এবারের আইপিএল নিলাম কবে, কোথায়
Published: 14th, November 2025 GMT
২০২৬ আইপিএলের নিলাম আগামী ১৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে আবুধাবিতে। টানা তৃতীয় বছরের মতো বিদেশে হতে যাচ্ছে আইপিএল নিলাম। ২০২৪ সালে প্রথমবার বিদেশে (দুবাই) আয়োজিত হয় আইপিএলের নিলাম। ২০২৫ মৌসুমের জন্য গত বছরের নভেম্বরে দুই দিনের মেগা নিলাম অনুষ্ঠিত হয় সৌদি আরবের জেদ্দায়।
অন্য সব মিনি নিলামের মতো ২০২৬ আইপিএল নিলাম হবে এক দিনের। ২০২৫ সালের স্কোয়াড থেকে কাকে ছাড়া হবে আর কাকে রাখা হবে, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে এর তালিকা ১৫ নভেম্বর ভারতীয় সময় বেলা তিনটার মধ্যে জমা দিতে হবে।
এরপর ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর কাছে পাঠানো হবে নিবন্ধিত ক্রিকেটারদের তালিকা, যেখান থেকে তারা তালিকা করবে। সেই বড় তালিকা ছেঁটে আইপিএল চূড়ান্ত নিলাম পুল তৈরি করবে।
আইপিএলের ‘ট্রেডিং উইন্ডো’ খোলা থাকবে নিলাম শুরুর এক সপ্তাহ আগপর্যন্ত। এটি চালু হয়েছিল গত আইপিএলের পর। নিলাম শেষে ট্রেডিং আবার চালু হবে। সেটি চলবে ২০২৬ আইপিএলের শুরুর এক মাস আগপর্যন্ত। তবে ২০২৬ মৌসুমের নিলামে যাঁদের কেনা হবে, তাঁদের কাউকে কোনো দল ট্রেড (খেলোয়াড় অদলবদল ও নগদ অর্থে অন্য দল থেকে খেলোয়াড় ক্রয়) করতে পারবে না।
আরও পড়ুনদক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে গিলের সামনে ৩ রেকর্ড ৩ ঘণ্টা আগেআইপিএলে এ পর্যন্ত পাঁচ দলের মধ্যে চারটি ট্রেড নিশ্চিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে আলোচিত খেলোয়াড় অদলবদলের ঘটনাও ঘটেছে। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস ট্রেডিং প্রক্রিয়াতে দলে পেয়েছে ভারতের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান সঞ্জু স্যামসনকে। রাজস্থান রয়্যালস থেকে তাঁকে দলে নিতে চেন্নাইয়ের রাজস্থানকে দিতে হয়েছে দুই অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা ও স্যাম কারেনকে।
রবীন্দ্র জাদেজা, সঞ্জু স্যামসন ও স্যাম কারেন (বাঁ থেকে).উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
১ ফেব্রুয়ারি থেকে একুশে বইমেলা করার দাবি বইমেলা সংগ্রাম পরিষদের
পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকেই অমর একুশে বইমেলা ২০২৬ শুরু করার দাবি জানিয়েছেন একুশে বইমেলা সংগ্রাম পরিষদের সাংস্কৃতিক কর্মীরা। একই সঙ্গে এবারের মেলায় স্টল ভাড়া কমানোর দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে একুশে বইমেলা সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে লেখক, পাঠক, প্রকাশক, শিল্পী–সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মীদের এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখান বক্তারা এসব দাবি জানান।
কবিতা পরিষদের সভাপতি মোহন রায়হান বলেন, সরকারের উদ্দেশে বলতে চাই, বাংলাদেশের মানুষ সরকারের পক্ষ থেকে বইমেলা স্থগিত হওয়ার সিদ্ধান্ত মানে না। তারা (সরকার) জানিয়েছে সুরক্ষা দেওয়ার মতো ফোর্স তাদের নেই। সরকারের লাখ লাখ লোক আছে প্রতিরক্ষা দেওয়ার মতো। সেখানে মেলার নিরাপত্তার জন্য কেন ৪ থেকে ৫ হাজার দেওয়া যাবে না।
প্রকাশক ও লেখক সাঈদ বারী বলেন, এখন সংস্কৃতির নামে ড্রোন শো হয়, কিন্তু বইমেলা পড়েছে অনিশ্চয়তার মধ্যে। বাংলা একাডেমি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, কিন্তু তাদের দেখলে মনে হয় সবটাই মন্ত্রণালয় চালায়।
একাডেমি ডিসেম্বরে মেলা করতে চায় বই বাণিজ্য করার জন্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, মেলা ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই হতে হবে। একই সঙ্গে মেলার স্টল ভাড়া কমাতে হবে।
উদীচীর একাংশের সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার বলেন, মনে হচ্ছে বইমেলা না হলে সরকার বেঁচে যায়। শিশুদের সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করা হচ্ছে। এসব তো হাসিনার নীতি। তিনি বলেন, সরকারকে ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই বইমেলা আয়োজনের উদ্যোগ নিতে হবে। এ দাবি নিয়েই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
স্মারকলিপি পাঠ করে শোনান খন্দকার শাহ আলম। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন প্রকাশক দেলওয়ার হাসান, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বিবর্তনের মফিজুর রহমান লাল্টু, চারণের কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, ভাসানী পরিষদের হারুন অর রশীদসহ কয়েকজন সংস্কৃতিজন। তাঁরা সবাই ২০২৬ অমর একুশে বইমেলা ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই শুরু করার দাবি জানান।
সমাবেশ শেষে তাঁরা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যমুনা অভিমুখে রওনা হলে শাহবাগে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। এরপর তাঁদের মধ্য থেকে দশজন প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁও কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পৌঁছে দেন।