পাঁচ ব্যাংক নয়, সরকারের টাকা পাবে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’
Published: 14th, November 2025 GMT
প্রাথমিক লাইসেন্স পাওয়া ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’গঠনের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা মূলধন জোগানের প্রস্তাব দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। ব্যাংকটি হবে ইসলামি ধারার ও রাষ্ট্রমালিকানাধীন। এ জন্য টাকা ছাড় করার জন্য অর্থ বিভাগকে চিঠি দিয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। নতুন ব্যাংকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে হিসাব খুললে সেই হিসাবে অর্থ বিভাগ টাকা ছাড় করবে। অর্থ বিভাগ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
এর আগে পাঁচটি দুর্বল ব্যাংক একীভূত করে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ নামে নতুন ব্যাংক গঠনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির প্রশাসক দল ইতিমধ্যে পাঁচ ব্যাংক একীভূত করার দায়িত্ব নিয়েছে।
পাঁচ ব্যাংক হলো ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, ইউনিয়ন, এক্সিম ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। এর মধ্যে এক্সিম ব্যাংক ছিল ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের এবং বাকি চারটি ছিল চট্টগ্রামের এস আলম গ্রুপের কর্ণধার ও বহুল আলোচিত ব্যবসায়ী সাইফুল আলমের নিয়ন্ত্রণে। তাঁরা দুজনেই ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিক অনুমোদন পাওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাংকটির নাম নিবন্ধন করা হবে। এরপর চূড়ান্ত লাইসেন্স দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই ব্যাংক প্রথম পরিচালনা পর্ষদের সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকে হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত নেবে। সেই হিসাবে জমা হবে সরকারের দেওয়া মূলধনের টাকা। এর মধ্যে পাঁচ ব্যাংকের সম্পদ ও দায় নতুন ব্যাংকটি অধিগ্রহণ করবে।
জানা গেছে, ব্যাংকগুলো একীভূত হওয়ার পর আমানতকারীরা দুই লাখ টাকা পর্যন্ত তুলতে পারবেন। সাধারণ আমানতকারীদের অর্থ পরিশোধের সময়সূচি জানানো হবে। ক্ষুদ্র আমানতকারীদের অর্থ পরিশোধকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
নতুন ব্যাংকের সাত সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়েছে। এই পর্ষদের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক। পর্ষদের অন্যান্য সদস্যরা হলেন অর্থ বিভাগের সচিব মো.
জানা যায়, নতুন এই ব্যাংকে সমানসংখ্যক স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হবে। তাঁদের মধ্যে পেশাদার ব্যাংকার, হিসাববিদ ও আইনজীবি থাকবেন। এ ছাড়া সার্চ কমিটির মাধ্যমে এমডিসহ শীর্ষ পর্যায়ের যোগ্য কর্মকর্তা নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। সরকারি আমলা নয়, তাঁরাই মূলত ব্যাংকটি পরিচালনা করবেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অর থ ব ভ গ নত ন ব য এক ভ ত সরক র ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
জলবায়ু প্রতিবেদন প্রকাশ করল সিটি ব্যাংক
জলবায়ু প্রতিবেদন-২০২৪ প্রকাশ করেছে সিটি ব্যাংক পিএলসি। এই প্রতিবেদনটি আন্তর্জাতিক সাস্টেইনেবিলিটি স্ট্যান্ডার্ডস বোর্ড প্রণীত আইএফআরএস এস-১ (General Requirements for Disclosure of Sustainability-related Financial Information) ও আইএফআরএস এস-২ (Climate-related Disclosures) এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রস্তুত করা হয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় সিটি ব্যাংক।
এতে বলা হয়েছে, এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য হলো বিনিয়োগকারী, নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং অন্য স্টেকহোল্ডারদের জন্য সুস্পষ্ট এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক তথ্য তুলে ধরা। এতে ব্যাংকের পরিচালনা, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং কৌশলগত পরিকল্পনায় সাসটেইনেবিলিটি এবং জলবায়ু-সম্পর্কিত ঝুঁকি ও সম্ভাবনা সংক্রান্ত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে সিটি ব্যাংকের সাসটেইনেবিলিটি এবং জলবায়ু-সম্পর্কিত বিষয়াদি তদারকির জন্য ব্যাংকের প্রশাসনিক কাঠামো এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম ব্যাবসায়িক মডেল গঠনে গৃহীত কৌশল তুলে ধরা হয়। এছাড়াও এতে কার্বন নির্গমণ হ্রাসে ব্যাংকের কার্যক্রমের অগ্রগতি, জলবায়ু ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং টেকসই ও সবুজ অর্থায়ন উদ্যোগগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এই প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানে নিট-জিরো অঙ্গীকারের অগ্রগতি নির্দেশকারী পরিমাপ ও লক্ষ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এ উপলক্ষে সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসরুর আরেফিন বলেন, “নিয়ন্ত্রক সংস্থা, বিনিয়োগকারী ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের পক্ষ থেকে সাসটেইনেবিলিটি এবং জলবায়ু-সম্পর্কিত ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার তথ্য প্রকাশে স্বচ্ছতার প্রত্যাশা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আইএফআরএস এস-১ এবং এস-২ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জলবায়ু প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে আমরা আমাদের দায়বদ্ধতার কাঠামো আরো শক্তিশালী করেছি এবং টেকসই ও জলবায়ু-সহনশীল ভবিষ্যতের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছি।”
সিটি ব্যাংক তার মূল ব্যবসায়িক কৌশলের সাথে জলবায়ু-সংক্রান্ত বিষয়সমূহকে সমন্বয় করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং জলবায়ু অর্থায়ন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে কাজ অব্যাহত রাখবে।
ঢাকা/এসবি