শীতে চুলের ‘ডিপ কন্ডিশনিং’ করার উপায়
Published: 14th, November 2025 GMT
শীতে চুল কোমলতা হারাতে শুরু করে। ডিপ কন্ডিশনিং চুলের স্বাস্থ্য, কোমলতা এবং উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে দেয়। এটি মূলত একটি কন্ডিশনার যা সাধারণ কন্ডিশনারগুলোর চেয়ে বেশি ঘন। ডিপ কন্ডিশনিং ধাপে ধাপে করতে হয়।
প্রথম ধাপ
আরো পড়ুন:
দ্রুত সমস্যা সমাধান করতে পারে এই পাখি
ইরানি সুফি দার্শনিক শামস তাবরিজির ১০টি উক্তি
প্রথমে একটি উপযুক্ত শ্যাম্পু দিয়ে আপনার চুল ভালোভাবে ধুয়ে নিন। শ্যাম্পু করার পর চুল থেকে অতিরিক্ত জল আলতো করে নিংড়ে বা তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন, কারণ ভেজা চুলে কন্ডিশনার ভালোভাবে শোষিত হয় না।
দ্বিতীয় ধাপ
আপনার চুলের দৈর্ঘ্য ও ঘনত্বের উপর নির্ভর করে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডিপ কন্ডিশনার নিন। চুলের ডগা থেকে শুরু করে উপরের দিকে কন্ডিশনার লাগান। চুলের গোড়া বা মাথার ত্বকে কন্ডিশনার লাগানো এড়িয়ে চলুন, কারণ এতে চুল তৈলাক্ত হতে পারে এবং মাথার ত্বকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যেতে পারে। চুলের প্রতিটা অংশে যেন কন্ডিশনার লাগে, তা নিশ্চিত করুন। প্রয়োজনে একটি চওড়া দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করে কন্ডিশনারটি সমানভাবে ছড়িয়ে দিন।
তৃতীয় ধাপ
প্যাকেটের নির্দেশাবলী অনুসরণ করে কন্ডিশনারটি চুলে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য রেখে দিন। সাধারণত এটি ৫ থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত হতে পারে। এই সময়ে কন্ডিশনারটি চুলের গভীরে প্রবেশ করে পুষ্টি যোগায়। এই প্রক্রিয়াটিকে আরও কার্যকর করতে আপনি একটি শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে চুল ঢেকে রাখতে পারেন, যা শরীর থেকে উৎপন্ন তাপ ধরে রেখে কন্ডিশনারের শোষণ বাড়ায়।
চতুর্থ ধাপ
নির্দিষ্ট সময় পর ঠান্ডা বা হালকা গরম জল দিয়ে চুল ভালোভাবে ধুয়ে নিন। নিশ্চিত হোন যে সব কন্ডিশনার চুল থেকে পরিষ্কার হয়ে গেছে। ঠান্ডা জল চুলের কিউটিকল বন্ধ করতে এবং উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
চুলের ক্ষতির মাত্রার উপর নির্ভর করে, সাধারণত সপ্তাহে একবার বা দুই সপ্তাহে একবার ডিপ কন্ডিশনিং করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ডিপ কন্ডিশনিংয়ের আগে হালকা গরম করা নারকেল তেল বা জলপাই তেল ব্যবহার করলে পুষ্টি আরও বাড়ে।আপনার চুল শুষ্ক, তৈলাক্ত, কোঁকড়া বা রঙ করা কিনা তার উপর ভিত্তি করে সঠিক পণ্য বেছে নিন।
নিয়মিত ডিপ কন্ডিশনিং আপনার চুলকে নরম, উজ্জ্বল এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে দারুণ কার্যকর হতে পারে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ ল র যত ন আপন র চ ল
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর উপাচার্য বললেন, আগামী ৯ অথবা ১০ ডিসেম্বর শাকসু নির্বাচন
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (শাকসু) নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবিতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচির পর উপাচার্যের আশ্বাস পেয়ে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে একদল শিক্ষার্থী। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটা থেকে রাত সোয়া একটা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, গতকাল সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার জন্য একটি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিল। সংবাদ সম্মেলন যে সময়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, ওই সময়েই অনিবার্যকারণ দেখিয়ে তা স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ। এতে শাকসু নির্বাচন বানচালের অভিযোগ তুলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। কর্মসূচিতে ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র মজলিশ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা–কর্মীরাও অংশ নেন।
‘আজ শুক্রবার সন্ধ্যার পর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে’—এই আশ্বাস দিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে গিয়ে উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আগামী ৯ অথবা ১০ ডিসেম্বর শাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা উৎসবমুখর পরিবেশে এই নির্বাচন করব।’ এ আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন। প্রশাসনিক ভবনের তালাও খুলে দেন তাঁরা।
এর আগে রাত সাড়ে আটটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে পৌনে দুই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ১০টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন। সেখানে প্রায় রাত সোয়া একটা পর্যন্ত অবস্থান করেন তাঁরা। এর মধ্যে রাত ১১টার দিকে অবস্থান কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন ও প্রক্টর মোখলেছুর রহমান আশ্বাস দিলেও তা প্রত্যাখ্যান করেন শিক্ষার্থীরা। পরে রাত পৌনে একটায় উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী ও সহ-উপচার্য সাজেদুল করিম আসেন। তাঁরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সিদ্ধান্ত জানান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাবিপ্রবির আহ্বায়ক পলাশ বখতিয়ার বলেন, ‘নির্বাচন দেবে বলে বলে তারিখ ঘোষণা করছে না প্রশাসন। আজ (গতকাল) তারিখ ঘোষণার কথা ছিল। সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করেছে। আমরা বলছি এই কালক্ষেপণ শাকসু বানচালের ষড়যন্ত্র। আমরা ৮ তারিখের আগেই নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছিলাম। উপাচার্যের আশ্বাসে আমরা আপাতত প্রত্যাহার করছি; কিন্তু এর পরও যদি কালক্ষেপণ হয়, তাহলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলন ডেকে স্থগিত করা হয় কেন? এর জবাবে উপাচার্য বলেন, ‘দায়িত্বশীল একজন ব্যক্তির মিটিং ও আরেকজন চিকিৎসাকেন্দ্রে থাকায় আমরা ভেবেছি মিটিং কাল (আজ শুক্রবার) করব। এটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এখানে একটি আলোচনা এসেছে ৯ ডিসেম্বর বা ১০ ডিসেম্বর। যেকোনো একটি তারিখে নির্বাচন হবে।’