অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, বর্তমান অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতা অনুযায়ী প্রবৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতি সংশোধন করা হবে। তবে এতে খুব বড় ধরনের অতিরিক্ত ব্যয় হবে না।

বুধবার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ এবং অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির যৌথ বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

আরো পড়ুন:

ঢাকা দক্ষিণে ৩৮৪১ কোটি ৩৮ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা

তুলা আমদানিতে অগ্রিম আয়কর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের আশা বিটিএমএ সভাপতির

ড.

সালেহউদ্দিন বলেন, “যখন মূল বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছিল, তখন তা বাস্তবধর্মী ও প্রাগমেটিকভাবে তৈরি করা হয়েছিল। তবে বাস্তবায়নের সময় নানা নতুন চ্যালেঞ্জ সামনে আসে। সেই অনুযায়ী সংশোধিত বাজেটে প্রবৃদ্ধি সামান্য কমানো হচ্ছে এবং মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির ধারা প্রযোজ্য করা হচ্ছে। আমাদের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী মূল অর্থের অংকগুলো খুব বেশি পরিবর্তিত হবে না।”

তিনি জানান, রাজস্ব বোর্ড লক্ষ্য পূরণে বারবার ব্যর্থ হওয়ায় পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন থেকে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা এবং পেট্রোবাংলা থেকে প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এই টাকা সংগ্রহের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় কাজ করছে। 

তিনি বলেন, “আমরা তাদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছি। তবে বাজারের মূল্য ঠিক করার মতো স্বাধীনতা নেই। আমাদের প্রধান লক্ষ্য রাজস্ব বাড়ানো এবং লিকেজ রোধ করা।”

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, “সংশোধিত বাজেটে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—প্রবৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতি—মূল্যায়ন করা হয়েছে। প্রবৃদ্ধির হারে সামান্য কমানো হয়েছে এবং মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশে পুনর্গঠন করা হয়েছে। তবে মোট বাজেটের টাকার পরিমাণে বড় ধরনের পরিবর্তন হবে না।”

ঢাকা/এএএম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট অর থ প চ র প রব দ ধ উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

বঙ্গোপসাগর থেকে দুই ট্রলারসহ ১৩ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের সময় দুটি ট্রলারসহ ১৩ জন বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের দখলদার সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে।

বিকেলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালিয়া ঘাট ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ। তিনি বলেন, দুটি ট্রলারসহ ১৩ জন বাংলাদেশি জেলেকে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হয়েছে। ট্রলারসহ জেলে অপহরণের ঘটনায় স্থানীয় জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। টেকনাফ, শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপে মাছ ধরার নৌযান রয়েছে ৬০০টির বেশি।

ধরে নিয়ে যাওয়া একটি ট্রলারের মালিক টেকনাফ পৌরসভার বাসিন্দা মো. সৈয়দ আলম। তিনি বলেন, বুধবার সকালে টেকনাফের কয়েকটি ট্রলার সেন্ট মার্টিনের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার জন্য জাল ফেলে। এ সময় দ্রুতগতির স্পিডবোট নিয়ে আরাকান আর্মির সশস্ত্র সদস্যরা ওই এলাকা থেকে দুটি ট্রলারসহ ১৩ জেলেকে ধরে নিয়ে যায়। এ সময় কয়েকটি ট্রলার পালিয়ে সেন্ট মার্টিনে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে ট্রলারসহ অপহৃত জেলেদের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের একটি খালে আটকে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। আরাকান আর্মির কারণে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করতে পারছেন না জেলেরা।

এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ট্রলারসহ কিছু জেলেকে আরাকান আর্মি ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ট্রলার মালিকদের কাছ থেকে তিনি জেনেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিজিবির দেওয়া তথ্যমতে, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে বুধবার ১২ নভেম্বর পর্যন্ত নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে আরাকান আর্মি ৩৪১ জন বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। এর মধ্যে বিজিবির প্রচেষ্টায় কয়েক দফায় ১৮৯ জন জেলেসহ ২৭টি নৌযান ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে। অবশিষ্ট আরও ২০টি ট্রলারসহ ১৫২ জনকে ফেরত আনার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ