জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) থেকে বিতরণ শুরু হবে। চলবে আগামী সোমবার (১৭ নভেম্বর) পর্যন্ত।

বুধবার (১২ নভেম্বর) জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

আরো পড়ুন:

জবিতে সংঘর্ষ: ৪ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার

জবি ছাত্রদলের ২ গ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ১২

তিনি বলেন, “মনোনয়নপত্র নির্বাচন কমিশনের কার্যালয় থেকে সংগ্রহ ও জমা দিতে হবে। মনোনয়নপত্রের ফি বাবদ কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য ৩০০ টাকা এবং হল সংসদের জন্য ২৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।”

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গত ৬ নভেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয় এবং ৯ থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত ভোটার তালিকা সংক্রান্ত আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি সম্পন্ন হয়। বুধবার (১২ নভেম্বর) চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের কথা রয়েছে।

১৭ ও ১৮ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৯ ও ২০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই, ২৩ নভেম্বর প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ এবং ২৪ থেকে ২৬ নভেম্বর আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি হবে। এরপর ২৭ ও ৩০ নভেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন করা হবে।

চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ৩ ডিসেম্বর। প্রার্থীরা ৪ থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। প্রত্যাহার করা প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হবে ৯ ডিসেম্বর। এরপর ৯ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে নির্বাচনী প্রচারণা।

সবশেষে আগামী ২২ ডিসেম্বর জকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের দিনই ভোটগণনা শেষে ২২ থেকে ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জকস জকস ড স ম বর প রক শ ম বর প

এছাড়াও পড়ুন:

কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা নিয়ে ওমর আবদুল্লাহ-বিজেপি কাজিয়া তীব্র হচ্ছে

পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফেরত পাওয়া নিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের শাসক দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের (এনসি) সঙ্গে বিরোধী দল বিজেপি ও উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহার কাজিয়া তীব্রতর হচ্ছে। দুই পক্ষের এই পাল্টাপাল্টি দাবির মধ্য দিয়ে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলেও বিজেপি নেতৃত্ব এখনই পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফেরত দেওয়ার বিষয়টি আদৌ ভাবনাচিন্তার মধ্যে আনছে না।

কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ হতাশ হয়ে বলেছিলেন, রাজ্যের মর্যাদা পাওয়ার শর্ত হিসেবে যদি তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়, তাহলে তিনি তা–ও করতে প্রস্তুত। উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা মন্তব্য করেছিলেন, নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ। সেই ব্যর্থতার দায় এড়াতে তারা রাজ্যের মর্যাদা না পাওয়াকে অজুহাত হিসেবে খাড়া করতে পারে না।

ওই বিতর্কের পর নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা বিজেপির সুনীল শর্মা। গত রোববার তিনি বলেন, ওমর আবদুল্লাহ ২০১৪ সালেও বিজেপির হাত ধরতে প্রস্তুত ছিলেন। ২০২৪ সালের নির্বাচনের পরও দিল্লিতে গিয়ে তিনি বিজেপির শীর্ষ নেতাদের বলেছিলেন, পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদা ফেরত দেওয়া হলে তিনি বিজেপির সঙ্গে সরকার গড়তে প্রস্তুত।

সুনীল শর্মা বলেন, ‘ওমর আবদুল্লাহ কোরআনের শপথ নিয়ে এ অভিযোগ অস্বীকার করতে পারবেন না। কিন্তু আমি বিষয়টি শপথ নিয়ে বলতে পারি।’

সুনীলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ গতকাল রোববার বলেন, ‘পবিত্র কোরআনের শপথ নিয়ে বলছি, রাজ্যের মর্যাদা অথবা অন্য কোনো কারণে বিজেপির সঙ্গে সমঝোতার প্রস্তাব কখনো দিইনি।’ ‘এক্স’ হ্যান্ডলে এই পোস্টের সঙ্গে সুনীলের দাবিসংক্রান্ত ভিডিও জুড়ে দিয়ে ওমর বলেন, ‘বেঁচে থাকার জন্য সুনীলের মতো মিথ্যার আশ্রয় আমায় নিতে হয় না।’

মোদি সরকার ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ দ্বিখণ্ডিত করেছিল। সেই থেকে বিজেপি জানিয়ে আসছে, ঠিক সময়ে জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। সংসদের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টকেও বিজেপি সরকার এ প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছে।

তবে ঘটনা হলো, ২০২৪ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পরও কেন্দ্রীয় সরকার সেই প্রতিশ্রুতি পালন করেনি। এরপর পুলওয়ামা–কাণ্ড ঘটে গেছে। ‘অপারেশন সিঁদুর’ হয়েছে। তার পর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার আজ পর্যন্ত ওই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। হতাশ ওমরকে তাই বলতে হয়েছিল, বিজেপি কথা রাখলে তিনি পদত্যাগ পর্যন্ত করতে প্রস্তুত।

বিজেপির বিরোধিতা করেই এনসি গত নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে ক্ষমতায় আসে। সম্প্রতি ওমর আবদুল্লাহ এমন কথাও বলেন, জম্মু-কাশ্মীরে একমাত্র তাঁদের দলই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। কেন্দ্রের প্রতিনিধি হিসেবে উপরাজ্যপাল পদে পদে নির্বাচিত সরকারকে বাধা দিচ্ছেন।

ওমর এ কথাও বলেন, পুলওয়ামা–কাণ্ডের দায় পুরোপুরি কেন্দ্রের। কেন্দ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। এর ফল ভোগ করতে হচ্ছে কাশ্মীরি জনগণকে। ব্যবসা-বাণিজ্য থমকে গেছে। কর আদায় কমে গেছে। হোটেলগুলো খাঁ খাঁ করছে। হাউসবোট অচল। তিনি বলেন, নির্বাচিত সরকারকে কাজ করতে দিলে এসব হতো না।

বিজেপি নেতা সুনীল শর্মা বলেছিলেন, ওমরের প্রস্তাব তাঁর দল প্রত্যাখ্যান করেছিল। তাঁকে বলা হয়েছিল, বিজেপি নেতৃত্ব কোনো রকম সুবিধাবাদী পদক্ষেপ নেয় না। তারা নীতির সঙ্গে আপস করে না।

অবশ্য রাজ্য দ্বিখণ্ডিত করার আগে মেহবুবা মুফতির দল পিডিপির সঙ্গে জোট বেঁধে বিজেপি জম্মু-কাশ্মীরে সরকার গড়েছিল। পরে জোট ভেঙে বেরিয়ে এসে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করে। এরপর বিধানসভা জিইয়ে রেখে রাজ্যটাই ভেঙে দেওয়া হয়। গড়া হয় দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিপিএলের নিলামে দেশি খেলোয়াড়দের বাজেট সাড়ে ৪ কোটি
  • ফুটবল খেলতে খেলতে মাঠেই ঢলে পড়লেন তরুণ, হাসপাতালে মৃত ঘোষণা
  • অভিনেত্রী সালি কর্কল্যান্ড মারা গেছেন
  • নুটেলা ব্রেডের রেসিপি
  • ৫ ক‌্যাচ ছেড়ে আয়ারল‌্যান্ডের ৮ উইকেট নিল বাংলাদেশ
  • বিপিএলের নিলামের আদ‌্যোপান্ত
  • অপর্ণা কোথায়
  • বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকা-৯ আসনে এনসিপির প্রার্থী হতে চান তাসনিম জারা
  • কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা নিয়ে ওমর আবদুল্লাহ-বিজেপি কাজিয়া তীব্র হচ্ছে