মানিকগঞ্জে থেমে থাকা একটি স্কুলে বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এসময় বাসের ভেতর ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা চালক গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে শিবালয় উপজেলার ফলসাটিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত চালক তাবেজ খানকে (৪৫) প্রথমে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। বাস চালককের বাড়ি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বাড়াইভিকরা গ্রামে।
শিবালয় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন চক্রবর্তী জানান, দি হলি চাইল্ড স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী বহনকারী বাসটি প্রতিদিনের মতো ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে পার্কিং করে রাখা ছিল। এসময় চালক তাবিজ খান বাসের মধ্যে ঘুমিয়েছিলেন। রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে দুর্বৃত্তরা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। মুহুর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে চালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। এসময় ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান এসআই সুমন।
ঢাকা/চন্দন/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামী লীগের 'আগুন সন্ত্রাসের' প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতের অবস্থান, বিক্ষোভ মিছিল
দেশব্যাপী চলমান পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের 'আগুন সন্ত্রাসের' প্রতিবাদে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
মহানগরীর সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইন এর নেতৃত্বে চাষাড়া, মিশন পাড়া, মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মো: জামাল হোসাইন এর নেতৃত্বে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় এবং মহানগরীর প্রচার সম্পাদক হাফেজ আব্দুল মোমিন এর নেতৃত্বে বন্ধর ঘাটে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ১০টায় চাষাড়া মিশন পাড়া এলাকায় মহানগরীর নেতাকর্মীরা জমায়েত হতে শুরু করেন।
সাইনবোর্ড এলাকাতেও একই সময়ে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাতে সহস্রাধিক নেতাকর্মীর অংশ গ্রহনে কর্মসূচি পালিত হয়। প্রতিবাদকারীরা এই ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।
মহানগরীর সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইন বলেন যারা দেশের মানুষের ক্ষতি করতে চায় তাদের সাবধান হতে হবে। চব্বিশের বিপ্লব পরবর্তী এই বাংলাদেশ আর কোন ফ্যাসিস্টদের হত্যা, নৈরাজ্য দেখতে চায়না।
সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ জামাল হোসাইন বলেন, "গণতান্ত্রিক অধিকার নস্যাৎ করার জন্য আওয়ামী লীগের মদদে সারাদেশে যে আগুন সন্ত্রাসের রাজনীতি শুরু হয়েছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। দেশের সম্পদ ধ্বংস করা এবং সাধারণ মানুষের জীবন ঝুঁকিতে ফেলার এই রাজনীতি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।"
তিনি আরও বলেন জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের মৌলিক দায়িত্ব। দেশের জনগণ সন্ত্রাসী আওয়ামীলীগ ও তাদের দোসর জাতীয় পার্টির কোন কার্যক্রম দেখতে চায়না। মহানগরীর প্রচার সম্পাদক হাফেজ আব্দুল মোমিন বলেন আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিস্ট দল তারা এই দেশে গনহত্যা চালিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে এখন ভিন্ন দেশ থেকে এদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, জনগণ তাদের বিরুদ্ধে এখনো ঐক্যবদ্ধ আছে অতএব তাদের কৃতকর্মের বিচার হবেই হবে।
মিছিলে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা খুনি হাসিনার বিচার চাই, 'সন্ত্রাস-নাশকতা বন্ধ করো', 'মানুষের জানমাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবেনা' ইত্যাদি স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করেন। এসময় সিদ্ধিরগঞ্জ উত্তর থানা আমীর মাওলানা মোস্তফা কামাল, সিদ্ধিরগঞ্জ দক্ষিণ থানা আমীর আলহাজ্ব কফিলউদ্দিন আহমেদ, পশ্চিম থানা আমীর মাহাবুব আলম,বন্দর থানা দক্ষিন আমির মাওলানা আব্দুল হাই জাফরি, বন্দর উত্তর থানা আমির মাওলানা মুফতী আতিকুর রহমান সহ চাষাড়া মিশন পাড়া এলাকা, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকা, বন্দর ঘাট - বন্দর বাজার প্রদক্ষিণ করেন।
এসময় নেতাকর্মীরা জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত গণভোট ও দেশে জনগণের ভোটাধিকার এবং স্বাভাবিক রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরে না আসে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।