আজ ছুটির দিন, কিন্তু ঢাকার বাতাসের কী হাল দেখুন
Published: 14th, November 2025 GMT
ছুটির দিন সাধারণত রাজধানীতে যানবাহন কম চলে। কলকারখানাও বন্ধ থাকে অনেক। ঢাকার বায়ুদূষণের দুটো বড় উৎস এই যানবাহন আর কলকারখানার দুষিত ধোয়া। তবে এসব উৎস বন্ধ থাকার পরও ঢাকার বায়ু আজ মারাত্মক দূষিত। আজ সকালে বিশ্বের ১২৭ নগরীর মধ্যে ঢাকার অবস্থান চতুর্থ। গতকাল বৃহস্পটতিবারও এ সময় রাজধানীর অবস্থান ছিল চতুর্থ। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার বায়ুর মান ২৩১। বায়ুর এ মানকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলে গণ্য করা হয়। গতকাল এ মান ছিল ২৫৫। নগরীর নয় স্থানে আজ দূষণ পরিস্থিতি খুব খারাপ। সেসব এলাকায় গেলে মাস্ক পরাসহ কিছু নিয়ম মানা জরুরি।
বায়ুদূষণের এ পরিস্থিতি তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের অবস্থা নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়, সতর্ক করে।
বায়ুদূষণে আজ শীর্ষে আছে পাকিস্তানের লাহোর, স্কোর ৪৪৫। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে ভারতের দিল্লি ও কুয়েতের কুয়েত সিটি। দুটো নগরীরর স্কোর যথাক্রমে ৩৭২,, ও ২৫২।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বায়ুর মান দিন দিন খারাপ হচ্ছে। কোনো কোনো দিন রাজধানীকে ছাপিয়ে যাচ্ছে ঢাকার বাইরের শহরগুলোর দূষণ।
রাজধানীর ৭ এলাকায় দূষণ বেশিরাজধানীর ৭ টি এলাকায় আজ বায়ুদূষণ পরিস্থিতি অনেক খারাপ। এর মধ্যে মহাখালীর আইসিডিডিআরবির ক্যাম্পাসে বায়ুর মান ২৬০, বেচারাম দেউড়ীতে ২৫৯, মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিংয়ে ২৪০, গোড়ানে ২৩২, কল্যাণপুরে ২৩১, দক্ষিণ পল্লবীতে ২৩১, গুলশানের বে’জ এজ ওয়াটারে ২২৯।
দূষণ রোধে যা করবেনপুরো নগরীর বায়ুর মান আজ খারাপ। এই নগরীতে আজ বায়ুর যে মান, তাতে অবশ্যই যেকোনো ব্যক্তিকে বাড়ির বাইরে গেলে মাস্ক পরে যেতে হবে। খোলা স্থানে শরীরচর্চা বন্ধ রাখতে হবে। জানালা বন্ধ রাখতে হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নগর র
এছাড়াও পড়ুন:
বিচারকের ছেলের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে: চিকিৎসক
রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আব্দুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনের (১৬) মৃত্যু হয়েছে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে। ধারালো ও চোখা অস্ত্রের আঘাতে তার শরীরের তিনটি স্থানে রক্তনালী কেটে গিয়েছিল। এর ফলে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণও হয়েছিল।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকাল পৌনে দশটায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত শুরু হয়। ময়নাতদন্ত করেন ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. কফিল উদ্দিন ও একই বিভাগের প্রভাষক শারমিন সোবহান কাবেরী। ময়নাতদন্ত করতে প্রায় ৩০ মিনিট সময় লাগে।
এসময় বাইরে অপেক্ষা করছিলেন তাওসিফের বাবা বিচারক আব্দুর রহমান। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক কফিল উদ্দিন বেরিয়ে এসে তার সঙ্গে কথা বলেন। এছাড়া পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেন।
ময়নাতদন্তকারী ওই চিকিৎসক জানান, তাওসিফের ডান উরু, ডান পা ও বা বাহুতে ধারালো ও চোখা অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে। এই তিনটি জায়গায় রক্তনালী আছে। সেগুলো কেটে গিয়েছিল। এ কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণও ছিল শরীরে। তারা মনে করছেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে তাওসিফের গলায় কালশিরা দাগ আছে বলে বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বলেন, “নরম কাপড় দিয়ে শ্বাসরোধের কারণে এই দাগটি হতে পারে। তবে এটি মৃত্যুর প্রধান কারণ নয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও শ্বাস রোধে হত্যার চেষ্টা একই সময়ে হয়েছে।”
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহী নগরের ডাবতলা এলাকায় ভাড়া বাসায় খুন হয় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাওসিফ। হামলাকারী লিমন মিয়া (৩৫) তাদের পূর্ব পরিচিত। তার হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন তাওসিফের মা তাসমিন নাহার লুসী (৪৪)। এছাড়া ধস্তাধস্তিতে হামলাকারী নিজেও আহত হয়ে হাসপাতালে পুলিশের হেফাজতে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় শুক্রবার বেলা ১১টা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।
তাওসিফের মরদেহ দাফনের জন্য জামালপুরে গ্রামের বাড়ি নেওয়া হবে।
ঢাকা/কেয়া/এস