বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ
Published: 12th, November 2025 GMT
কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া) আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন দলটির একাংশের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা এ আসনে বিএনপির বুড়িচং উপজেলা সভাপতি এ টি এম মিজানুর রহমানকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানান।
আজ বুধবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে বুড়িচং উপজেলার নিমসার বাজার এলাকায় প্রথমে মহাসড়কের ঢাকামুখী লেন অবরোধ করেন মিজানুরের অনুসারী বিএনপি নেতা-কর্মীরা। প্রায় আধা ঘণ্টা পর নেতা-কর্মীরা চট্টগ্রামমুখী লেনও অবরোধ করেন। এতে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল হক। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে বিএনপি নেতা মিজানুর রহমানের অনুসারীরা মহাসড়ক থেকে সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
৩ নভেম্বর রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭ আসনে বিএনপির প্রাথমিক প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া) আসনে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো.
মহাসড়ক অবরোধ করে নেতা-কর্মীরা ‘দুঃসময়ের মিজান ভাই, মনোনয়নে তাঁকে চাই’, ‘অবৈধ মনোনয়ন মানি না, মানব না’, ‘৩ তারিখের মনোনয়ন মানি না, মানব না’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। মহাসড়ক অবরোধে নারীদের উপস্থিতিও ছিল। তাঁরা মহাসড়কের ওপর বসে পড়ে মিজানুর রহমানকে প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানান।
মিজানুর রহমানের অনুসারীদের ভাষ্য, কুমিল্লা-৫ আসনে যাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তিনি বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে রাজনীতি করেছেন। তাই নেতা-কর্মীরা এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করছেন। দ্রুত এ আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করা না হলে সামনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বিএনপির কর্মী ইউনূস আহমেদ বলেন, ‘এ টি এম মিজানুর রহমান দলের দুঃসময়ের কান্ডারি। তাঁকে মনোনয়নবঞ্চিত করার তৃণমূলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ চলছে। আমরা এই মনোনয়ন মানি না।’
বুড়িচং উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবু দারুল নাঈম বলেন, ‘এই আসনের দলের সকল নেতা-কর্মী মিজানুর রহমানকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান। কিন্তু দলের নেতা-কর্মীদের মতামত অপেক্ষা করে গত তিন নভেম্বরে এই আসনে আরেকজনকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা এ সিদ্ধান্তের পরিবর্তনের দাবি জানাই।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম জ ন র রহম ন র অন স র ক অবর ধ ব এনপ র কর ম র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে হত্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য বাদিনীকে হুমকি
বন্দরে হোসিয়ারী শ্রমিক আলমগীর হত্যা মামলায় এজাহার নামীয় ৪ আসামী গ্রেপ্তার হলেও রহস্য জনক কারনে মামলার অপর আসামীরা এখনও অধরা ছোয়ার বাইরে!
এদিকে গা ডাকা দেওয়া এজাহার নামীয় অন্যান্য আসামীরা মামলার বাদিনীসহ তার পরিবারবর্গকে মামলা থেকে নাম প্রত্যাহারের জন্য হত্যার হুমকীসহ রাতের আধারে বাদীর বসত ঘরে আগুন লাগানোর হুমকি-ধমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার ( ১২ নভেম্বর) বন্দর থানা চত্তরে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এমনই অভিযোগ করেন আলমগীর হত্যা মামলার বাদীনি নিহতের ছোট বোন মোসাঃ কল্পনা বেগম।
তিনি বলেন, তার বড় ভাই আলমগীর হোসেন (৪৬)’কে হত্যা ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৭/৮ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন।
উক্ত মামলার ৫ নং আসামী জুয়েল, ৬ নং আসামী আনজু, ১৩ নং আসামী ফরহাদ ও ১৮ নং আসামী রাতুল গ্রেফতার পর কারাগারে আছে। রাতুল ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেছে। মামলাটি না’গঞ্জ জেলা পিবিআই তদন্ত করছে।
এদিকে এজাহার নামীয় সালেহনগর এলাকার খলিল মিয়ার ছেলে সোহেব, বাড়ৈপাড়া এলাকার মৃত আক্কাছ উদ্দিনের ছেলে আশরাফুল প্রকাশ কালু, বড়ৈপারা এলাকার মাসুদের ছেলে মোঃ পারভেজ, শাহীমসজিদ এলাকার ফিরোজ আলীর ছেলে রিপন, বালুচর এলাকার অকিল উদ্দিনের ছেলে আমির হোসেন, শাহীমসজিদ এলাকার বছির উদ্দিনের ছেলে সুমন, শাহীমসজিদ এলাকার রমজান মাঝির ছেলে রোবেল, শাহীমসজিদ এলাকার আব্দুল ছালামের ছেলে মনির হোসেন, শাহীমসজিদ এলাকার কাশেমের ছেলে রাসেল, সালেহনগর এলাকার কামালের ছেলে সুমন ও মহিউদ্দিনের ছেলে রাসেলগং বিভিন্ন মাধ্যমে বাদীনিসহ পরিবারবর্গকে মামলা থেকে নাম কাটানোর জন্য হত্যার হুমকীসহ রাতের আধারে বাদীর বসত ঘরে আগুন লাগানোর হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।
আসামীদের অব্যাহত হুমকির কারণে চরম নিরাপত্তা হীনতায় দিন যাপন করছে বাদীনিসহ তার পরিবারবর্গ। এ অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়াসহ পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য জেলা পুলিশ সুপার ও বন্দর থানা অফিসার ইনচার্জের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে হত্যা মামলার বাদিনীসহ তার পরিবার।