বন্দরে ফাহিম (২৩) নামে এক অটো চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত চোর ফাহিম পুরান বন্দর চৌধুরীবাড়ী এলাকার আবু সাঈদ মিয়ার ছেলে। 

ধৃতকে বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে বন্দর থানার দায়েরকৃত ২(৯)২৫ নং মোটরসাইকেল চুরি মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর)  রাতে বন্দর থানার পুরান বন্দর চৌধুরী বাড়ি এলাকা থেকে ওই চোরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

থানা পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত ফাহিমসহ তার সহযোগীরা দীর্ঘ দিন ধরে বন্দরে বিভিন্ন এলাকায় অবাধে অটো চুরি করে আসছিল।  
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

বঙ্গোপসাগর থেকে দুই ট্রলারসহ ১৩ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের সময় দুটি ট্রলারসহ ১৩ জন বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের দখলদার সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে।

বিকেলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালিয়া ঘাট ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ। তিনি বলেন, দুটি ট্রলারসহ ১৩ জন বাংলাদেশি জেলেকে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হয়েছে। ট্রলারসহ জেলে অপহরণের ঘটনায় স্থানীয় জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। টেকনাফ, শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপে মাছ ধরার নৌযান রয়েছে ৬০০টির বেশি।

ধরে নিয়ে যাওয়া একটি ট্রলারের মালিক টেকনাফ পৌরসভার বাসিন্দা মো. সৈয়দ আলম। তিনি বলেন, বুধবার সকালে টেকনাফের কয়েকটি ট্রলার সেন্ট মার্টিনের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার জন্য জাল ফেলে। এ সময় দ্রুতগতির স্পিডবোট নিয়ে আরাকান আর্মির সশস্ত্র সদস্যরা ওই এলাকা থেকে দুটি ট্রলারসহ ১৩ জেলেকে ধরে নিয়ে যায়। এ সময় কয়েকটি ট্রলার পালিয়ে সেন্ট মার্টিনে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে ট্রলারসহ অপহৃত জেলেদের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের একটি খালে আটকে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। আরাকান আর্মির কারণে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করতে পারছেন না জেলেরা।

এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ট্রলারসহ কিছু জেলেকে আরাকান আর্মি ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ট্রলার মালিকদের কাছ থেকে তিনি জেনেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিজিবির দেওয়া তথ্যমতে, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে বুধবার ১২ নভেম্বর পর্যন্ত নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে আরাকান আর্মি ৩৪১ জন বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। এর মধ্যে বিজিবির প্রচেষ্টায় কয়েক দফায় ১৮৯ জন জেলেসহ ২৭টি নৌযান ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে। অবশিষ্ট আরও ২০টি ট্রলারসহ ১৫২ জনকে ফেরত আনার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ