বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ূম বলেন, লুটপাট ও পাচার হয়ে যাওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা ফিরিয়ে আনতে এবং লুটপাট বন্ধ করতে বিশেষ অর্থনৈতিক ট্রাইব্যুনাল আদালত করতে হবে। যেমন খুন-গুমের আইন আছে, তেমনি চুরির বিচারের আইন করতে হবে। চুরির বিষয়ে আলাদা ট্রাইব্যুনাল করতে হবে।

আজ বুধবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা সদর বাজারের বাঁশমহালে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসনাত কাইয়ূম এ কথা বলেন।

হাসনাত কাইয়ূম বলেন, ‘চুরি, লুটপাট ও টাকা পাচার ঠেকাতে বিশেষ অর্থনৈতিক আদালতের পাশাপাশি আমরা আলাদাভাবে নাগরিক অধিকার আদালত করার জন্য দাবি জানাই। কারণ, নাগরিকদের টাকায় যাদের বেতন–ভাতা হয়, তারা যদি নাগরিকদের জন্য কাজ না করে, তাহলে নাগরিকেরা যাতে তাদের অধিকার আদায়ে আদালতের শরণাপন্ন হতে পারে।’

হাসনাত কাইয়ূম আরও বলেন, ‘গত কয়েক বছরে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বাইরে পাচার হয়েছে। সেই টাকার কিছু অংশও যদি ফিরিয়ে আনা যায়, তবে দেশ অনেকটা স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। আমাদের দেশের ছেলেদের কাজ করার জন্য বিদেশ যাওয়া লাগবে না। অনেক দেশের লোকজন এক সময় আমাদের দেশে এসে কাজ করত, এখন সেসব দেশে আমরা কাজ করতে যাই। শুধু লুটপাট আর চুরির জন্য আমাদের দেশের আজ এই অবস্থা।’

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের শীর্ষ নেতা বলেন, ‘রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতা ও সম্পদের ওপর জনগণের মালিকানা চাই। মাফিয়াতন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশ বদলের নির্বাচন চাই।’ এ সময় শেখ হাসিনার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিদেশে বসে এ দেশে আর আগুন নিয়ে খেলা করবেন না। আগুনের ভয় দেখাবেন না। গুলির ভয় দেখাবেন না। কিছুদিন আগেও আপনি এ দেশের ছেলেমেয়েদের অনেক গুলির ভয় দেখিয়েছিলেন। কিন্তু এই ছেলেরাই বুক পেতে গুলি নিয়েছে। গুলি আসলে বুকের অভাব হয় না। তাই বিদেশে বসে আর এ দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করবেন না।’

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের বাজিতপুর শাখার সভাপতি শামছুল হকের সভাপতিত্বে জনসভায় দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা এ সময় বক্তব্য দেন। পরে বাজিতপুর বাজারে হাসনাত কাইয়ূমের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। মিছিলটি বাজারের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে আবার বাঁশমহালে এসে শেষ হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য ল টপ ট

এছাড়াও পড়ুন:

পাচার ও লুটপাট বন্ধে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করতে হবে: হাসনাত কাইয়ূম

বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ূম বলেন, লুটপাট ও পাচার হয়ে যাওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা ফিরিয়ে আনতে এবং লুটপাট বন্ধ করতে বিশেষ অর্থনৈতিক ট্রাইব্যুনাল আদালত করতে হবে। যেমন খুন-গুমের আইন আছে, তেমনি চুরির বিচারের আইন করতে হবে। চুরির বিষয়ে আলাদা ট্রাইব্যুনাল করতে হবে।

আজ বুধবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা সদর বাজারের বাঁশমহালে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসনাত কাইয়ূম এ কথা বলেন।

হাসনাত কাইয়ূম বলেন, ‘চুরি, লুটপাট ও টাকা পাচার ঠেকাতে বিশেষ অর্থনৈতিক আদালতের পাশাপাশি আমরা আলাদাভাবে নাগরিক অধিকার আদালত করার জন্য দাবি জানাই। কারণ, নাগরিকদের টাকায় যাদের বেতন–ভাতা হয়, তারা যদি নাগরিকদের জন্য কাজ না করে, তাহলে নাগরিকেরা যাতে তাদের অধিকার আদায়ে আদালতের শরণাপন্ন হতে পারে।’

হাসনাত কাইয়ূম আরও বলেন, ‘গত কয়েক বছরে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বাইরে পাচার হয়েছে। সেই টাকার কিছু অংশও যদি ফিরিয়ে আনা যায়, তবে দেশ অনেকটা স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। আমাদের দেশের ছেলেদের কাজ করার জন্য বিদেশ যাওয়া লাগবে না। অনেক দেশের লোকজন এক সময় আমাদের দেশে এসে কাজ করত, এখন সেসব দেশে আমরা কাজ করতে যাই। শুধু লুটপাট আর চুরির জন্য আমাদের দেশের আজ এই অবস্থা।’

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের শীর্ষ নেতা বলেন, ‘রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতা ও সম্পদের ওপর জনগণের মালিকানা চাই। মাফিয়াতন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশ বদলের নির্বাচন চাই।’ এ সময় শেখ হাসিনার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিদেশে বসে এ দেশে আর আগুন নিয়ে খেলা করবেন না। আগুনের ভয় দেখাবেন না। গুলির ভয় দেখাবেন না। কিছুদিন আগেও আপনি এ দেশের ছেলেমেয়েদের অনেক গুলির ভয় দেখিয়েছিলেন। কিন্তু এই ছেলেরাই বুক পেতে গুলি নিয়েছে। গুলি আসলে বুকের অভাব হয় না। তাই বিদেশে বসে আর এ দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করবেন না।’

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের বাজিতপুর শাখার সভাপতি শামছুল হকের সভাপতিত্বে জনসভায় দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা এ সময় বক্তব্য দেন। পরে বাজিতপুর বাজারে হাসনাত কাইয়ূমের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। মিছিলটি বাজারের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে আবার বাঁশমহালে এসে শেষ হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ