চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে রাতে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে এক যুবককে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। নিহত যুবকের নাম আবদুল্লাহ আল মাসুদ (৩২)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত আবদুল্লাহ আল মাসুদ ফটিকছড়ি পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর ধুরুং গ্রামের মো.

মোজাহেরের ছেলে। তিনি পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান ছিলেন। গত বুধবার এলাকার বাড়ির সামনে থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা।

মাসুদ নিহত হওয়ার ঘটনায় গতকাল রাতে ফটিকছড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন তাঁর ভাই আবদুল্লাহ আল রাশেদ। এতে একই এলাকার মো. ওসমান (২৭), মো. আফাজ উদ্দিনের (৩১) নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়। ওসমান ও আফাজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলার বাদী রাশেদ অভিযোগ করেন, তাঁর ভাইকে ওসমান সেদিন ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর এলাকার অন্য একটি ঘরের ছাদে নিয়ে কয়েকজন মিলে লোহার রড, বাঁশের লাঠি ও বাটাম দিয়ে তাঁর ভাইয়ের মাথা, চোখ ও হাত-পায়ে আঘাত করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁর ভাইকে বাড়ির সামনে ফেলে পালিয়ে গেছেন তাঁরা।

ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আমরা ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছি। অন্য আসামিদের ধরতে কাজ করছি। লাশের ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া চলছে।’

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

এমবাপ্পের জোড়া গোলে বিশ্বকাপে ফ্রান্স

কিলিয়ান এমবাপ্পের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে বিশ্বকাপের জায়গা নিশ্চিত করল ফ্রান্স। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ইউক্রেনের বিপক্ষে ৪-০ গোলের জয়ে রিয়াল মাদ্রিদ তারকা করেন দুটি গোল। আর এই দুই গোলেই তার ক্যারিয়ার গোলসংখ্যা ছুঁয়ে ফেলে ৪০০-এর মাইলফলক।

শেষ ছয় আন্তর্জাতিক ম্যাচে তার গোলসংখ্যা দাঁড়ায় সাতে। দ্বিতীয়ার্ধে এমবাপ্পের দুই গোলের মাঝখানে বায়ার্ন মিউনিখের মাইকেল অলিসে করেন একটি গোল, আর শেষদিকে স্কোরলাইনকে আরও সুন্দর করে তোলেন লিভারপুলের হুগো একিটিকে।

আরো পড়ুন:

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ফ্রান্স দলে ফিরলেন এন’গোলো কান্তে

ক্ষুদ্র দ্বীপদেশ কেপ ভার্দের ‘বিশ্বকাপ’ স্বপ্ন ছোঁয়ার ইতিহাস

যদিও ম্যাচজুড়ে ফ্রান্সকে বারবার থামিয়ে দিয়েছে ইউক্রেনের রক্ষণ। বিশেষ করে দিদিয়ের দেশমের জন্য এটি ছিল প্যারিসে তার শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ। কারণ, বিশ্বকাপের পরই দায়িত্ব ছাড়বেন ফরাসি কোচ। তাই ম্যাচে ছন্দের ঘাটতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

৫৫ মিনিটে আসে সেই মুহূর্ত। এমবাপ্পের প্যানেনকা পেনাল্টি ভেঙে দেয় ইউক্রেনের প্রতিরোধ। সেই গোল থেকেই শুরু হয় প্যারিসের উল্লাস।

তারপর অলিসের চমৎকার টার্ন নিয়ে নেওয়া শট ম্যাচের ভাগ্য নিশ্চিত করে। আর শেষ দশ মিনিটে এমবাপ্পে ও একিটিকে স্কোরলাইনে আরও রঙ যোগ করেন।

এই হারে ‘গ্রুপ-ডি’ থেকে তৃতীয় স্থানে নেমে আসে ইউক্রেন। ম্যাচে তারা একটিমাত্র শট নিতে পেরেছিল, যা ফরাসি গোলরক্ষক মাইক মাইন্যাঁকে কোনো ভাবেই পরীক্ষা করতে পারেনি। শুরু থেকেই তাদের পরিকল্পনা ছিল ফ্রান্সকে অস্বস্তিতে রাখা এবং প্রায় এক ঘণ্টা সেটিতে সফলও হয়েছিল তারা।

বিরতির ঠিক আগে ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় সুযোগ আসে যখন ব্র্যাডলি বারকোলার দুর্দান্ত বাঁকানো শট ইউক্রেন গোলরক্ষক ত্রুবিন পোস্টে ঠেকিয়ে দেন।

তবে এমন প্রতিভাবান একটি দলকে বেশি সময় আটকানো কঠিন। বারকোলার দারুণ দৌড়ের পর অলিসেকে ফাউল করেন তারাস মিখাভকো। স্পট কিকে তখন এমবাপ্পের সামনে শুধু নরম চিপে বল পাঠিয়ে দেওয়ার কাজটা বাকি ছিল।

কিছুক্ষণ পর এন’গোলো কান্তের প্রেসিংয়ে ইউক্রেনের ডিফেন্স বল হারালে আবার সুযোগ আসে ফ্রান্সের। কান্তে বল বাড়ান অলিসেকে। তিনি ডান পা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাম পায়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে চমকপ্রদ শটে গোল করেন।

শেষদিকে আবার জ্বলে ওঠেন এমবাপ্পে। শুরু এবং শেষ- দুটোরই সঙ্গী তিনি। এ মৌসুমে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে ২০ ম্যাচে তার এটি ২৩তম গোল এবং ক্যারিয়ারের ৪০০তম গোল। আর ৮৮ মিনিটে অধিনায়ক এমবাপ্পের দেওয়া থ্রু পাস থেকে একিটিকে করেন দলের চতুর্থ গোল।

ফলাফল- ফ্রান্স নিশ্চিত করল বিশ্বকাপ। আর প্যারিসে রাতে আবারও গর্জে উঠল ‘আলেলে লে ব্ল্যু’।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ