মামদানির বিজয়ের নেপথ্যে থাকা কে এই জারা
Published: 12th, November 2025 GMT
মামদানির এই ঐতিহাসিক বিজয়ের নেপথ্যে ছিলেন এক কৌশলী চিন্তাশীল মানুষ। তিনিও অভিবাসী পরিবারের সন্তান, বয়সে তরুণ, তবে জন্ম যুক্তরাষ্ট্রেই। তাঁর নাম জারা রহিম। বাংলাদেশি অভিবাসী পরিবারে তাঁর জন্ম। জারা রহিম গত ফেব্রুয়ারি থেকে জোহরানের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। তিনি এমন এক পরামর্শ দেন, যা মামদানির পুরো নির্বাচনী প্রচারের ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছিল।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘আগুন–সন্ত্রাস’ দেখে ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির সতর্ক হওয়া উচিত: তারেক রহমান
ফ্যাসিবাদের ফিরে আসা ঠেকাতে আওয়ামী লীগবিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলোর ঐক্যবদ্ধ থাকার ওপর জোর দিচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তারেক রহমান বলেন, ‘পলাতক স্বৈরাচারের সহযোগীরা গত কয়েক দিনে খোদ রাজধানীতে যেভাবে আগুন–সন্ত্রাস চালিয়েছে, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির করণীয় সম্পর্কে এটা একটা সতর্কবার্তা হতে পারে বলে আমার কাছে মনে হয়।’
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অভিযোগের মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণার আগে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মসূচির দিকে ইঙ্গিত করে আজ বুধবার ঢাকায় বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। বিএনপি আয়োজিত এ সভায় লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন তিনি।
কোনো দলের নাম উল্লেখ না করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘এখনই সবার কাছে স্পষ্ট—ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে একটা দল ফ্যাসিবাদের নিষ্ঠুরতা থেকে নিজেদেরকে বাঁচাতে গিয়ে, যেটি তাদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ অনেক সময় বিভিন্ন জায়গায় উল্লেখ করেছে যে নিজেদেরকে বাঁচাতে গিয়ে তারা ফ্যাসিবাদের ছাতার নিচে আশ্রয় নেওয়ার কৌশল অবলম্বন করেছিল। বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেই পতিত, পরাজিত, পলাতক স্বৈরাচার একইভাবে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে থাকা সেই দলের ছাতার নিচে আশ্রয় নিয়েছে কি না, মনে হয় এটি আমাদের সবার দেখার বা ভাবার সময় এসেছে।’
গণভোটের সময়সহ সংস্কার বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে বিএনপির ও জামায়াতে ইসলামীর বিপরীত অবস্থানের প্রেক্ষাপটে তারেক রহমান আরও বলেন, ‘আজকে যারা আমরা রাজপথের সঙ্গীরা বসে আছি, কেউ হয়তো রাজপথের সঙ্গী ছিল, সে রকম কিছু দলকে আমরা দেখছি বর্তমানে বিভিন্ন শর্ত দিয়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধা সৃষ্টি করতে চাইছে। জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে জটিলতার সৃষ্টির অর্থ একদিকে নির্বাচন না করে হয়তো রাষ্ট্রের খবরদারির সুযোগ গ্রহণ করা, অপর দিকে রাজনৈতিকভাবে যদি বলতে হয়—পতিত, পরাজিত, পলাতক স্বৈরাচারের পুনর্বাসনের পথকে সুগম করে দেওয়া।’
গণভোটের দাবিতে আন্দোলনের আড়ালে পতিত শক্তিকে রাজনীতিতে পুনর্বাসনের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্ন রেখে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে মিডিয়ার ভাইদের মাধ্যমে, সম্মানিত আলোচকবৃন্দের মাধ্যমে, সম্মানিত রাজনৈতিক বরণ্য ব্যক্তির মাধ্যমে, সিভিল সোসাইটির ব্যক্তিদের মাধ্যমে সবাইকে এ ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য দেশের গণতান্ত্রিক জনগণের প্রতি আহ্বান জানাই।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে তাদের অগ্রাধিকার ঠিক করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘স্বল্প মেয়াদে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনগণ সার্বিক সফলতা আশা করে না। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব নয়। অন্তর্বর্তী সরকার দেশে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারণ করেছে। এখন সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে—তারা কি একটি রাজনৈতিক দলের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করবে, নাকি দেশের গণতান্ত্রিক জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক একটি সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে অগ্রাধিকার দেবে।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাউদ্দিন আহমদ, সেলিমা রহমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
অন্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, গণফোরামের সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির চেয়ারমান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান প্রমুখ।