নাশকতা ঠেকাতে রেলের ২৫ দফা নির্দেশনা
Published: 12th, November 2025 GMT
বাসে আগুন ও বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণসহ নানা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে রেলওয়েতে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রেলের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে ২৫ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রেলের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে গত মঙ্গলবার এ বার্তা পাঠানো হয়েছে। আগামী শনিবার পর্যন্ত এসব নির্দেশনা মানতে কঠোরভাবে আদেশ দেওয়া হয়েছে।
রেলের লিখিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি রেলের স্থাপনা ও চলমান সম্পদের ওপর (ট্রেন) নাশকতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ উপলক্ষে জননিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষায় ২৫টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বুধবার মৌখিকভাবেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে—রেলের প্রতিটি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের নিজ নিজ আওতাধীন রেললাইনে নিয়মিত টহল দিতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ সেতু ও কালভার্ট এলাকায় সার্বক্ষণিক পাহারা এবং আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। রেললাইন বা স্থাপনায় সন্দেহজনক বস্তু দেখা গেলে, রেললাইনের ফিশপ্লেট অপসারণ বা লাইনের বিকৃতি দেখা গেলে তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষে তা জানাতে হবে। স্টেশনের প্রবেশ ও প্রস্থানের পথগুলোতে নিরাপত্তাবেষ্টনী এবং তল্লাশি জোরদার করতে হবে।
রেলের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, রেলের ইঞ্জিন ও কোচ রাখার শেড, ডিজেল ডিপো ও ওয়ার্কশপ এলাকায় ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা পাহারা জোরদার করতে হবে। সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ জোরদার করা এবং জ্বালানি মজুত এলাকায় অনুমোদিত কর্মকর্তা-কর্মচারীর বাইরে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। সংকেত ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষে অপ্রয়োজনীয় ও অপরিচিত কারও প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষেধ। প্রতিটি স্টেশনসহ স্থাপনায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা মজুত রাখতে হবে।
আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ১৩ ঘণ্টা আগেএসব নির্দেশনার অবহেলা বা গাফিলতি নিরাপত্তা লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য করবে রেলওয়ে। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ের দিন জানানো হবে বৃহস্পতিবার। এর মধ্যে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো অনলাইনে ঘোষণা দিয়েছে যে তারা এদিন ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি পালন করবে। এর মধ্যে কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন স্থানে ককটেল হামলা ও যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রেলওয়েসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থা সতর্কতামূলক নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।
এ বিষয়ে রেলের মহাপরিচালক মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
টিএসসিতে ককটেল বিস্ফোরণের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে ককটেল বিস্ফোরণের প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া ছাত্রদল, জাতীয় ছাত্রশক্তি ও বিভিন্ন বামপন্থী সংগঠনের নেতা–কর্মীরাও ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
এর আগে বুধবার রাত সোয়া ৯টার দিকে ককটেল বিস্ফোরণে জাহাঙ্গীর আলম চাকলাদার (৪৮) নামের এক পথচারী আহত হন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, টিএসসি–সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান গেটের বিপরীতে একটি চায়ের দোকানের সামনে ককটেল দুটি বিস্ফোরিত হয়। এতে পাশের একটি মোটরসাইকেলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত মোটরসাইকেলের মালিক নাজমুস সাকিব বলেন, ‘আমি পাশে বসে চা খাচ্ছিলাম, হঠাৎ ককটেল এসে পড়ে। পরে দেখি বাইকের তেলের ট্যাংক ফেটে গেছে।’
বিস্ফোরণের খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাতে টিএসসি, রাজু ভাস্কর্য ও আশপাশের এলাকায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম। তিনি বলেন, ‘যারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে হবে। প্রশাসনকে বলেছি, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নিতে। আজ রাত থেকেই শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের প্রতিটি পয়েন্টে অবস্থান নেবে। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-যুবলীগের উপস্থিতি পেলেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।’
একই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা–কর্মীরা।
ককটেল হামলার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয় ছাত্রশক্তি। সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি তাহমিদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী বলেন, ফ্যাসিস্ট ও দেশবিরোধী চক্র আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এ হামলা চালিয়েছে।
আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ১৪ ঘণ্টা আগে