যুদ্ধবিরতি শুরুর পর গাজায় দেড় হাজারের বেশি ভবন ধ্বংস ইসরায়েলের
Published: 12th, November 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর এক মাসের কম সময়ের মধ্যে নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় দেড় হাজারের বেশি ভবন ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
নতুন কিছু স্যাটেলাইট চিত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ৮ নভেম্বর ওই সব এলাকা থেকে সর্বশেষ কিছু স্যাটেলাইট চিত্র ধারণ করা হয়। ‘বিবিসি ভেরিফাই’ স্যাটেলাইট চিত্রগুলো বিশ্লেষণ করে দেখেছে। এতে দেখা যায়, আইডিএফ কোনো কোনো পাড়া-মহল্লা সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
গুঁড়িয়ে দেওয়া ভবনের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ, ইসরায়েল যেসব এলাকায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, সেগুলোর মধ্যে অনেকগুলোর স্যাটেলাইট চিত্র বিবিসির হাতে আসেনি।
কয়েকজন বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ভবন ধ্বংস করা যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করতে পারে। দুই বছরের বেশি সময়ের পর যুক্তরাষ্ট্র, মিসর, কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে।
ভবন ধ্বংসের মধ্য দিয়ে যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আইডিএফের এক মুখপাত্র বিবিসি ভেরিফাইকে বলেন, তাঁরা ‘যুদ্ধবিরতির রূপরেখা অনুযায়ী’ কাজ করছেন।
ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা বন্ধে গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফার ভিত্তিতে এই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল ইসরায়েল ও হামাস। এই ২০ দফাই যুদ্ধবিরতির ভিত্তি। এর একটি দফায়, ‘বিমান ও গোলা হামলাসহ সব ধরনের সামরিক অভিযান স্থগিত’ রাখার কথা বলা হয়েছে।
বিবিসি ভেরিফাইয়ের স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞ এখনো ব্যাপকভাবে চলছে। এসব চিত্র বিশ্লেষণের জন্য বিবিসি ভেরিফাই ‘চেঞ্জ ডিটেকশন অ্যালগরিদম’ ব্যবহার করেছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে যুদ্ধবিরতির আগে ও পরে তোলা স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
বিশ্লেষণে মূলত ‘ইয়েলো লাইন’ বা হলুদ রেখার পেছনের বিধ্বংস ভবনগুলো হিসাব করা হয়েছে। এটি গাজা উপত্যকার উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিকের একটি সীমারেখা। অক্টোবরের যুদ্ধবিরতি চুক্তির আলোকে ইসরায়েল নিজেদের সেনাদের এই সীমারেখায় প্রত্যাহার করে নেয়। হলুদ রেখা নামটি ইসরায়েলের দেওয়া। তাদের প্রকাশ করা গাজার মানচিত্রে এই সীমারেখা রয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স য ট ল ইট চ ত র ভবন ধ ব স ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
কোথাও ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ খুঁজে পাই নাই : টিপু
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব এড. আবুল আল ইউছুফ খান টিপু বলেন খুনি ফেসিদ হাসিনার অবৈধ লকডাউনেরবিরুদ্ধে আমরা নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রধান প্রধান সড়কে পদক্ষিণ করলাম কিন্তু কোথাও ছাত্রলীগ যুবলীগ আওয়ামী লীগ খুঁজে পাই নাই।
‘‘খুনি আছি ১৬ বছর বাংলার মানুষকে শান্তিতে থাকতে দাও নাই বাংলার স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছো মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছো মানুষ অধিকার কেড়ে নিয়েছো ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছো। অজস্র ভাই বোনকে হত্যা করেছ।
বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে মানবতাবিরোধী গণহত্যার রায়কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের ডাকা লকডাউনের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্ত্যবে তিনি এ কথা বলেন।
এ বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক অতিক্রম করে। মিছিলে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শত শত নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, তারেক রহমানের ডাকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে তুমি পদত্যাগ করে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়ে। আজকে যখন তোমার ক্ষমতার ধাম্বিকতার মরাডুবি হয়েছে।
পার্শ্ববর্তী দেশে থেকে আজকে বাংলাদেশে ২০ কোটি মানুষকে জিম্মি করতে চাও। যখন তোমার আইনের বিচারের সমগ্র হয়েছে। যখন তোমার খুনের বিচারের সমগ্র হয়েছো তখন তুমি তোমার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগকে দিয়ে বাংলাদেশে
অরাজগতা করাতে চাচ্ছেন। জিয়ার সৈনিকেরা, তারেক জিয়ার খালেদা জিয়ার সৈনিাকরা বেঁচে থাকতে এ অবৈধ লকডাউন হতে পারে না ।
আপনারা প্রতিটি পাড়ায় ও ইউনিয়নে থানা জেলায় সবাই মোড়ে মোড়ে পাহারা দিবেন যেখানেই অবৈধ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ, আওয়ামী লীগকে পাবেন তাদেরকে ধরে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করুন । বাংলাদেশের মানুষ অশান্তি দেখতে চায় না
এসময় তিনি আরো বলেন, নির্বাচন তফসিল যখন ঘোষণা করবে অবশ্যই তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা নির্বাচনে ঝাপিয়ে পরবো। কিন্তু নির্বাচন তফসিল ঘোষণার
আগে এই অবৈধ আওয়ামী লীগ খুনি হাসিনা যেভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায় আমরা আগেও রাজপথে ছিলাম এখন আছি ভবিষ্যতেও থাকবো আমাদের কাছে নির্বাচন পরে আগে দেশ বড়, জনগণ বড়, দল বড় দলের পক্ষে আমরা জনগণের
শান্তি দিতে চাই বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াইতে চাই অবদ লকডাউনের বিরুদ্ধে পেশাজীবী ভাইদেরকে নির্বিঘ্নে শান্তিতে তাদের কাজ কম করতে দিতে চাই ।
এ সময় বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মো. মাসুদ রানা, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আক্তার হোসেন, মহানগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, ১২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বরকতউল্লাহ, সহ-সভাপতি শাহাবুদ্দিন, ১৮ নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক আল-আরিফ, ১৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতা কাজী জুয়েল হাসান নাঈম, ১৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব রহমান, সদর থানা শ্রমিকদলের সভাপতি আজিম সরদার ও সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, ১১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মনির হোসেন মুকুল, ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল আহমেদ, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ, গার্মেন্টস শ্রমিক দলের নেতা মনির হোসেন, সাহিন মাদবরসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শত শত নেতাকর্মী।