইসলামাবাদ ও কাবুলের মধ্যে শুরু হওয়া শান্তি আলোচনাও আবার অচলাবস্থায় পড়েছে।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘আলোচনা স্থবির, কারণ আফগান সরকার সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় তাদের প্রতিশ্রুতি রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।’ এর আগেও কয়েক দফায় ইসলামাবাদ এবং কাবুল শান্তি আলোচনায় বসেছিল। তবে তা কোনো ধরনের সুরাহা ছাড়াই সমাপ্ত হয়।
এ পরিস্থিতি শুধু সাম্প্রতিক কোনো সীমান্ত উত্তেজনা নয়; এর পেছনে রয়েছে দীর্ঘ জট পাকানো রাজনৈতিক হিসাব। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আফগানিস্তান দেশটিকে স্বীকৃতি দিতে প্রথমে অনীহা প্রকাশ করেছিল। আফগান সরকার তৎকালীন ব্রিটিশ-নির্ধারিত ডুরান্ড লাইনকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত হিসেবে স্বীকার করেনি, যা ১৮৯৩ সালে ব্রিটিশ ভারত ও আফগান আমির আবদুর রহমানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই রেখা নিয়ে বিরোধ শুরু হয় এবং আজও সেটি দুই দেশের মধ্যে অন্যতম স্পর্শকাতর ইস্যু।
আরও পড়ুনডুরান্ড লাইনের দুদিকে ভূরাজনৈতিক ট্র্যাজেডিতে পাকিস্তান১৬ অক্টোবর ২০২৫ইসলামাবাদ ও কাবুল শান্তি আলোচনা২০২১ সালের আগস্টে তালেবানের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পর ইসলামাবাদ ও কাবুলের মধ্যে তিন দফা শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যার প্রতিটিই মূলত পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা টিটিপি (তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান) ইস্যুতে অচলাবস্থায় শেষ হয়। প্রথম দফা আলোচনা হয়েছিল ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইসলামাবাদে, যেখানে পাকিস্তান কাবুলকে টিটিপির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার এবং তাদের সীমান্ত অতিক্রম করা বন্ধ করার জন্য চাপ দেয়।
দ্বিতীয় দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় ২০২৩ সালের মে মাসে দোহায়, যেখানে আফগানিস্তান একটি যৌথ সীমান্ত নিরাপত্তা কর্মপরিকল্পনায় সম্মত হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল; কিন্তু তারা টিটিপিকে সরাসরি দমনের পরিবর্তে রাজনৈতিক আলোচনার প্রস্তাব দেয়, যা ইসলামাবাদের জন্য অগ্রহণযোগ্য ছিল।
সর্বশেষ তৃতীয় দফা আলোচনা গত বছর নভেম্বর মাসে শুরু হয়, কিন্তু নভেম্বরের শেষের দিকে আফগান সীমান্তে এক প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর তা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়ে। পাকিস্তান দৃঢ়ভাবে অভিযোগ করে যে আফগান সরকার টিটিপিকে আশ্রয় দিচ্ছে এবং সীমান্তজুড়ে তাদের কার্যকলাপ বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আফগান পক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করে এবং তাদের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলে, যার ফলে প্রতিটি চুক্তি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।
ইতিহাসের অদৃশ্য যুদ্ধসত্তরের দশকে সোভিয়েত আগ্রাসনের সময় পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের সমর্থনে আফগান মুজাহিদিনদের আশ্রয় ও অস্ত্র দেয়। সেই সময় থেকেই পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই আফগান রাজনীতিতে গভীরভাবে জড়িত হয়ে পড়ে। ১৯৯০-এর দশকে তালেবানদের উত্থানও হয়েছিল পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ সমর্থনে। ইসলামাবাদ ভেবেছিল, আফগানিস্তানে তালেবান শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানে ‘কৌশলগত গভীরতা’ অর্জিত হবে—যা ভারতের বিরুদ্ধে একপ্রকার নিরাপত্তাবেষ্টনী হিসেবে কাজ করবে; কিন্তু ইতিহাস প্রমাণ করেছে, তালেবান কখনোই পাকিস্তানের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ছিল না। ২০০১ সালে মার্কিন হামলার পর তালেবানের পতন ঘটে; কিন্তু পাকিস্তানের অভ্যন্তরে টিটিপি নামের জঙ্গিগোষ্ঠী উত্থিত হয়, যারা আফগান তালেবানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই অস্ত্র তুলে নেয়। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, গত এক দশকে টিটিপি হামলায় পাকিস্তানে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুনভারত কি পাকিস্তান–তালেবান দ্বন্দ্বের সুযোগ নিচ্ছে১৫ জানুয়ারি ২০২৫বর্তমান পরিস্থিতি ও সীমান্ত উত্তেজনা২০২১ সালে কাবুলে পুনরায় তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর পাকিস্তান ভেবেছিল, এবার হয়তো তাদের পুরোনো বন্ধুত্ব পুনর্জীবিত হবে; কিন্তু বাস্তব হলো উল্টো। ইসলামাবাদের দাবি, আফগাননিস্তানের মাটিতে আশ্রয় নিচ্ছে টিটিপি, যারা পাকিস্তানের অভ্যন্তরে হামলা চালাচ্ছে। আফগানপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ‘আমরা আমাদের মাটি অন্যের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দিই না।’ অথচ পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রায়ই আফগান সীমান্তে বিমান হামলা চালাচ্ছে, যার শিকার হচ্ছেন নিরীহ গ্রামবাসী।
আল–জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, অক্টোবর ২০২৫-এর সংঘর্ষে পাকিস্তানের ২৩ জন সেনা নিহত এবং আফগানপক্ষের ৫০ জন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারান। সীমান্তের কাবুল-স্পিন বোলদাক করিডরে দুই পক্ষের গোলাগুলি কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হয়। তুরস্ক ও কাতার শান্তি মধ্যস্থতায় এগিয়ে এলেও ফল হয় শূন্য—উভয় দেশই একে অপরকে দোষারোপ করছে।
আফগান-ভারত ঘনিষ্ঠতা: পাকিস্তানের উদ্বেগসম্প্রতি আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি সফর করেছেন, যা দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক মানচিত্রে নতুন মোড় এনেছে। ভারত ২০২৫ সালের মাঝামাঝি কাবুলে তাদের দূতাবাস পুনরায় খুলে দেয় এবং মানবিক সহায়তার নামে সীমিত বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে। পাকিস্তান এটি সন্দেহের চোখে দেখছে। কারণ, ঐতিহাসিকভাবে ভারত আফগানিস্তানে ‘নরম প্রভাব’ (সফট পাওয়ার) গড়ে তুলতে আগ্রহী, যাতে পাকিস্তানের কৌশলগত প্রভাব কমে যায়। ইসলামাবাদ আশঙ্কা করছে, ভারত আফগান ভূমি ব্যবহার করে পাকিস্তানবিরোধী গোষ্ঠীগুলোকে উৎসাহ দিতে পারে।
আরও পড়ুনতালেবান নিয়ে উভয়সংকটে ইসলামাবাদ২৫ জুলাই ২০২৩মানবিক ও অর্থনৈতিক সংকটঅন্যদিকে আফগানিস্তান বর্তমানে ভয়াবহ মানবিক সংকটে আছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি অনুযায়ী, দেশের প্রায় ৯০ লাখ মানুষ খাদ্যঘাটতিতে ভুগছে এবং অর্থনীতির এক-তৃতীয়াংশ ইতিমধ্যে ধসে পড়েছে। পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে আফগান শরণার্থীদের বোঝা বহন করছে। ২০২৫ সালের হিসাব অনুযায়ী প্রায় ১৭ লাখ আফগান শরণার্থী পাকিস্তানে অবস্থান করছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামাবাদ ঘোষণা দিয়েছে, অবৈধভাবে থাকা আফগান নাগরিকদের বহিষ্কার করা হবে। এই পদক্ষেপে দুই দেশের সম্পর্ক আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়েছে।
আলোচনার পর্দার আড়ালেআন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় সাম্প্রতিক আলোচনায় পাকিস্তানের প্রতিনিধি ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আসিম মালিক এবং আফগান পক্ষের নেতৃত্ব দেন গোয়েন্দা প্রধান আবদুল হক ওয়াসিক। তবু আলোচনায় তেমন অগ্রগতি হয়নি। আফগান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘পাকিস্তান আমাদের ওপর যে অভিযোগ করছে, তা ভিত্তিহীন। আমরা শান্তি চাই, তবে সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপস নয়।’
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ কথার মধ্যেই লুকিয়ে আছে আফগানিস্তানের নতুন রাজনৈতিক মনোভাব—তারা পাকিস্তানের ছায়া থেকে বের হয়ে স্বাধীন নীতিতে চলতে চায়। তালেবান এখন আর ১৯৯৬ সালের মতো পাকিস্তানের ‘ক্লায়েন্ট রেজিম’ নয়। তারা চায় চীন, ইরান, রাশিয়া ও ভারতের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে।
চীন-রাশিয়ার দৃষ্টিভঙ্গিচীন আফগানিস্তানে অর্থনৈতিক প্রভাব বাড়াতে আগ্রহী, বিশেষত বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে। পাকিস্তানের গওয়াদার বন্দরের সঙ্গে আফগানিস্তানের বাণিজ্য রুট সংযোগের পরিকল্পনা রয়েছে; কিন্তু সীমান্ত অস্থিরতা এবং টিটিপির উপস্থিতি এই সম্ভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করছে। রাশিয়াও মধ্য এশিয়ায় নিরাপত্তা ভারসাম্য রক্ষায় আফগান-পাকিস্তান সম্পর্ককে ঘনিষ্ঠ দেখতে চায়।
ভবিষ্যতের সম্ভাবনাসবশেষে প্রশ্ন ওঠে—কাবুল-ইসলামাবাদের সম্পর্ক কি আবার জোড়া লাগবে? ইতিহাস বলে, দুই দেশের সম্পর্ক সব সময় ‘বাস্তববাদ ও প্রয়োজন’ দ্বারা চালিত। বর্তমানে আফগানিস্তানের প্রধান সমস্যা অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি; আর পাকিস্তানের চ্যালেঞ্জ অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক দুরবস্থা। উভয় দেশই যদি সীমান্তে শান্তি বজায় রাখে, বাণিজ্য পুনরায় শুরু করে এবং সন্ত্রাস দমনে যৌথ উদ্যোগ নেয়, তাহলে পারস্পরিক সহযোগিতার নতুন অধ্যায় শুরু হতে পারে।
তবে এই আশাবাদ বাস্তবায়নের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হলো অবিশ্বাস। ইসলামাবাদ মনে করে, কাবুল টিটিপিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না; আর কাবুল মনে করে, পাকিস্তান তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ করছে।
এক আফগান সাংবাদিক একবার লিখেছিলেন, ‘আমরা প্রতিবেশী হয়েও পরস্পরের বন্দি।’ এই কথাই আজও সত্য। সীমান্তের ওপারে গুলি থামলেও মানসিক সীমান্তের প্রাচীর এখনো উঁচু। তাই প্রশ্ন থেকেই যায়—দুই মুসলিম প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে বিশ্বাস কি কখনো ফিরবে?
ইতিহাসের শিক্ষা বলছে, প্রতিশোধ নয়, প্রয়োজনই সম্পর্ক পুনর্গঠনের আসল প্রেরণা। আফগানিস্তান ও পাকিস্তান যদি বাস্তবতার মাটিতে পা রেখে পারস্পরিক স্বার্থে এগোতে পারে, তবেই হয়তো একদিন কাবুল-ইসলামাবাদ সত্যিকার অর্থে সম্পর্ক জোড়া লাগবে।
ড.
মো. সাহাবুল হক অধ্যাপক, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসল ম ব দ র আফগ ন স ত ন র জন ত ক আফগ ন প ন সরক র অন য য় ক র কর
এছাড়াও পড়ুন:
অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, আবেদন শুরু
অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তিতে আবেদন প্রক্রিয়া গতকাল রোববার (৯ নভেম্বর) শুরু হয়েছে। এবার চারটি প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তি নেবে বিশ্ববিদ্যালয়টি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির ‘ভর্তি পরীক্ষা ২০২৫’ আগামী ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
স্নাতক বিষয়গুলো হলো—অ্যাভিয়েশন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (এফএইটি) অনুষদের বিএসসি ইন অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং, বিএসসি ইন অ্যাভিওনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, বিএসসি ইন এয়ারক্রাষ্ট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারিং (অ্যারোস্পেস), বিএসসি ইন এয়ারক্রাফ্ট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারিং (অ্যাভিওনিক্স)।
আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা, আবেদনে অনুসরণ করতে হবে ৫টি ধাপ ০৫ নভেম্বর ২০২৫মাষ্টার্সের বিষয়গুলো হলো—অ্যাভিয়েশন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের এমএসসি ইন স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং এমএসসি ইন স্পেস সিস্টেমস ইঞ্জিনিয়ারিং।
সুনির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী আগ্রহী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রদত্ত লিংকের মাধ্যমে অনলাইন ফরম পূরণ পূর্বক আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীকে বিস্তারিত ওয়েবসাইটে এর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। বিস্তারিত নির্দেশনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে তে। এছাড়াও অনলাইনে আবেদনের জন্য লিংকে ক্লিক করে আবেদন করতে পারবেন। ওয়েবসাইটে প্রদত্ত নির্দেশনা মোতাবেক আবেদন ফরম নির্ভুলভাবে পূরণ করে তা অনলাইনে যথাযথভাবে জমা দিয়ে নির্দিষ্ট এসএমএস ফরম্যাট অনুযায়ী ফি পরিশোধ করতে হবে।
ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি (স্নাতক)—ভর্তি পরীক্ষা হবে ১০০ নম্বরে। এর মধ্য গণিত-(৪০), পদার্থবিজ্ঞান (৩০), রসায়ন (২০) ও ইংরেজি (১০)।
—পরীক্ষার পদ্ধতি: নৈর্ব্যক্তিক (৬০) ও বর্ণনামূলক (৪০)। সময় ২ (দুই) ঘণ্টা।
আরও পড়ুনবুটেক্সে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি, ৬৩০ আসনে আবেদনে জিপিএর শর্ত শিথিল০৬ নভেম্বর ২০২৫ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি (স্নাতকোত্তর)--পরীক্ষার পদ্ধতি: নৈর্ব্যক্তিক (৬০) ও বর্ণনামূলক (৪০)। সময় ২ (দুই) ঘণ্টা।
আবেদনের গুরুত্বপূর্ণ তারিখ— *আবেদন শুরু ৯ নভেম্বর ২০২৫ *আবেদন শেষ ১১ ডিসেম্বর ২০২৫।
যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫।
অ্যাডমিট কার্ড উত্তোলনের সময়সীমা: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ সকাল ৯ টা পর্যন্ত।
ভর্তি পরীক্ষা: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত।
আবেদন ফি—স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আবেদন ফরমের সর্বমোট ফি ১০০০ (এক হাজার) টাকা টেলিটক সিমের মাধ্যমে জমা দিতে হবে (১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ রাত ১১ টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে)।
আরও পড়ুনসহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১১ করতে মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব, হলে কত টাকা লাগবে১৯ ঘণ্টা আগেভর্তি পরীক্ষা কোথায় হবে—বিএএফ শাহীন কলেজ, ঢাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের লালমনিরহাট ক্যাম্পাসে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে (ভর্তি আবেদন ফরম পূরণের সময় কেন্দ্র উল্লেখ করতে হবে)।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিজ্ঞপ্তির যেকোন নির্দেশনা, তথ্য বা শর্ত যেকোন সময় বাতিল বা পরিবর্তন করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে বলে জানানো হয়েছে।
*বিজ্ঞপ্তির বিস্তারিত দেখুন এখানে
*আবেদনের পদ্ধতিসহ বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়টি লালমনিরহাটে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশ অ্যাভিয়েশন-সংক্রান্ত বিশেষায়িত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আগের নাম ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়। গত বছরের ৫ আগস্টের পর এই নাম পরিবর্তন করে অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ করা হয়।