বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার মচকৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোসা. মুসলেমা খাতুনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

বুধবার (১২ নভেম্বর) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

ঢাবিতে ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী

জবি ছাত্রদলের ২ গ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ১২

জানা গেছে, ২০২২ সালের ১ আগস্ট থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত মুসলেমা খাতুন। দীর্ঘদিন অনুপস্থিতির জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো ছুটির আবেদনও করেননি তিনি। সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল সংক্রান্ত নিয়ম অনুযায়ী, বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকা গুরুতর অপরাধ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। সেই নোটিশেরও জবাব দেননি তিনি। তাই সরকারি বিধি অনুযায়ী, তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘‘চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে মচকৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মুসলেমা খাতুনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। তিনি বিনা অনুমতিতে দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। এতে বিদ্যালয়ের পাঠদান ব্যাহত ও শিশুদের লেখাপড়ার বিঘ্নিত হয়েছে। ওই শিক্ষিকাকে অপসারণের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে।’’

ঢাকা/শিয়াম/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনার গণমাধ্যমে প্রবেশাধিকার নিয়ে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব

ভারত সরকার বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত ও পলাতক নেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশটির মূলধারার গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়ের সুযোগ দেওয়ায় বাংলাদেশ বুধবার (১২ নভেম্বর) ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার পবন বাদেহকে আনুষ্ঠানিকভাবে তলব করে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় এক উচ্চপদস্থ কূটনৈতিক সূত্র রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসসকে এ তথ্য জানিয়েছে।

আরো পড়ুন:

হাসিনা-জয়-পুতুলের দুর্নীতির মামলায় ৭৯ সাক্ষীর জবানবন্দি শেষ

হাসিনাসহ রেহানা পরিবারের বিরুদ্ধে ৩ মামলায় ৫৪ জনের সাক্ষ্য সমাপ্ত

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিচারাধীন এক কুখ্যাত পলাতক আসামিকে আশ্রয় দেওয়া এবং তাকে বাংলাদেশবিরোধী বিদ্বেষ ছড়ানো ও দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উসকানি দেওয়ার মতো বক্তব্য প্রচারের সুযোগ করে দেওয়া দুই দেশের গঠনমূলক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য ‘অসহায়ক ও অনভিপ্রেত’।

ভারতীয় কূটনীতিককে অনুরোধ জানানো হয় যেন তিনি নয়াদিল্লিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার গণমাধ্যমে প্রবেশাধিকার তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করার অনুরোধ পৌঁছে দেন। খবর বাসসের।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ