ছবি: সুমন ইউসুফ

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দ্রুত সমস্যা সমাধান করতে পারে এই পাখি

পাখিদের মধ্যে অন্যতম বুদ্ধিমান পাখি হলো পাতিকাক। এরা শহর ও গ্রাম অঞ্চলে মানুষের কাছাকাছি বসবাস করে। যেকোনো সমস্যার আভাস পেলেই কা কা কা করতে শুরু করে। 

পাতিকাক দেখতে আকারে মাঝারি হয়। এদের দৈর্ঘ্য প্রায় ৪০ সেন্টিমিটার বা ১৬ ইঞ্চি। এদের মাথার তালু, কপাল, গলা এবং বুকের উপরের অংশ চকচকে কালো রঙের হয়ে থাকে। ঘাড় এবং বুক ও পেটের সামনের দিকটা হালকা ধূসর বা ফ্যাকাসে ধূসর হয়। এদের শরীর, ঠোঁট, চোখ ও পা কালো।

আরো পড়ুন:

শীতকাল এলেই ‘স্নো ফেইরি’ হয়ে যায় বরফের বলের মতো

ময়ূর সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানেন?

পাতিকাকের ঠোঁট দাঁড়কাকের মতো, তবে একটু কম বাঁকা এবং ঠোঁটের গোড়ায় পালক বা গোঁফ দেখা যায়। পাতি কাক হলো সর্বভুক পাখি। এরা মূলত মাটিতে খাবার খোঁজে এবং মানুষের ফেলে দেওয়া উচ্ছিষ্ট বা আবর্জনা খেয়ে জীবনধারণ করে। এছাড়া এরা শিকারী পাখির ফেলে রাখা উচ্ছিষ্ট খায়। অনেক সময় দলবদ্ধভাবে শিকারী পাখিদের কাছ থেকে খাবার ছিনিয়েও নেয়। 

এরা অত্যন্ত চতুর, কৌতূহলী এবং সামাজিক পাখি। বিপদের আশঙ্কা দেখলে দলবদ্ধভাবে কর্কশ ‘কা-কা-কা’ শব্দে সতর্কবার্তা দেয়। মার্চ থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত এদের প্রজনন ঋতু। স্ত্রী কাক সাধারণত আকাশি রঙের ৩-৬টি ডিম দেয় এবং স্ত্রী ও পুরুষ উভয় কাকই ডিমে তা দেয়। কাককে পাখি জগতের অন্যতম বুদ্ধিমান প্রাণী মনে করা হয়। তারা দ্রুত সমস্যা সমাধান করতে পারে এবং মানুষের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করে শেখে। 

কাকের গড় আয়ু সাধারণত পনের থেকে কুড়ি বছর। এদের গলায় স্বরথলি বা ভয়েস বক্স (Voice box) থাকায় এরা গায়ক পাখিও বলা হয়। তবে এই পাখি বিভিন্ন রোগের জীবাণু ছড়াতে পারে।

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ