১৩ নভেম্বরকে ঘিরে কক্সবাজারে সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
Published: 12th, November 2025 GMT
আওয়ামী লীগের (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) ১৩ নভেম্বরের কর্মসূচিকে ঘিরে কক্সবাজারজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ইতোমধ্যে জেলার ২৮টি স্থানে তল্লাশি চৌকি স্থাপন ও নজরদারি জোরদার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অলক বিশ্বাস রাইজিংবিডিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, “পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী কক্সবাজার শহরসহ সব উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট, টহল ও গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের চলাচল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তৎপরতা নজরদারিতে রাখা হয়েছে।”
অলক বিশ্বাস জানান, গুজব বা উস্কানিমূলক কোনো কর্মকাণ্ড যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে কক্সবাজারের গুরুত্বপূর্ণ ২৮টি স্থানে বিশেষ নজরদারি করতে কঠোরভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জনগণের জান-মাল রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কোনো বিশৃঙ্খলা বা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হতে দেওয়া হবে না।
কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশের সার্জন রুবায়েত হোসেন বলেছেন, “১৩ নভেম্বরকে ঘিরে শহরের বিভিন্ন প্রবেশপথে সন্দেহভাজন যানবাহনে তল্লাশি করা হচ্ছে। বিশেষ করে দূরপাল্লার বাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালানো হচ্ছে, যাতে কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে কোনো নিষিদ্ধ বা ক্ষতিকর সামগ্রী বহন করতে না পারেন। প্রয়োজনে সন্দেহভাজন যানবাহন থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে। শহরে প্রবেশ ও বের হওয়া প্রতিটি গাড়ি নিবিড় নজরদারিতে রাখা হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য সংস্থাও মাঠে আছে। পাশাপাশি, সৈকতের শহর কক্সবাজারের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, সরকারি দপ্তর, পরিবহন টার্মিনাল ও পর্যটন এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।”
ঢাকা/তারেকুর/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সন্দেহ হলেই আটক
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অনলাইনে ডাকা ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঠেকাতে আরও কঠোর হবে সরকার। কোনো ব্যক্তি নাশকতা করতে পারেন, এমন সন্দেহ হলেই আটক করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় গতকাল মঙ্গলবার এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর সচিবালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্রের মাধ্যমে এসব সিদ্ধান্তের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আওয়ামী লীগ ১৩ নভেম্বর, অর্থাৎ আগামীকাল বৃহস্পতিবার লকডাউন কর্মসূচি ডেকেছে অনলাইনে। এদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময়কার মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা করার কথা রয়েছে। ওই মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি (পুলিশের মহাপরিদর্শক) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন (অ্যাপ্রুভার বা রাজসাক্ষী)। জুলাই হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় এটিই প্রথম মামলা, যেটির রায় ঘোষণার তারিখ জানানোর অপেক্ষায় রয়েছে।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচির আগে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে কয়েকটি জায়গায় বাসে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ ও ঝটিকা মিছিলের ঘটনা ঘটেছে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে গত রোববার আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা হয়েছিল। গতকাল হলো আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা। আটজন উপদেষ্টার সমন্বয়ে এ কমিটি গঠিত।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এতে ‘লকডাউন’ কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা আওয়ামী লীগ কী ধরনের কার্যক্রম চালাতে পারে, তা তুলে ধরেন। একটি সংস্থার প্রতিনিধি জানান, বরিশাল অঞ্চল থেকে আওয়ামী লীগের বেশ কিছু নেতা-কর্মী ঢাকায় এসেছেন। তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছেন। এসব আলোচনার পর আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সম্ভাব্য অবস্থান ঘিরে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত হয়।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অনলাইনে ঘোষিত ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঠেকাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর অংশ হিসেবে রাজধানীর প্রবেশপথে তল্লাশি চালাচ্ছেন পুলিশের সদস্যরা। গতকাল দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায়