সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (শাকসু) নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবিতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচির পর উপাচার্যের আশ্বাস পেয়ে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে একদল শিক্ষার্থী। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটা থেকে রাত সোয়া একটা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, গতকাল সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার জন্য একটি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিল। সংবাদ সম্মেলন যে সময়ে অনুষ্ঠিত  হওয়ার কথা ছিল, ওই সময়েই অনিবার্যকারণ দেখিয়ে তা স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ। এতে শাকসু নির্বাচন বানচালের অভিযোগ তুলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। কর্মসূচিতে ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র মজলিশ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা–কর্মীরাও অংশ নেন।

‘আজ শুক্রবার সন্ধ্যার পর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে’—এই আশ্বাস দিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে গিয়ে উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আগামী ৯ অথবা ১০ ডিসেম্বর শাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা উৎসবমুখর পরিবেশে এই নির্বাচন করব।’ এ আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন। প্রশাসনিক ভবনের তালাও খুলে দেন তাঁরা।

এর আগে রাত সাড়ে আটটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে পৌনে দুই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ১০টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন। সেখানে প্রায় রাত সোয়া একটা পর্যন্ত অবস্থান করেন তাঁরা। এর মধ্যে রাত ১১টার দিকে অবস্থান কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন ও প্রক্টর মোখলেছুর রহমান আশ্বাস দিলেও তা প্রত্যাখ্যান করেন শিক্ষার্থীরা। পরে রাত পৌনে একটায় উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী ও সহ-উপচার্য সাজেদুল করিম আসেন। তাঁরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সিদ্ধান্ত জানান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাবিপ্রবির আহ্বায়ক পলাশ বখতিয়ার বলেন, ‘নির্বাচন দেবে বলে বলে তারিখ ঘোষণা করছে না প্রশাসন। আজ (গতকাল) তারিখ ঘোষণার কথা ছিল। সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করেছে। আমরা বলছি এই কালক্ষেপণ শাকসু বানচালের ষড়যন্ত্র। আমরা ৮ তারিখের আগেই নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছিলাম। উপাচার্যের আশ্বাসে আমরা আপাতত প্রত্যাহার করছি; কিন্তু এর পরও যদি কালক্ষেপণ হয়, তাহলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।’

সংবাদ সম্মেলন ডেকে স্থগিত করা হয় কেন? এর জবাবে উপাচার্য বলেন, ‘দায়িত্বশীল একজন ব্যক্তির মিটিং ও আরেকজন চিকিৎসাকেন্দ্রে থাকায় আমরা ভেবেছি মিটিং কাল (আজ শুক্রবার) করব। এটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এখানে একটি আলোচনা এসেছে ৯ ডিসেম্বর বা ১০ ডিসেম্বর। যেকোনো একটি তারিখে নির্বাচন  হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপ চ র য ড স ম বর ন কর ন

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর উপাচার্য বললেন, আগামী ৯ অথবা ১০ ডিসেম্বর শাকসু নির্বাচন

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (শাকসু) নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবিতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচির পর উপাচার্যের আশ্বাস পেয়ে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে একদল শিক্ষার্থী। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটা থেকে রাত সোয়া একটা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, গতকাল সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার জন্য একটি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিল। সংবাদ সম্মেলন যে সময়ে অনুষ্ঠিত  হওয়ার কথা ছিল, ওই সময়েই অনিবার্যকারণ দেখিয়ে তা স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ। এতে শাকসু নির্বাচন বানচালের অভিযোগ তুলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। কর্মসূচিতে ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র মজলিশ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা–কর্মীরাও অংশ নেন।

‘আজ শুক্রবার সন্ধ্যার পর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে’—এই আশ্বাস দিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে গিয়ে উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আগামী ৯ অথবা ১০ ডিসেম্বর শাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা উৎসবমুখর পরিবেশে এই নির্বাচন করব।’ এ আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন। প্রশাসনিক ভবনের তালাও খুলে দেন তাঁরা।

এর আগে রাত সাড়ে আটটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে পৌনে দুই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ১০টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন। সেখানে প্রায় রাত সোয়া একটা পর্যন্ত অবস্থান করেন তাঁরা। এর মধ্যে রাত ১১টার দিকে অবস্থান কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন ও প্রক্টর মোখলেছুর রহমান আশ্বাস দিলেও তা প্রত্যাখ্যান করেন শিক্ষার্থীরা। পরে রাত পৌনে একটায় উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী ও সহ-উপচার্য সাজেদুল করিম আসেন। তাঁরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সিদ্ধান্ত জানান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাবিপ্রবির আহ্বায়ক পলাশ বখতিয়ার বলেন, ‘নির্বাচন দেবে বলে বলে তারিখ ঘোষণা করছে না প্রশাসন। আজ (গতকাল) তারিখ ঘোষণার কথা ছিল। সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করেছে। আমরা বলছি এই কালক্ষেপণ শাকসু বানচালের ষড়যন্ত্র। আমরা ৮ তারিখের আগেই নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছিলাম। উপাচার্যের আশ্বাসে আমরা আপাতত প্রত্যাহার করছি; কিন্তু এর পরও যদি কালক্ষেপণ হয়, তাহলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।’

সংবাদ সম্মেলন ডেকে স্থগিত করা হয় কেন? এর জবাবে উপাচার্য বলেন, ‘দায়িত্বশীল একজন ব্যক্তির মিটিং ও আরেকজন চিকিৎসাকেন্দ্রে থাকায় আমরা ভেবেছি মিটিং কাল (আজ শুক্রবার) করব। এটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এখানে একটি আলোচনা এসেছে ৯ ডিসেম্বর বা ১০ ডিসেম্বর। যেকোনো একটি তারিখে নির্বাচন  হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ